দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
মেয়েটি শাল গাছে বুক ঠেসে দাঁড়ালো। না! তিনি কেটে আবার লিখলেন, মেয়েটি তার স্তন দুটি শাল গাছের বুকে ঠেসে ধরলো। না, হলো না। মেয়েটির যদি তেমন স্তন না থাকে, তবে! তবে,কেমন হবে! এসব ভাবতে ভাবতেই একটা পোড়া গন্ধ এসে লাগলো তাঁর নাকে। তাঁর মনে পড়লো, গ্যাসে ভাত চড়িয়েছিলেন অনেকক্ষণ। খাতার ভেতরে পেন রেখে তিনি ছুটলেন রান্না ঘরে।
লেখিকা মধুরা মিত্রদের বাড়ি।এখন তো ওঁর স্বামী অনির্বানও নেই।সর্বক্ষণের কাজের মেয়েটিও আজ ছুটিতে। এ তল্লাটে সকলে মিত্রবাড়ি নামে এই বাড়িকে একডাকে চেনে। সাবেক আমলের অনেকটা জায়গা নিয়ে তৈরি বিশাল দোতলা বাড়ির যে অংশটি এখন বাসযোগ্য তারই একাংশে থাকেন তিনি।বাকি শরিকরা, এখন সব থাকেন দেশের বাইরে।দুর্গাপূজার সময় যাঁদের পালি থাকে তাঁরা আসেন ঐ কটা দিনের জন্য।তারপর আবার সেই শুনশান!আবার এক নীরবতা।
তাঁর বেডরুম থেকে রান্নাঘরের দূরত্ব প্রায় কুড়ি মিটার। এই দূরত্ব তাঁকে ফিট থাকতে সাহায্য করে।রান্নাঘর লাগোয়া বাথরুম। এ অংশটা পরে তৈরি করা হয়েছে।
ইশ! ভাতের জল শুকিয়ে হাঁড়ির নীচে লেগে গেছে। সেখান থেকেই পোড়া গন্ধ। গ্যাস বন্ধ করে তিনি আবার ফিরে এসে বসলেন খাতা খুলে। কলমটা দাঁতে চেপে মাথার চুলগুলো হাত দিয়ে খোপা করে নিলেন। তারপর ভাবতে বসলেন, সেই মেয়েটির কথা। গাছে বুক চেপে দাঁড়িয়ে সে কি করছে?
তিনি লিখছেন, এই নির্জন জঙ্গলে মেয়েটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও, ছেলেটি সেসব কিছুই দেখছে না।সে তাকিয়ে আছে নাম না জানা এক জংলি ফুলের গাছের দিকে।সেখানে নানান আকৃতির কয়েকটি সাদা ও কয়েকটি রঙিন প্রজাপতি তার সব মনোযোগ টেনে রেখেছে। প্রজাপতিগুলি মাতালের মত নিজেদের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে এক ফুল থেকে আরেক ফুলে গিয়ে উড়ে বসছে। তাদের সারা শরীরে লেগে যাচ্ছে ফুলের পরাগ রেণু।জীবনে প্রথমবার এমন অপার্থিব দৃশ্য দেখে ছেলেটির চোখে জল এসে গেল।একসময় ঝাপসা হয়ে এলো তার দৃষ্টি।
মেয়েটি দেখল ছেলেটি তার চোখ থেকে চশমা খুলে তার টিশার্টের হাতায় চোখ মুছছে। মেয়েটি গাছটিকে বন্ধনমুক্ত করে ছেলেটির সামনে এসে দাঁড়ায়। সে বুঝলো,ছেলেটি কাঁদছে।
ঠিক এসময়েই ডোর বেল বেজে উঠলো। ওঃ! দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলেন সাড়ে এগারোটা। এসময়ে আবার কে!পরিচিতজন তো কেউ নয়ই! সবাই জানেন বাড়িতে কেউ এসময় থাকে না! তবে কি কুরিয়ার! না,ওরা তো ফোন করেন! না, পিয়নের আসার সময় তো এটা নয়! ভাবতে ভাবতে উপর থেকে একটা ড্রেসিং গাউন চড়িয়ে তিনি নীচে নেমে এসে দাঁড়ালেন সদর দরজার সামনে। দরজা খোলার আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে আইহোলে চোখ রেখে অবাক হয়ে গেলেন।
এ কি! এ তো সেই ছেলেটা! সেই একই টিশার্টে! ঐ তো ওর টিশার্টের হাতাটা ভিজে! তাঁরও ভীষণ কান্না পেল। একেই,এই ছেলেটিকেই তো তিনি লিখছিলেন একটু আগে! ফুল ও প্রজাপতির অপার্থিব দৃশ্য দেখে কাঁদছিল যে! এ তো সেই! এখনো তার ছলছল দুটি চোখ দেখা যাচ্ছে!পিছনে দাঁড়িয়ে আছে একটি মেয়ে। ওকে অস্পষ্ট লাগছে। ভালো করে দেখা যাচ্ছে না।
তিনি দরজা খুললেন দ্রুত। কিন্তু, এ কি!
তিনি দেখতে পেলেন না কাউকে। বাইরে বের হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে মনে মনে বলে উঠলেন,না, কেউ নেই তো!
খানিকটা বিরক্ত, খানিকটা মনখারাপ নিয়েই দরজা বন্ধ করলেন।
তিনি যখন আবার তাঁর লেখার টেবিলে এসে বসলেন, তিনি স্পষ্ট শুনতে পেলেন আবার সেই ডাক!
মা, মা, দরজা খোলো, মা মা…
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..