প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ঢেউ বুঝে নাও
ছলাৎ যে চলে যায়—ও হাওয়া মুদ্রায় খুলে মৃতের লাবণি
যেভাবে বিধবা রাখছে বর্ণফলে পড়ে ঢিল
বাইরে বাইরে দ্যাখো—
ভরা রঙের মাধুরীলতা,আমাদের বহু গাছ মর্মরিত
ভাষার বিবিয়ানা,কেবল লালচে ঝড়
মাইরি উড়িয়ে নিচ্ছে আমি তুড়ি তোলা ঝাউবন ছুঁয়ে বলছি বিদ্যুৎ—বাসনা টাঙিয়ে কি একটা সন্ধে জ্বালাতে ম্যাচমেকার খুঁজছি
এ সন্ধে যেন স্যাঁতসেঁতে
দুহানোর শব্দ হয়ে আমরা আছি
চুইয়ে পড়া হত্যায় মিশে বেদনাদায়ক লং ড্রাইভ….
যে খেলে জোছন,উঠোনের রোয়াইল
আর খেলতুতো বোন
নদীর ঘুঙুর নয় কেবল সিদ্ধ ধানে হাউস
জানে সে চামেলি বকুলে এমন রাতের
উজান
—মনের থাকবে না কিছু
এ কি ঝিঁঝিময় বেউড়বন হাওয়ার মৃদু স্বর
শুনিয়েছি নিজেকে
—নতুন অঙ্গের তাথৈ
সাজানো থালায় প্রহতা চন্দ্রপুলি যেন
এই মতো কথার চাল মহুয়া ও শালে
একটা ঋতু বদলের ঘড়ির টিকটিক
শোনা গেল….
পাতায় তিরতির হাওয়া,সাদা ধূলির দূরত্বে
ভেজা এই ট্রেন-অসুস্থতা
বৃদ্ধের তৃতীয় ঘড়ির দিকে হুইলচেয়ার
কোথাও শঙ্খতাঁত,তাঁত মেয়েটি—
জোড় ভ্রুর চাঞ্চল্য
কুটুম পাখিটির ক্যাম্পেইন থেমে গেছে
থেমে গেছে ঘুঙুর পায়ের মতো যা ছিল
তা তা থৈথৈ
জলে শুধায় সিঁথিহাঁস অস্তদিঘির ঢেউ
তবু কচুরিপানার ফুলে ফুলে শেষ সূর্য
টলতে টলতে সিঁথিডুবি
ধুঁদুল পুবের রিলে বড় ইচ্ছে একটা ট্রানজিস্টার
সন্ধের আড়ালে যে নাচে ছুঁয়ে থাকে বিক্ষত হৃদয়
যেন রক্তের বুলবুল খোঁটে সন্ধেশেষ
তোমাতে গাঁথবে বলে ওই গাঢ় রাত্রির বনে
কাঁঠালিচাঁপার ঘ্রাণ….
কোথাও ছিলেম—রোয়াইল ঝরার শব্দ ধরে
হে বিপুল
হে অনন্ত রাশি
খরগোশ পেরিয়ে হরিৎকুহুক
গাথার অনেকটা দূর তালনবমীর ছায়া
আলতো শিশিরের ওপাশে অন্ধ হুতোম
চালতার পাতা জানে
চালতার পাতা জানে শৈলসূত রেবতি
আহা!কোন সোনালু হাওয়ায় ডুকরে ওঠা
আমাদের রাত
—যেন সেই অশ্রুত অশ্রুর একায় রুপোর পালঙ
গাঢ় জাগার অনেক দূরের মঠ,বহুকালের থেমে থাকা ঘণ্টা
কেবল পাথর ভাসানো খেলায় একা এক সরুখাল—
ডানা ভাঙা সাঁকো
তাদের কচুরিপানার নীলে অথৈ শূন্যতায়
বিপন্ন গুইসাপ
শান্ত সে পুকুরের জলে ডুবে গেল!
এতটা হু হু নিয়ে আবার উদয়ের অসংখ্য পথে ছবিরথের চাকায়—
খইয়া বাবলায় ঘনিয়ে আসা সাত ডোরা রু রু….
যেভাবে আলেয়া খোলে মেঘের বেণি
একদিন ভেজাবো নিভৃত বৃষ্টিতে সহসা কীভাবে?
রঙ জুড়িয়ে? মাধুরীলতা।চাঁদ গমগম, রাত্রির তলপেটে—
ডাহুকের ঋতু মায়াবী খুলছে
বামনি গায়ে চলেছে,শীর্ষটুকু ওই পাঠকর্তার—
দাঁতনখ চড়ানো হয়েছে একটা রক্তিম বিনাশের দিকে
চলো,কাল পায়ে তো পনির
সামনে,গাঁথা হয়ে ওঠা পাতা খসা বন
কেবল খোয়াই নদী একমনে ছলাৎ
ওড়াও ছুঁড়ো
সাঁতার ছুঁড়ো যদি কেউ থাকে রাতকাঁপা
যূপকাষ্ঠ—
ডানায় ঢাকা মৃতের লাবণি
একবার ছুঁয়ে দাও সেই নাম,অক্ষরের হাততালি—
এরা যে বহনযোগ্য
জ্যোস্নারা ঠিকরে পড়ছে কয়লায়
ও বোধ হয় মানে শুভরাত।ঘুম ও ঘুমন্তের ছবি এঁকে,দগ্ধ ভাঙিয়ে গোরে ফিরে নিরাপদ স্বপ্ন…
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..