প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
বাদন মানে বাঁধন
বাদন মানে সাধন
বাদন শিখন।
গান যদি থেমে যায়
দেখা হবে না কথার সাথে।
হাওয়ার মতো সুরের পরশ
আলোর মতো বাণীর ছোঁয়া।
বাদন মানে সাধন।
কার নীলার্ত হৃদয় মু্রলী হয়ে
সমুদ্রের দর্পণে ঢেউ তোলে
বেদনার নীলকন্ঠ নীলিমার নীল-পাড়
আশমানী-আঁচল হয়ে দুলে ওঠে!
বাদন মানে বাঁধন
বাদন মানে সাধন।
এতকাল জেগেছিলে কোনো দিবাস্বপ্নে নয়
নিদ্রাদেবীর জন্যে নয়, কল্পনার রামধনুতে নয়
কোনো ঘুমের কাননে হিমেল-কুসুমকলি হয়ে
যেতে চাও, তাও নয়!
বাদন মানে শিখন।
কর্ণফুলী কাগজ কল নও
কর্ণফুলী কাগুজে কল নও
ধবল মৌনতা-বন্দী কাফনে-কফিনে
অন্তিম কাফেলার কাঁধে নও।
বাদন মানে বাঁধন
বাদন মানে সাধন
বাদন শিখন।
কাগজে ফুল নয়
কাগুজে ফুল নয়
কাগজের ফুল নয়
কাগজের ফুল বাগানের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে না
কাগুজে ফুল উদ্যানের প্রতিপক্ষ হতে পারে না-
আপনি তো উদ্যান-বিলাসী না
আপনি তো সঙ্গীত-অভিলাসী
আপনি তো উদ্যান-অভিলাসী
আপনি তো কানন বিহারী
আপনার কন্ঠ গুলবাগ
আপনার কন্ঠ গানবাগ
আপনার গলা জড়িয়ে ধরে পঙ্ক্তিমালা
আপনার গলা জড়িয়ে থাকে পুষ্পমালা
ছিলেন একজন কাননবালা দেবী
আপনি তো কানন বিহারী বড়ুয়া:
বালা নন, বিহারী; দেবী নন, বড়ুয়া;
গাইতেন তিনি,
ভারতের পদ্মশ্রীলাভী
বিখ্যাত গায়িকা ও নায়িকা;
ছিলেন পরমা সুন্দরী। আপনিও পরম সুন্দর!
সুপুরুষ সুকন্ঠ অধিকারী।
আমরাও ছিলাম মনে মনে আপনার প্রেমিক!
আজ গান নয়, কোনো কথা নয়
লুসাই-কর্ণফুলীর বাঁকে বাঁকে, বেনো বুকে
হৃদয়ের হ্রদে- অশ্রুজলমগ্ন এক কবি
খুঁজছে এক পাঠশালা- প্রকাশিত
ও প্রকাশিতব্য বইয়ের বেবাক পাতা
পান্ডুলিপির মতো বগলদাবা করে
সেই সময়ের কাছে এক এই সময়:
ডুবে গেছি আমরা ভুলে গেছি আমরা
আমাদের আয়নার আজ মুখোমুখি হব আমরা
আপনিই সেই দর্পণ, অনন্ত খাতা
আমরা আপনার শাশ্বত ছাত্র। ছাত্রী
ঐ তো জোছনা
কালো খোঁপার মতোন ‘অন্তরা’
জেগে আছেন সীতা পাহাড়
আর এই যে আমরা ‘স্থায়ী’র মতোন
আপনার মহাপ্রতীক্ষায়:
শিখব বলে জানব বলে বুঝব বলে
ঐ তো দেখতে পাচ্ছি প্রিয় গলা ভাঁজছেন
তার চূঁড়োয় উঠে
আপনার কন্ঠ ভেসে আসছে কর্ণফুলী পাড়ি দিয়ে।
আপনি তো কোনোদিন আমাদের ফেলে
চিরতরে চলে যাননি, বদলি হয়ে যাননি
পিতৃমাতৃহীন এতিমের মতো আমরা ছিলাম না
আপনি তো আমাদের পিতামাতা—অভিভাবক
সন্তানতুল্য আমরা এভাবে মানুষ হয়েছি
সেই আপনিই নাকি
আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন
এতবড় আঘাত-
ছোটোখাটো কোনো কষ্টও তো
আপনার কাছে কোনোদিন পাইনি
এই বয়সে এসে একাকী আর
কোনোদিকে নয়, বানপ্রস্তেও নয়-
কোথাও যাবেন না, কোথাও যাবার নেই-
অনন্ত সময় এখানেই থাকুন, যাপন করুন
আমাদের সাথেই থাকুন, বহাল তবিয়তে-
পাহাড়তলীত, মহামুনিতে, লিচু বাগানে
তার আগে, হাসপাতালের বেড থেকে
আমরা এসে আপনাকে নিয়ে যাব
আমাদের সাথে খোলা হাওয়ায়!
তেলা মাথায় তেল দাও
কইয়ের তেল দিয়ে কই ভাঁজো
চাল নেই চুলো নেই-
তার কথা ভেবে লাভ?
তার কথা ভেব না
সে কথা বাদ দাও
সে কথা কেউ ভাবে না
তুমি-আমি কে, আমি-তুমি কে!
হালুয়া-রুটি-কোর্মা-পোলাও-বিরিয়ানি দাও, খাও
দরকার কী? জীবনটা দিব্যি কাটুক!
মরা যার সে মরছে!
তুমি ফূর্তি কর। আমি ফূর্তি করি।
আমাদের পাতে ডাল-ভাত মানে বোঝোই তো-
নিয়মিত ভরপেট, সুস্বাদু-সুখাদ্য
কার নুন আনতে পান্তা খতম
আমাদের কী করার!
আমাদের কী কড়ার?
আমরা বেশ আছি, ভালো আছি
আমরা ভালো থাকতে চাই
আমাদের কী দরকার, কী দরকার পড়েছে
কে কেমন আছে, কার কী খোঁজ
আমাদের কী জানার আছে, কী জানার দরকার
দুনিয়া এত স্বার্থপর, পৃথিবী এত কৃপণ
কেবল আপন যাপন, শুধুই স্বয়ং স্বপন
আর সব গোল্লায় যাক, আর সব রসাতলে থাক
আমাদের কী, আমরা কে কার
আমাদের ভাবার কী আছে দরকার
আমরা এই আছি, ভালো আছি
যথেষ্ট আছি, আমরা আমাদের
আমরা আমার, আমরা আমি
ফেল কড়ি দেখ খেল, দেখ, কী
বাজাও তুমি আর সারিন্দা শেখেনি
হয়তোবা ভুলভাল, উল্টোপাল্টা গায় কিনা!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..