রেখা
প্রত্যেক প্রেমের মধ্যে কিছু গল্প থাকে
সব গল্পের মধ্যেই একটা খোঁজ চলে,
সেই খোঁজেও অনেক অন্ধকারের মেখলা।
গভীর অন্ধকারে ঘাপটি মেরে বসে- একবিন্দু আলো
আলোটি ছুঁতে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় সময়
ছুঁয়ে ফেলার আকাঙ্ক্ষা বুঝিয়ে দেয়-
যাপন একবিন্দু থেকে অন্যবিন্দুতে মিশে যাওয়া রেখা-
সরল নয় বৃত্ত।
গল্প
পথে হাঁটতে হাঁটতে গল্প তৈরি হয়,
কুশীলবের ভূমিকায় পাশের সবুজ
চিত্রনাট্যকে রঙমালায় সাজায়-
গ্রীষ্মের ফিকে বেগুনির জারুল, সম্পর্কে টক-মিষ্টির জোগান দেয়- আম, জাম, লিচু করমচা,
রঙে গন্ধে কাছে টানলেও কিছু গল্প দরকচা।
নির্ভরতার সাক্ষী থাকে শিশু, মেহগনি, ছাতিম, অশত্থ,
বিশ্বাসের কথা বৃক্ষলিপি হয় বট- শিমুলের নগ্ন দেহে,
ভালোবাসার বৃতি আশ্রয় নেয় বোগেনভেলিয়ার রঙে,
দূর থেকে কাঞ্চনজঙ্গার লুকোচুরি হাসি!
কেউ কথা রাখলেই কি গল্পের ইতি-
মধুরেণ সমাপয়েৎ?
চতুষ্কোন
গল্পের দাড়ি টেনে রামায়ন মহলের অন্দরে, সম্পর্কের হালখাতায় শিলমোহরের ছাপ, দেয়ালে গো-বিষ্ঠার মাঙ্গলিক উপাচার, কড়ি, পান- সুপারী, ধান- দূর্বার অন্তরঙ্গতা।
মধুমাখা মিষ্টিমুখ, চাল-কড়িখেলা, উতলানো দুধের ফেনা-
সমৃদ্ধির নতুন গল্প সংকেত, জলস্রোতে ধন ভাসে,
প্রগতির খাতে বৈধতার গাঁটছড়া।
চতুষ্কোনে সম্পর্কের আসবাব সাজায় অন্যগল্প,
ভালো বাসা আছে, বিশ্বাস আছে, দায়বদ্ধতা নেই- অন্য ভালোবাসাতে।
দেয়াল কান পেতে শোনে-
স্বাধীন যাপনের কথিকা-
বেতালিক, এলোমেলো স্বরগম,
সহবাস আছে, অবকাশ আছে
ফেরারি আবেগে গিল্টির জৌলুস,
কংক্রিটের মালঞ্চতে গল্পেরা- বিকলাঙ্গ।