প্রক্সি
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
রাত্রির আজকাল বাড়ি ফিরতে বেশ দেরী হচ্ছে। বাইপাস জুড়ে মেট্রোর রেলের কাজ চলছে ত্রিশ মিনিটের রাস্তাটা এখন প্রায় দেড় ঘন্টার জটিল পথ। সে অনুপমকে ফোনে জানিয়ে দিয়েছে রান্নাটা করে রাখতে।
জানুয়ারি শেষ হয়েছে গত হপ্তায়, তবু কলকাতায় এখনও শীত সরেনি। পাটুলিতে নেমে হাঁটা শুরু করলো রাত্রি। বেশ সাজানো গোছানো রাস্তাঘাট। বিয়ের পরেই সে আর অনুপম পাটুলির দু’কামরার ফ্ল্যাটে নিয়েছে, বেশ সুন্দর জায়গাটা। সোডিয়ামের হলুদ আলো আর রক্ত পলাশে ভেসে যাচ্ছে ফুটপাত গুলো। মেইন গেটটা খুলে সিড়ি বেয়ে সে উঠে এলো ফ্ল্যাটের দরজার সামনে। আজ যেন ক্লান্তিটা বেশী লাগছে রাত্রির। বসন্ত কালে যেন ক্লান্তিটা বেশী গ্রাস করে মনটাকে।
-নে চটপট ফ্রেস হয়ে নে। আমি কফি বসাচ্ছি। অনুপম দরজা খুলতে খুলতে বললো কথাগুলো।
-তুই কি কাল বেরোবি?
-নারে কালও আমার ওয়ার্ক ফ্রম হোম।
-ভালোই আছিস বল, এই ভীড়ের হ্যাপা পোয়াতে হয় না।
-নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস… ছাড় তুই আয় তাড়াতাড়ি।
ড্রয়িং রুমে হালকা গান চলছে, অ্যাকুরিয়ামের বুদবুদগুলো উঠে চলেছে। সামনাসামনি বসে আছে রাত্রি আর অনুপম।
-তোর কিন্তু কফি বানানোর হাত বেশ ভালো।
-দোকান দেবো বলছিস?
-দিতে পারিস, এমনিতেই মাসে পনরোদিন বাড়ি থেকে কাজ করিস।
-হা হা তা যা বলেছিস্। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো তোর একটা চিঠি এসেছে রাত্রি।
-সে কি এই মেলের যুগে চিঠি, কার চিঠিরে?
-মিস্টার শশধর মুখার্জীর।
কিছুক্ষণের নিস্তধতা কাটলো রাত্রি ছোট্ট কথায়
-দাদুভাই এর চিঠি। অনুপম চিঠিটা তার হাতে দিলো।
-তুই চিঠিটা পড় আমি কিচেনে গেলাম।
রাত্রি চিঠিটা পড়তে শুরু করলো।
স্নেহের সোনা-মা,
আশা করি ভালোই আছিস? দেখতে দেখতে তিন বছর হয়ে গ্যালো, তোদের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। ভাবছিস তোদের ঠিকানা পেলাম কি করে? তোর স্বামী তো এখন বেশ বিখ্যাত, খবরের কাগজে প্রায় তার নাম বের হয়। পাশের বাড়ির রমেনই তোদের ঠিকানাাটা জোগাড় করে দিলো। ছেলেটার সাথে ব্যবহারটা আমি সত্যিই খুবই খারাপ করেছি। কিন্তু কি করবো বল, একটা