শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
খাঁ খাঁ জীবন রোদের মতো গড়িয়ে যাচ্ছে দিগন্তের দিকে
মেঘগুলো ড্রপসিন,বাতাসের হুটোপাটিতে
নিঃশ্বাস ভুল করে ফেলছে বারবার।
রুগ্ন দৃশ্য থেকে মুক্তি পেতে ঘোড়ার অবসাদ
ঝাপটে ধরছে ডানাহীন ছায়া-শরীরটাকে।
শান্ত একটি দুপুরের আত্মকথনের অপমৃত্যু দেখছি-
পাখিরা বোতাম খুলে দিচ্ছে আকাশের চেরি-শার্টটার
ঠোঁটের বিভাজিকায় স্পন্দন মেলে ধরছো তুমি,
স্নায়ু খুলে খুলে নেমে আসছে নিষেধের নদী।
শুধু হদিস পাওয়া যাচ্ছে না সেই জারুল ফুলটার
তার সৌরভ আজ ভিজতে ভিজতে সোহাগের জলপিঁড়ি।
জানলাটা হাট করে খোলা
তুমি বুঝতে পারছো না ভিতর নাকি বাহির!
চাঁদের আঁশটে ঘ্রাণ অনুভব করো,
যেখানে এসে ধাক্কা খাবে সেটাই তোমার অতীত।
দুই.
ব্ল্যাকবোর্ড চেয়েছিল নির্ভুল আঙুলের স্পর্শ
খড়ির মুদ্রাদোষে শব্দগুলো যেন কালো জিরের সন্ধ্যা
প্রতিটি ভুল অঙ্কই আসলে পাখি বিহীন মাস্তুল।
তিন.
ঘোরার নেশায় ঘড়িটা প্রতিবার
সময়কে মাড়িয়ে গেছে।
সময় ভোলেনি- স্মৃতি শুধু একটা জড়ির গোলাপ,
আর কথারা শুকনো পাতার মর্মর।
গাছেদের স্বভাবেই চাপা পড়েছিল-
মৃদুনদী,খড়কুটো ও মাতৃত্বের সাধ।
আমার স্পষ্ট মনে আছে-
‘কা আ তরুবর’ ভেবে মৃদুনদী
অশোকের মৃতদেহ ছুঁয়ে দিয়েছিল,
তখনি সব অমিমাংসিত স্রোত ভাঙতে ভাঙতে
পাখিদের ঠোঁটে খড়কুটো হয়ে গেল।
কুড়ুল জনপদ চেনে না-
সে শুধু শিখেছিল অরণ্যের নিষাদ-যাপন।
হাওয়ার ধাক্কা খেতে খেতে মৃত্যুর স্বর
উড়ন্ত নামাবলীর মতো নক্ষত্রের স্থিতু সঞ্চয়।
সমস্ত বাহুল্য খুলে রাখলে বৃক্ষ
আভরণহীন জননী,শেকড়ে দুশ্চিন্তা মেলে
সন্তানের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে অনন্ত কাল..
স্রোত খুলে দিচ্ছে অন্ধতট-
ভালোবাসা শীতসন্ধ্যার মতো
চুঁইয়ে পড়ছে জলে।
ধোওয়ার নেশায় কত আর
কাঁদাবে চোখ কাজলকে?
সাগরজলে একজন্ম ফেলে এসেছি
ঢেউ দিও না ইচ্ছাকৃত ভুলে..
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..