প্রক্সি
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
দেশের স্বাস্থ্য খাত কতটা নড়বড়ে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর তা উন্মোচিত হয়েছে। পর্যাপ্ত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) অভাবে করোনায় আক্রান্ত রোগী মারা যাচ্ছে। নেই যথেষ্টসংখ্যক মানসম্পন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই)। স্বাস্থ্য সরঞ্জামের অভাবে করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এমন বাস্তবতায় বহুজাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে পিপিই, ভেন্টিলেটর, মাস্ক, গগলসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এসব স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় যে খরচ ধরা হয়েছে, তা বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে দুই থেকে চার গুণ বেশি। তথ্যসূত্রঃ কালের কন্ঠ।
রূপপুরের পারমানবিক বালিশ বসন্তের পর করোনাকালে এলো কাছিম কমিশনের মানবিক পিপিই বসন্ত । রূপপুরের পারমানবিক বালিশ বসন্তের খরগোশ ; অতি দ্রুত দৌড়ে গিয়ে গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়ে। সে ভেবেছে স্বাস্থ্যপুরের কচ্ছপটি কিছুতেই দৌড়ে জিততে পারবে না। একটু ঘুমিয়ে উঠেই রেস জিতে নেবো।
“খরগোশ কমিশন অন্যদল থেকে উন্নয়ন দলে অনুপ্রবেশকারী;” জাতীয়তাবাদের স্বঘোষিত চেকপোস্ট পুলিশ ক্ষুদ্র সাইদুল কিংবা সহি দেশপ্রেমের দিশারী পাঁপড় ভাই; এমন একটি সার্টিফিকেট দিলে বালিশ বসন্তে মোটাতাজা খরগোশ ধরা পড়ে যায়।
উন্নয়নের ব্যাঘ্র শাবকেরা ধর ওকে মার ওকে বলে, ও দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকা অন্যদল কর্মী; আমাদের পবিত্র দলের দুর্নাম করতেই পারমানবিক বালিশের এতোটা তুলো খেয়ে হাপিশ করে দিয়েছে।
বাতাবি লেবু টেলিভিশনের সহমত প্রতিবেদকেরা; কে এই বালিশ বসন্তের খরগোশ? সুনীতির পাপ্পারাতজিরা ক্যামেরা বাগিয়ে ধরে খরগোশটিকে দৌড় করায়।
ক্ষুদ্র সাইদুল ফেসবুকে এসে গর্বভরে বলে, আছে আছে কোন সরকার যে দুর্নীতি দমনে এতো প্রাণপাত করেছে? দেখলেন তো ব্যাটা দেশের শত্রু খরগোশ বালিশের টেকাটুকা চুরি কইরা কীভাবে ধরা পইড়া গেলো!
