খোঁজ

শ্রাবণী সিংহ
কবিতা
Bengali
খোঁজ

খোঁজ

মধ্যরাতের এই পৃথিবীটাকে আমার এতিম মনেহয়।

ঝাড়বাতি উপুড় হয়ে ঘুম পাড়ানো শেখায় গৃহস্থকে।
কেউ শেখে,কেউ না শেখার ভান করে,
তার চোখে আটকে যায় চাঁদের নীল শিখা।

শরীর জুড়ে আত্মরচনা।নিজের অন্বেষণে একা মানুষই খোঁজে জিরো
আওয়ারের সমীক্ষা।
কাঁটার বাহুচ্ছেদে সংক্ষিপ্ত লেখা তবু অনুবাদ রয়ে যাচ্ছে
পয়ারবদ্ধ জীবনীভাষ্যে
কেউ আবার একান্ত অবলম্বন যষ্টিটা
খুঁজে বেড়াচ্ছে শ্বাসযন্ত্রের অস্বস্তি নিয়ে,এই খোঁজে
পায়ে পায়ে ধুলো মরে
আর

বালির লিপিতে লেখা দিনগত ক্ষয় যত ।

 

মুক্তি

শেষ রাতের এলোঝড়ে হিমেল পরশ ছিল,দেহ ছুঁতে আসা
শরৎ হিম
শীতকাতুরে হয়ে সুতির চাদর হাতড়াই
ততক্ষণে পাশে রাখা লুড়োর গুটি
পায়ে লেগে ছড়িয়ে পড়েছে ঘরময়
সংসারের জঙ্গল থেকে সেও প্যারোলে মুক্তি খোঁজে
বারংবার
আর অসূয়া থেকে আমি …

চলতি বাজার বিষে মরে যাওয়া গোদামজাত ইঁদুরগুলো দেখি আর ভাবি
একদিন খিদের জেরে ট্রামলাইন পেরোতে সক্ষম হয়েছিল এরা

ভুল সময় থেকেও শেখা যায় কিছু….

অনধিকার

তাপ কামড়ে রেখেছে যেমন পাথরের বুক-
জীবাশ্মগুলো ফেটে গেলেই অহল্যামুক্তি তারও…

জানলার উপোসি তুমি অজস্র দিনের
তবে কি গল্পভারেই কি নুয়ে আছে বোগেনভিলিয়া?


সব অধিকার ফুল ছেঁড়ার মত-
একটানে একদিন
যার যেমন সময় হয়।
অধিকারে লুঠতরাজ
প্রাচীন বর্গী মহাজনের হাতে যেমন
অসহায় খেতখামার চিরদিনই
জেগে ওঠে খেলার প্রতিভা
অধিকারকে ন্যায়ের দরজা দেয়,
এমন লোক সংখ্যায় খুবই কম।

 

শ্রাবণী সিংহ। কবি। জন্ম ও নিবাস উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..