বাপ মা মরা মেয়েকে ছোট থেকে মানুষ করেছি, মনে মনে একটা লোভতো থাকে নিজের পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে দেবো। এখন মানি বড্ড স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম। ছেলেটির তখন তেমন কিছু করতো না, তবু একটা জেদ ছিলো ব্যাটার। আমি জানি তোকে ছেলেটি খুব যত্নে রেখেছে। আমার মুখের ওপরে বলেছিলো- ‘আপনার থেকে আপনার নাতনিকে আমি বেশী ভালো রাখবো এটা অনুপম মিত্রের চ্যালেজ্ঞ’। এই বাজিটাতে আমি হারতে চাই সোনা-মা, হয়তো হেরেও গেছি।
তোর মনে আছে ছোটবেলায় রাতে ছাদে তোকে তারা চেনাতাম? সেই উত্তর দিকের ধ্রুবতারা নীল রঙের, তোদের বাড়ি থেকেও দ্যাখা যায় হয়তো, যদি পারিস আজকে একবার দেখিস এই বুড়ো মানুষটাকে তো মনে পড়বে।
সময় মানুষকে ক্ষমা করার ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না বেশ কয়েক মাস। সব ভূলতে পারলে একবার ঘুরে যাস তোরা।
ভালো থাকিস তোরা।
ইতি
দাদুভাই
চিঠিটা বেশ কয়েকবার পড়লো রাত্রি। মনভারী করা ফাগুন মাসে মন খারাপ করা লেখা। ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে করছে গ্রামের ওই বাড়িটাতে।
-রাত্রি খেতে আয়। অনুপমের তিন বারে ডাকে রাত্রি উত্তর দিলো।
-তুই খেয়ে নে অনু, আমার ক্ষিদে নেই রে।
-আমি জানতাম তাই তো রান্নাই করিনি আজ।
-অনু উত্তর দিকটা কোনটা?
-আমাদের ব্যালকনির বামদিকটা।
ব্যালকনি দাড়িয়ে রাত্রি,মনের মাঝে আজ হাজার স্মৃতীর ভীড়।সে খুঁজে চলেছে সেই নীল তারাটা,যে তাকে ছোট থেকে চিনতো।এই বিশাল শহরে শুধুই সেই দেখেছে তার বেড়ে ওঠা।
-যেটাকে খুঁজছিস ওটাকে দেখতে হলে ছাদে যেতে হবে রাত্রি।যাবি এখন?
-কি খুঁজছি বলতো?
-ধ্রুব তারা খুঁজছিস। তোর মুখেইতো শুনেছি দাদু নাতনি মিলে তারা দেখতিস। যাবি একবার ছাদে?
-না রে কাল যাবো। কটা বাজলো রে? কাল আবার অফিস বেরোতে হবে।
-কালতো হবে না রে এখানে?
-ক্যানো রে।
-কাল এইসময় তো আমরা বরজোরাতে। সকালের ব্ল্যাক ডায়মন্ডের টিকিট কেটে ফেললাম।
-মানে? আমার অফিস তোর কাজ? ছুটি দেবে না।
-আগে মানুষ তারপর কাজ। সব ম্যানেজ হয়ে যাবে।কিছুদিন শ্বশুর বাড়িতে আদর খেয়ে আসি।
-শুধু খাওয়ার চিন্তা। বাঙাল একটা।
– নে আজ একটু চকোলেট কুকিস এনেছিলাম। খেয়ে নে, ব্যাগ গোছাতে হবে।