ওদিকে কচ্ছপ কমিশন থেমে নেই; সে যে খাঁটি দেশপ্রেমের সিল মারা কচ্ছপ। চারশো বছর আয়ুর এই কচ্ছপ স্বাস্থ্যপুরে ঘুরে ঘুরে
“ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়।
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে।।”
কচ্ছপ কমিশন কিন্তু যা-তা কথা নয়; এই বলশালী কচ্ছপ পিঠ দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছে জঙ্গিদের গ্রেনেডের স্প্লিন্টার। দেশকে যে কচ্ছপ এতোটা উজাড় করে দিয়েছে; সে স্বাস্থ্যপুরে একটু
“কুউহু কুউহু কুউহু গায়
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়।।”
কচ্ছপ কমিশন না দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি করবেন তা কী করে হয়! এ যে দেশের জন্য রক্ত দেয়া কচ্ছপ। জানেন, পূর্ণিমা রাতে কচ্ছপের পিঠে স্লিন্টারের চিহ্নে ব্যথা ওঠে; কচ্ছপ ঘুমাতে পারে না।
দেশপ্রেমিক কচ্ছপের ব্যাথায় ক্ষুদ্র সাইফুল, পাঁপড় ভাই; দেশপ্রেমের বি এস টি আই এজেন্সিগুলো কঁকিয়ে ওঠে। কচ্ছপ সারাজীবন এতো কিছু দিলো; আর কচ্ছপের সন্তান একটু স্বাস্থ্যখাতের কাছিম কমিশনের টাকায় নিউইয়র্কে আনন্দপুর কিনলে ক্ষতি কী! আপনি তখন কোথায় ছিলেন যখন জঙ্গিরা এসে দেশটাকে গন্ধমাদন পর্বতের মতো জঙ্গিল্যান্ডে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। তখন এই কচ্ছপই কাজে লেগেছিলো; যে গন্ধমাদন পর্বত জাপটে ধরে দেশটাকে বাঁচালো।
কচ্ছপ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে আইসিইউ-তে চিত করে রাখা হয়। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিতে হাসপাতালের সামনে চিত হয়ে মরে যাওয়া নরোত্তমদের আত্মারা এসে করোনাকে অভিনন্দন জানালে; জাতির বিবেকেরা এসে প্রশ্ন তুলে, একজন দেশপ্রেমিক কচ্ছপের মৃত্যু প্রার্থনা করছেন; আপনারা তো দেখছি পরাজিত নরাধম। এতো হিংসা কেনরে ভাই? মানুষ হতে চেষ্টা করুন।
কচ্ছপ আইসিউ-তে ঘুমিয়ে থাকলেও কচ্ছপ কমিশনের ঐতিহ্য থেমে থাকে না। অন্য কচ্ছপেরা এসে বলে, শো মাস্ট গো অন। কচ্ছপেরা সমবেত সংগীত গায়, কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়।
“বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা’ শিরোনামের প্রকল্পটির আওতায় এক লাখ সেফটি গগলস কেনা হবে। প্রতিটি সেফটি গগলসের দাম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে প্রতিটি সেফটি গগলস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায়। এই প্রকল্পের আওতায় মোট এক লাখ সাত হাজার ৬০০ পিপিই কেনা হবে। যার প্রতিটির জন্য খরচ ধরা হয়েছে চার হাজার ৭০০ টাকা। পিপিই কেনায় মোট খরচ হবে ৫০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব শর্ত মেনে ওষুধ অধিদপ্তরের সব শর্ত অনুসরণ করে বিভিন্ন কম্পানির তৈরি ভালো মানের পিপিই বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দুই হাজার টাকায়। এই প্রকল্পের আওতায় ৭৬ হাজার ৬০০ জোড়া বুট শু কেনা হবে। প্রতিটি শুর খরচ দেখানো হয়েছে এক হাজার ৫০০ টাকা। এই খাতে খরচ ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দেশে বর্তমান বাজারে বুট শু ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় মিলছে। তথ্যসূত্রঃ কালের কন্ঠ”
ঘুম থেকে জেগে খরগোশ দেখে; কচ্ছপ ধীর পায়ে পৌঁছে গেছে বিজয়রেখায়। দেশপ্রেমিক কচ্ছপের বিজয় নিশান পত পত করে ওড়ে। করোনার মৃত্যু ঘড়িতে বারোটা বেজে গেলে; চারিদিক থেকে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর ছুটে আসতে থাকলে; মানবিক পিপিই বসন্তের অন্তর্জলী যাত্রার বুড়ো কচ্ছপ ডাক্তারদের বলে, আমাকে একটি আয়না দিন।
ডাক্তাররা আয়না এগিয়ে দিলে কচ্ছপ তাতে নিজের মুখ দেখে জিজ্ঞেস করে, আমি কী সুন্দর তাইনা!
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
নভেম্বর চলছে। অনির সাথে আজ দেখা হবে তা জানাই ছিল। এই তো ক’দিন আগেই দেখা…..
বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..
এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..