প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
হেমন্ত কি শিউলি গাঁথে সুতোয়?
ঘাসের গালে শিশিরকণা নামায়
হাঁটতে গেলে ভোরের শীতল হাওয়ায়
রূপোর মতন বিন্দু জড়ায় জুতোয়।
আকাশগাঙে তারার পানা ভাসে।
উমের ভেতর নিজের শরীর রেখে
মুখখানা তার দিঘীর বুকে দেখে
চাঁদের গোলক কলকলিয়ে হাসে।
ধানের সোনায় জোছনা ঝরা রাতে
কলমীলতার চিবুকজুড়ে হাসি
হালকা সুরে পাতায় বাজে বাঁশি
নতুন ধানের গন্ধ চাষীর হাতে।
মটরলতায় জড়িয়ে রাখে মায়া
কলাইফুলের নোলক ওঠে কেঁপে
ঘাসের জমিন হিম কুয়াশায় লেপে
দুল খেসারী মাপছে নিজের ছায়া।
হলুদ গাঁদার চোখের তারায় রোদে
দিচ্ছে খোঁচা অলসমোড়া পাটে
উত্তুরে সুর রসুনবোনা মাঠে
লাগায় দোলা মুন্সীয়ানা বোধে।
বাইরে কুসুমরাগ মেঘের বিস্ফোরণে সবুজপাতা কাঁপছে
আর আমার পদ্মরাগ কবিতা ছন্দের সারিন্দা কাটছে নষ্টের চাতালে।
তিমি নীল চোখে আঁকি সাফল্যের অঙ্কুর
মেহেদী নকশার মত কবিতা সাজাই আঙুল রেখায়
অমনি তা দমকা হাওয়ায় গুড়িয়ে পড়ে।
ধপ করে নিভে যায় ললিতশিখা
সবুজ ঠ্যাঙ ভেঙে মাটিতে গড়িয়ে যায় সমস্ত মৃত্যুজল।
প্রজাপতির ডানা কেটে ব্যবচ্ছেদ কাব্য সাজাই, সে সময় কই?
আজ আত্মহত্যার খবর নিয়ে তুমুল তোলপাড়
কাল জ্ঞান নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে খুন!
পরশু রাস্তায় যুবতীর ইজ্জত কাড়ে পাশবিক জানোয়ার!
আমি ধানফুলের রেণু এনে কবিতা বাঁধতে চাই সবুজ কামরার টেবিলে
অমনি খবর রটে যায় ‘অমুক জায়গায় একটা থেঁতলানো লাশ পাওয়া গেছে।
সুন্দরের শেষ বীণা বাজিয়েছে ঋণগ্রস্তের ঝুলন্ত লাশ।
অমুক বিপ্লবী ক্রসফায়ারে নিথর হয়ে গেছে।
অমুক ব্যাংকে অর্থ ডাকাতি হয়েছে।
জনতার রিযিক কাড়ছে পদলেহী মহাজোঁক
অথচ উন্নয়নের ধ্বজায় ভারী এলিটের জিন্স পকেট!
এসবের ভীড়ে আমি কবিতা বাঁধতে পারি না নির্মল গেঁয়ো সচ্ছ্বলতায়।
মেঘের কাজল দিয়ে অক্ষর বুনতে পারি না বর্ষণমুখর সন্ধ্যেয়।
এখন যদি জ্বালাই পাথর পারদ
ভুল খেয়ালের দেয়াল ঘষে ঘষে,
ফুটবে না কি সোনাই গোলাপ কলি
সবুজ বুকের হৃদয়টাকে চষে?
খামখেয়ালির চাঁদের আড়াল থেকে
কোষের ভেতর আটকে থাকা প্রাণে,
ক্যান জড়াবো বন্দীবাঁশির রাগিণ
তুলসীপূজোয় সন্ধ্যে ভাঙার গানে?
তারচেয়ে ভালো ঝাঁপিয়ে পড়ি আগে
মৌন মিনার ছাপিয়ে তুলি মাথা
জ্বলাই প্রদীপ কুয়োর কুসুমরাগে
শোধ করে দেই ঋণের সকল খাতা।
শেষ রাতের শুকতারা চোখ কচলে দিলো
ঘুমের উষ্ণতা ছেড়ে সওয়ারী আমরা ক’জন
স্টেশনে সিগনাল জ্বেলে-
স্লিপারে গড়িয়ে এলো দ্রুতগামী এক্সপ্রেস
আঙুলে আঙুল চেপে, চোখ সেঁধে চোখের রেটিনায় লক্কর লক্কর তালে চলি।
ইলমের জহরত কুড়াই স্টেশনে স্টেশনে,
প্রাপ্তির ভারে নুয়ে আসে জ্ঞানের গোলাপ ঠাসা ব্যাগওয়ালা কাঁধ!
সনদ সনদ জীবনের ছন্দধারায় পাড়ি দিই কত ঘন ঝুপড়ি বন-নদী আর সবুজের শাড়িপাতা প্রান্তর।
কেউ রেশমি রুমালে আঁকি কাল্পনিক রাজপুত্র
কেউ বুকের সেলফোনে ভরে রেখে রুপবতীর মুখ
রঙিলা শাড়ি ঢাকা কারো উদার জমিন সাজাই
হীরেজল ছিটতে ছিটাতে।
আর আমরা হৃৎপিণ্ডে সবুজ আগুন জ্বালি তুষারের সন্ধ্যায়
আবলুস জানালায় আঙুল ছোঁয়া রাণীর চোখ যেন ভেসে থাকি পদ্মরাগ চোখের ভাঁজে।
কেউ পাখির পালকে বিশ্বাসের চিঠি গুঁজি
নিয়মের আলমারিতে সাজাই ওপারের দৌলত
কেউ ভস্মে উড়াই পবিত্র কলব।
মরা ইদুর ছুঁতে হাত কাঁপে না ঘেন্নায় কাঁপে ফুসফুস?
পায়ের ধ্বনির সবল আওয়াজ বেড়ে চলে
অবতরণের গন্তব্য স্টেশন তবুও এক
কামরায় ভাঁজ ভাঙি আমাদের বৃহৎ শরীরে
তবু সামানা গোছায় প্রত্যেক অঙ্গ
শেষ রোদের শিখা পড়ে অবতারী চোখেমুখে!
হাসি ও কন্নার মাঝামাঝি চোখ মেলি চোখের পাতায়
আর সীসা ছড়া বাতাস যেন ঠেলে দেয় শেষ ট্রেনের কামরা!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..