সকালবেলা হলেও হাওড়া স্টেশনে যথেষ্ট ভীড়। যথা সময়ে ট্রেনটা ছাড়ল। অনুপমের মুখের বিরাম নেই। ব্যান্ডেল থেকে পাউরুটি, ডিম; বর্ধমানে লেবু চা ইত্যাদি। রাত্রি আজ একটু চুপ। অনেকদিন পর ঘরে ফেরা। দূর্গাপুরে নেমে রাত্রি জোরে এক শ্বাস নিলো। অনেক দিনপর এক চেনা গন্ধ ফেলে আসা কতো স্মৃতি। দামোদরের ব্রিজ পেরিয়ে ডানদিকে তার স্কুল বরজোরা গালর্স, খানিকপথ পেরিয়ে যখন তার বাড়ির সামনে গাড়িটা দাড়ালো তখন ঘড়িতে সাড়ে দশটা।
বড় গেটটা পেরিয়ে বাড়ির সদর দরজা। কথা জড়িয়ে যাচ্ছে রাত্রির। একদিন সে এই দরজা দিয়েই বেরিয়ে গিয়েছিলো তার ভালোবাসার জন্য। তারা হয়তো সফল তবু মনের কোথাও তো সেই দিনগুলো পড়ে আছে।
-দাদু ভাই। কাঁপা কাঁপা গলাতেই ডাকলো রাত্রি।
ভিতর থেকে বেরিয়ে এলেন এক বয়স্ক ভদ্রলোক।
-তোরা এসেছিস সোনা মা। আমি জানতাম..। ওরে দীনু দ্যাখ কে এসেছে।
অনুপম দাড়িয়ে কিছু দেখছে। তার বজ্র কঠিন বউ এর চোখে জল। সব ধাতস্থ হতে সময় নিলো বেশ খানিকক্ষণ। রাত্রির ছোটবেলার ঘরে তাদের শোয়ার ব্যবস্থা হলো। পুরো ঘরটাই ভীষণ ভাবে গোছানো। ঘরটাও যেন তাদের অপেক্ষায় ছিলো। দুপুরে এলাহি ভূরিভোজ, মেয়ে জামাই প্রথমবার বাড়িতে এসেছে। যদিও বাড়ির লোকসংখ্যা দুজন তবু যেন হাজার মানুষের খুশী।
-অনুপম তুমি তো গোয়েন্দা হিসাবে বেশ বিখ্যাত হয়ে গ্যাছো। খেতে জিজ্ঞাসা করলো শশধর।
-না দাদু তেমন কিছু নয়। আমি সাইবার ক্রাইমের উপর কাজ করি। বাকিটা তো শখের বলতে পারেন।
-সাইবার ক্রাইম? মানুষ যত বুড়ো হচ্ছে ততো অপরাধের বিভাগ বাড়ছে। আরও কত কি দেখতে হবে কে জানে। তবে একটা কথা সব গোয়েন্দার যেমন সহকারী থাকে তোমার কেউ নেই?
-আছে তো?
-তাকে আনলে না তো?
-এনেছি তো। আপনার নাতনি।
রাত্রি খাওয়া থামিয়ে চোখটা বড় বড় করলো।
-দাদুভাই তুমি ওর কথা শুনবে না একদম।
অনুপম রাত্রিকে প্রায় থামিয়ে দিয়ে বললো,
-কিছু কেসে ওর হেল্প ছাড়া শেষ করতে পারতাম না। আপনার নাতনি বিউটি উইথ ব্রেন।
-কি হচ্ছে অনু, গুরুজনের সামনে…।
শশধর হেসে উঠলো, তোমরা তাহলে গোয়েন্দা দম্পতি।
-বলতে পারেন। হেসে বললো অনুপম।
-আচ্ছা মিত্তির বাবু বলুনতো স্বামী স্ত্রী গোয়েন্দা চরিত্র প্রথম কবে প্রকাশিত হয়?
