গাঙচিল

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
কবিতা
Bengali
গাঙচিল

ভ্যালেন্টাইনস ডে

সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের ভজনা করে দিনটা শুরু হলেই
ঘরময় প্রজাপতি উড়বে এটা ভাববেন না।
আপনি বাড়ির কোনায় কোনায় জালে বাঁধা পিউপা
খুঁজতে পারেন,ভাগ্য ভালো থাকলে পেয়ে যাবেন
নয়তো কিছুদিন অপেক্ষা করবেন।

আর যদি না পান তবে বাগানের ফুলে ফুলে খুঁজুন
ব্যর্থ হলে পাতার ভাঁজে ভাঁজে দেখুন
দুএকটা মায়ামুখ উঁকি দিতে পারে।

বাড়ির ঝুলবারান্দা থেকে ঝুলে আছে রূপ
কার্নিশে লেগে আছে লুব্ধক রং
আপনি কার্নিশ বেয়ে অবশ্যই হাঁটবেন না
কারণ আপনি কোনও স্কাইওয়াকার নন
কোথায় কোন গিলোটিন পাতা আছে……
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে আপনার ছবি দিব্যি ফুটেছে।

আপনি ভ্যালেন্টাইন হবেন না
দার্শনিক মার্কা চোখে ফুলের দিকেই তাকিয়ে থাকুন
প্রজাপতি খুঁজবেন না।

 

গাঙচিল

গাঙচিলের গায়ে সোনালি রোদ নামে
পালক জানে না রক্ত মৎস্য বা মাংসের দাগ
গর্জনে শাসকের ভয়ের মাত্রা কত বেশি
তার হিসাব জানে না সমুদ্র বা গাছ
নাবালক ঢেউগুলি কাদের বিজয় মিছিলে
ভেবেও দেখেনি তারা শুধু সংখ্যাহীন অবয়ব
আবহমান নামহীন শিব নামে গোত্রগোষ্ঠীতে
অন্ত্যজ তিলক কেটে তবুও ছিলো দ্বিধা

আভিজাত্য নামের দ্বান্দ্বিক শ্রেণিভেদ জানে
ল্যাম্পপোস্ট পাথুরে মাটি চাবুক আর রক্তের গল্প
কৌমজনও খাদ্য আর খাদকের গল্প চেনে

ডারউইন সাহেবের নাতিপুতিদের কনুই আর
গোড়ালির শিল্প মিশরীয় ভাস্কর্যের চেয়ে
ঢের বেশি কারুকার্যময়!

 

রং: তিন

স্বপ্নমাখা কপাট উন্মন দারোয়ানের নির্লিপ্ত রেটিনায় গঙ্গাপ্রসাদ গাঁথা
সে বছরের ম্যাজেন্টা দোপাট্টায় কিছুটা উল্লাস পলি ঢাকা
পাথুরে মাছের মতো অবয়ব চানবেলার গানে সুখ মাখা ফুল

মাটি আর ঘাস মধুচাঁদ ছেনে খায় প্রলাপের প্রভিন্নস্বর বিকার বা প্রেম
ভাঙে ট্যাক্সোনমির দাঁত কোনো খোপেই তার আকার লাগে না

তন্ত্র জুড়ে বিরহ উত্তাপ ব্যজস্তুতি জলে ধোয়া চোখের বাইরে নিঃস্ব কঙ্কাল
অনিবার্য রঙের আড়াল ফোনেটিক সংকেত
ঋতুরঙ্গ শব্দটি কোন ছলকের কোপে জাস্ট ডিলিট জানে না অসুখ

তবুও যন্ত্রতন্ত্রে প্রবল বিক্ষোভ মনোটনি শব্দটিতে প্লাবনের ঝাঁঝ
বেদনার পাথরও ভাঙে কয়েকটি রঙের আঘাত বাসন্তী বালিকার হাত

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..