গন্ধবনিক ও আদিগন্ত কটাক্ষ

স্নিগ্ধা বাউল
কবিতা
Bengali
গন্ধবনিক ও আদিগন্ত কটাক্ষ

গন্ধবনিক

উৎসবের ঘর আমার বিরান রয়
তল্পি গুটাইয়া গেল যে সুদিন
জমায়া রাখলো চক্ষের জল টলমল
আমি ভাইবা রাহি শীতের রাইতও
কাইটা যায় তারে ছাড়া আমার,
জ্বলে আগুনের শইল আর পোড়ায় কলিজা
পাশ বালিশের মাপ যেন দরিয়া সমান
হাত বাড়াইলে ভাসে এমন শুন্য , যেন
মাগের কুয়াসা বেহানের ঘাসে কান্দে
আমি জমাইয়া রাখি আমার গুচ্ছের দুখ
খুইজা রাহি তারার লাহান বান্ধব;
আমি জ্বলুম আর দেহুম অন্যের জ্বলা –
কত আন্ধাইরে তবে এত আলো আহে
কত পুড়াইলে এমুন কইলা অয় রঙ
আমার তার কতা মনে আহে
মন লইয়া যে আনচান করে
খুদার কসম, আমি তার লাইগা মরি
আমার মন মরন যার হাতে ,
ভাবি ছাইড়া গেলেই বুঝি তয় বাড়ে
এমুন মনের টানাটানি , টের পাওয়া যায়
আশ্বিনের খরা, চৈত্রের দাপানি
বেহুলার মতন এবাদত-
আমি গুনি, দমের নামতা দিনে দিনে
আমার তার লাগি।

 

আদিগন্ত কটাক্ষ

এই যে তুমারে ঘিরা আমি চুরমার হইয়া যাই
এর সব গিয়া ঠ্যাকে তুমার বেস্ততার দরজায়
আমি ঠায় দাঁড়াইয়া ভাবি , কি করুম তবে
এক কলিং ঘণ্টা লগে দাঁড়ায় সমান্তরালে
বাজালেই জানি আরও বাজবে মসৃণ দরদ
আমি আরও হমু চুরমার, দ্বিতীয়ার চান্দের লাহান
আমার হাতগুলান বাড়াইতে বাড়াইতে আজ বনসাই
এক হাত মাইপা রাহে আরেক হাতের দূরত্ব সার
অসার আমার পা গুলান ভাবে আর কত দূর
সিঁড়ি গুলা নাইমা আসে লতাইননা সাপের মতো
আমি গুনি আর গুণতে গুণতে জানি
তুমি আবারও চুরমার করবা আমারেই
চখের চাহুনি দিয়া জ্বালাইবা মদনের ছাই
তুমারে ঘিরা ঘুরুম লাটিমের আংটায় আমি
আমার কামিনী ফুল ছুঁইয়া দেখা হইবো না
ছুঁইয়া তুমারে ভাবুম আমার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড
আমি শামুক হইবো শালুক হইবো রইবো তবু
এক জীবন আমার থাকি যাক চুরমার হইবার তরে।

স্নিগ্ধা বাউল। কবি। কবিতা পড়েন ভালোবাসেন।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..