গাছের সুবর্ণ লতা

সজল কুমার টিকাদার
কবিতা
Bengali
গাছের সুবর্ণ লতা

নতুন দিনের জন্য

চায়ের ভাঁড়ের মত মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মন।
আলোরা দূর দিয়ে হাসাহাসি করে চলে যায়।
একখন্ড ধূসর মেঘ কেবল স্থির পায় দাঁড়িয়ে থাকে।
আসন্ন সন্ধ্যায় হয়ত বৃষ্টি হবে।

কাল আরো একটা নতুন দিন।
তারপর
তারপর…

শরীরকে ডেকে বলি,নে
মনের হাতটা একবার ধর!

গন্ধ

নিজস্ব একটা গন্ধ থাকা আবশ্যক।

কোন নামি ব্রান্ডের গন্ধ মেখে কেলমাত্র
ক্ষণিকের জন্য অন্যের দৃষ্টি ঘোরানো যায়।

বৃষ্টির গন্ধে মনে থাকে শ্রাবণ
কিংবা,নবান্নে যেমন
নতুন ওঠা ধান বিলিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে
তেমনই, প্রত্যেকের নিজস্বতার জন্য
একটা গন্ধ থাকা দরকার!

শুধু আজ নয়
কাল নয়
পরশুও নয়

কালের বৃন্তে আজীবন দাঁড়ানোর জন্য।

 

অঙ্গীকার

বাড়িটি তার হাতে ন্যস্ত করে
নির্বিঘ্নে ঘুমের ভিতরে ঘুমিয়ে পড়লো সবাই।
স্বপ্ন এল রথ নিয়ে
উঠে পড়লো কেউ কেউ।
ঘুমের ধুলো উড়িয়ে মেঘের মধ্যে
ডানা মেলে উড়ে গেল তারপর…।

কেউ আবার
রাতের ঘোড়ায় ঘুরতে থাকে তেপান্তর!

কেবল সে-ই
ঘেউ ঘেউ লাঠিতে জেগে থাকা

একমাত্র অঙ্গীকার!

 

গাছের সুবর্ণ লতা

আঠারোর গিঁটে আটকে পড়েছে রিবন;
লোহার খাঁচায় যেন রঙিন প্রজাপতি।

দ্রুত বদলে যায় পৃথিবী
দ্রুত বদলে যায় সময়…

একজন এখন বেয়াড়া গাছে
অন্যজন তার–সুবর্ণ লতায়!

সজল কুমার টিকাদার। কবি। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলীতে। লেখাপড়া করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..

ফ্রেম

ফ্রেম

দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..