অনুপম রাত্রির দিকে চাইলো, রাত্রি ঘাড় নাড়লো। অনুপম বেশ কিছুক্ষণ চুপ। থালায় আঁকিবুকি কাটছে। রাত্রি জানে অনুপমে মাথায় প্রসেসিং চলছে। তারপর হঠাৎ বলে উঠলো
-সাল ১৯৩৩ বা ১৯৩৪ আমেরিকান লেখক ড্যাসেল হ্যামেটের চরিত্র ছিলো নিক আর নোরা চার্লস, গল্পটা মনে হয় ‘দ্যা থিন ম্যান’। পরে ওটা নিয়ে সিনেমা হয়। সেই সালটা মনে নেই।
-সাবাস সাবাস অনুপম। গল্পগুলোর প্রথম ফিল্ম সিরিজ বার হয় ১৯৩৪। পরে অবশ্য অনেক গল্প বেরিয়েছে। দুপুরে না ঘুমিয়ে আজ নয় তোমার সাথে আড্ডা দেবো।
-নো প্রবলেম।
আজ বৈঠকখানায় কথার খৈ ফুটছে। অনুপমের গল্প রাত্রির গল্প কথা যেন শেষ হচ্ছে। দীনুদা সন্ধ্যা বেলায় চা দিয়ে গেলো। শশধর বাবু দেরাজ আলমারি এক সুন্দর খাম বার করে রাখলো।
-তো গোয়েন্দা দম্পতি তোমাদের এক ধাঁধার উত্তর হবে। দেখি তোমাদের কেমন বুদ্ধির দৌড়। এই খামে লেখা আছে।কাল ঠিক এইসময়ে আমার উত্তরটা চাই।
অনুপম একটু নড়ে চড়ে বসলো। রাত্রি খামটা খুললো। ভিতর থেকে একটা কাগজ বেরোলো তাতে লেখা।
“বলেছি ভূবন ছুটে চলেছে সবিতার ঘোরে,
অন্ধ আমি তবু রেখেছো আমায় রুদ্ধদ্বারে।
তোমাতে আমায় খুঁজে নাও শুধু জন্ম তারিখে,
তোমার ছবিঘরে আছে সে,জিবনের সাথে আদরে।”
রাত্রিরা নিজের ঘরে এসে বসলো। অনুপম বেশ গম্ভীর হয়ে বসে আছে। রাত্রি কবিতাটা বেশ কয়েক বার খাতায় লিখে ফেললো। ঘড়িতে রাত সাড়ে ন’টা। দীনুদা রাতের খাবার জন্য ডেকে গ্যালো।
-দুর কোথায় ভাবলাম শ্বশুর বাড়ি সাটিয়ে খাবো, কিছুই হোলো না। রাত্রি পুরো কেস বুঝলি।
-হু, চল ছাদ থেকে ঘুরে আসি। আর রাতে খাবার পেটে জায়গা নেই। দাদুভাই কে গুড নাইট করে আসি।
-হু ঘুরে আসি। রাত্রি ভূবন মানে পৃথিবী তো আর সবিতা মানে সূর্য। তাহলে পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ছুটে চলেছে।
-একদম ঠিক। বলেছি ভূবন ছুটে চলেছে… কে বলেছে? কোনো বিজ্ঞানী?অনুপম? রাত্রি পরপর লিখে চললো।
-অন্ধ আমি তবু রেখেছো রুদ্ধদ্বারে… মানে অন্ধ কেউ..। রাত্রি.. বিজ্ঞানী গ্যালিলিও? অন্ধ হয়ে জেলে ছিলো শেষ বয়সে তাই তো ভাই।
-একদম। গ্যালিলিও..। খুঁজে নাও জন্মতারিখে..।
-১৫ই ফেব্রুয়ারি, ওঁনার জন্মদিন। তোমাতে আমায় খুঁজে নিও..। মানে মানে.. রাত্রি কিছু বল।
-হু, তুই জীবন বানানটা ভূল। ই কার লিখেছে।
-ওটা পরে ভাববো..। তোমাতে আমায় খুঁজে নাও..। মানে তুই..।
-তোর জন্মদিন ১৫ই তাইনা? তাহলে পুরোটাই তোকে ঘিরে। তোর কোনো ছবিঘর ছিলো।
-দুর নানা ছবি ঘর আবার কি একটা অ্যালবাম ছিলো। তাতে ছবি আটকাতাম। এখনকার স্প্যাম বুকের মতো। কুকুর, বিড়াল জীবজন্তুর ছবি মারতাম।
-কোথায় সেটা বার কর।
-আলমারীতে ছিলো দাড়া দেখছি। রাত্রি উঠে গিয়ে খুঁজতে থাকলো।
-অনু এই দ্যাখ কোন ছোটোবেলার জিনিস। কি ভাবছিস এতো।
-জিবন মানে কি রাত্রি?
-জীবন মানে জীবন।
-জিবন মানে বিড়ালের ডাক, জ-ই জিবন, ওটা বানান ভূল নয় সোনা-মা। তোর কোনো বিড়ালের ছবি আছে?
