দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
বসন্ত আজ পাড়ায় পাড়ায় দেহে মনে জ্বালে রংমশাল,
বসন্ত আজ পলাশ শিমুল নবীনপাতার তমাল শাল।
বসন্ত আজ জানালাখোলা সদ্যোস্নাতার সিক্ত চুল,
বসন্ত আজ বারান্দাতে কাপড়মেলা হাওয়ার ঢুল।
বসন্ত আজ সরস্বতী প্রেমদিবসের চিকন ঠোঁট,
বসন্ত আজ দোল আবিরে অমল আলোয় রঙিন ঘোঁট।
বসন্ত আজ পাগল হাওয়ার জানান দেওয়া দুঃসাহস,
বসন্ত আজ প্রিয়ার হাতে ভুল বানানের চিঠির জোশ।
বসন্ত আজ অন্ধ কানাই ভেজা ভেজা চোখে আগুন – কোপ,
বসন্ত আজ পথের ওপর টাটকা ঝড়া রক্তছোপ।
বসন্ত আজ গাল কপালে শিরশিরানি হাতের ছোঁওয়া,
বসন্ত আজ মনের ভিতর যতন করে ফসল রোওয়া।
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
চোখে অনেকদিন হলো ছানি পড়েছে।
চশমাতে কোন কাজ হয় না আজকাল
তাই হাতড়ে হাতড়ে চলি।
ছানি কাটাতে বড়ো ভয় হয় –
যদি সেরে গিয়ে চোখ তোমার সিঁথিতে
সিঁদুর দেখে ফেলে!
তার চেয়ে খোঁড়া চোখ নিয়ে স্বপ্নে থাকাই ভালো।
রান্নাঘরে জ্বলজ্বল করে মায়ার বাঁধন। এক একজনের
জন্য তৈরি হয় আলাদা আলাদা চর্বচোষ্যলেহ্যপেয়।
গন্ধ ভিন্ন, শব্দও তাই। পরম্পরা জারিত হয় হাতে,
জল – মশলায়, খুন্তিকড়াইয়ে। সীমারেখা টানা
অন্দরমহল। কর্তা পায়চারি করে স্বভূমিতে ফটর
ফটর শব্দ তুলে , গিন্নি লক্ষ্মণগন্ডি দেওয়া ঘরে বসে
মোড়ার ওপর। মাঝে মাঝে শুভদৃষ্টি হয়ে যায়।
কর্তা তখন জামাই রাজা, গিন্নি ফাগুন বউ।
সম্পর্কে জারিত হয় অতীত। অভিমান ও ভালোবাসা
গলে গলে পড়ে লেবুফুলের গন্ধ হয়ে অচেনা
ছন্দে, চেনা সত্ত্বায়।
মৃত মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করাই দস্তুর।
যতো কীর্তি সব ঘেঁটে দেওয়া যায়
কলমের এক খোঁচায় কিংবা কাঁচির
এক আঘাতে।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..