প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তৃপ্তি
পরিতৃপ্তি কাকে বলে?
সে কি পাওয়ার মত কিছু?
ভোরের সূর্য কিসের খোঁজে পথ চলে সারাদিন?
সে কি খোঁজে অন্ধকারের আস্তানা?
কিসের খোঁজে ছোটে বসন্তবায়
দক্ষিণ থেকে উত্তরে?
পরিযায়ী পাখীর দল কেন আসে এতদূর-
অপ্রাপ্যের খোঁজে সমস্ত আলোর পথ
পিছে ফেলে
নিজের মৃত্যুর অন্ধকারকে বরণ –
সে কি এতই প্রয়োজন?
মাতাল ছুটেছে স্বপ্নের গলিপথে,
জানা নেই তার পথের হদিশ কিছু-
সময়ের ঘড়ি বাজছে স্বভাবমত,
সেও তো ছুটেছে মাতালের পিছুপিছু।
নিয়তি নিয়ত নতজানু সময়ের-
বুঝবে যেদিন, দেরি হয়ে যাবে ঢের।
তার চেয়ে দেখি খড়-ছাওয়া কুঁড়ে ঘরে,
অনাবিল হেসে তৃপ্তিরা খেলা করে।
গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত
অল্প নুনের সাথে,
তৃপ্তির ফুল ফোটে আর ঝরে
সেইখানে দিনে রাতে।
শঙখচিল
অসীম নীলাভ শূন্যতায়
নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত
উড়ছে শঙ্খচিল,
শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার মালা
নানান বিন্যাসে,
যেন একান্ত অর্থহীন
অথচ প্রচণ্ড অর্থময় জাগতিক ও দৈহিক
প্রয়োজনে।
উড়ন্ত ডানায় যেন
ছন্দিত ঘূর্ণির মত রেখায় রেখায়
ঘাঘরার চঞ্চল ঘূর্ণন,
সমুদ্রোচ্ছ্বাস যেন তার নিঃশব্দ
প্রতিটি গতির সঞ্চরণে-
চোখের দৃষ্টিতে কিন্তু
সুতীব্র শাণিত তীরের মত
স্থির লক্ষ্য বহুদূর নীচে,
জঙ্গল খাল বিল গর্তের আনাচে কানাচে
হিংস্র শ্বাপদের মত,
চঞ্চুতে সঞ্চয় করে
তীক্ষ্ণ ক্ষুরধার অশনির ক্ষিপ্রতা
খুঁজে ফেরে কোন
ইঁদুর শশক ব্যাঙ কিংবা মৃত জন্তুর দেহাবশেষ,
একান্তই দৈহিক প্রয়োজনে–
গরম ভাত
আমরা সবাই ঘুমোই না কি? জাগছি সারা রাত-
বুকের মধ্যে ঢেঁকির আওয়াজ, চোখে গরম ভাত-
আকাশ জুড়ে মেঘ গুড়গুড় বাতাস কেমন নোনা,
অন্ধকারে জ্বলে আগুন স্বপ্নে দেখি সোনা।
শকুনি তার ঘুঁটি সাজায় কুরুক্ষেত্র মাঠে,
হাসিম শেখের দিন কেটে যায় রৌদ্রজ্বলা মাঠে-
বৃষ্টিফোঁটা গায়েই মাখে ময়নামতির মাঠ,
বুকেতে তার আগুন জ্বলে আগুন জোগায় কাঠ-
মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়ায় টুসু ভাদুর গান-
আসবে কবে ভরা বাদর স্নানযাত্রার স্নান।
‘ভরা বাদর মাহ ভাদর বিদ্যাপতির বুলি,
হাটের ধারে অন্ধ কানাই বাড়িয়ে ধরে ঝুলি।
দূরে যেন কোথায় বাজে রামযাত্রার গান-
চাষীর চোখে আগুন জ্বলে, রৌদ্রে পোড়ে ধান-
গরম ভাতের গন্ধ ভাসে আকাশে বাতাসে,
গরম ভাতের স্বপ্ন পোড়ে গরম নিঃশ্বাসে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..