-এই তো এইতো…। রাত্রি বেশ উত্তেজিত হয়ে ছবিটা।
ছবিটা উল্টে দেখলো দুজনে একই হাতের লেখা:
“যদি আ-ছাড় দিয়ে রবি ঠাকুর পরতে চাও গলে
যাহা সুধাকর রেখেছে সবার আড়ালে
তবে খুলবে জট শুধু সংখ্যার যাদুবলে
বেদের কথা রেখো চোখে, বাকিটা সাগরের অতলে।”
ছবিটা দেখে তারা আবার নতুন ভাবে শুরু করলো। সারাদিনের ক্লান্তি যেন উধাও হয়ে গেছে দুজনের। কখন যে তারা ঘুমালো কেউ তার হিসাব রাখেনি। সকাল বেলাও দুজন শুধু ইন্টারনেটে কিসব ঘেটে চলেছে। দুপুরে খাওয়ার পর আবার তারা একসাথে বসলো। শশধর বাবু বেশ উত্তেজিত।
-কি গোয়েন্দার দম্পতি উত্তর পেলে এই বুড়োর ধাঁধার।
অনুপম শুরু করলো।
-প্রথমেই বলি এক দারুন ধাঁধা দিয়েছেন।
শশধর বাবু বেশ গদ গদ হয়ে উপভোগ করছে ব্যাপারটা। প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা বিস্তারিতভাবে ব্যাখা করলো অনুপম।
-গুড তোমরা তাহলে পরের ধাঁধাটাও খুঁজে পেয়েছো।
-হু পেয়েছি সেটা বলবে আপনার নাতনি। ওটা ওই ভেঙ্গেছে।
রাত্রি শুরু করলো।
-দাদুভাই দ্বিতীয় লাইনে আছে যাহা সুধাকর রেখেছে যতনে.. সুধাকর মানে চাঁদ.. মানে তুমি.. তোমার নাম শশধর।
-গুড। তারপর?
-তারপর.. একটা পাসওয়ার্ড আছে এবং সেটা সংখ্যা… ‘খুলবে জট সংখ্যার জাদু বলে’।
-ভেরি গুড, ভেরি ভেরি গুড।
-সংখ্যাটা ৪৩৭।
-একদম সঠিক, কিন্তু কিভাবে?
-বেদের কথা রেখো চোখে বাকিটা সাগরের অতলে। একটু চুপ থেকে রাত্রি বললো চারে বেদ, চোখ মানে নেত্র মানে তিন, আর বাকিটা সাগরের অতলে..সাত সাগর..মানে ৪৩৭।
-অপুর্ব।
-এখন প্রশ্নটা হলো জিনিসটা কি। প্রথম লাইন ‘যদি আ-ছাড় দিয়ে রবি ঠাকুর পরতে চাও গলে’
কি কবিগুরুর কি গলায় পরা যায় দাদুভাই?
আ ছেড়ে দিয়ে মনিহারা মানে মনিহার তাইতো?
অনুপম রাত্রির মুখে বিজয়ীর হাসি। শশধর বাবু একটু চুপ করে গেলেন। কিছুক্ষণ বাদে উঠে নিজের ঘরে গেলেন। বেশ খানিকক্ষণ বাদে বেরিয়ে এলেন সঙ্গে একটা বাক্স।
-এইটা রাখ তোদের উপহার।
-কি এটা দাদুভাই?
-দ্যাখ না।
বাক্সের ভিতরে সোনার হার..। চোখ জুড়ানো তার কাজ। দেখেই মনে হয় গয়না বেশ পুরানো।
-এটা আমার ঠাকুমার এই বাড়ির ঐতিহ্য। আজ থেকে এটা তোর। তোদের জুড়ি শিব পার্বতির জুটি। অনুপম আমাকে ক্ষমা করো…
-ছি ছি দাদুভাই..। আমি তো ওসব মনে রাখিনি। দীনুদার হাতের রান্নাটা কিন্তু চরম। রাতের খাবারটা জমিয়ে হবে আজ।
-তোর শুধু খাবার চিন্তা, বাঙাল কোথাকার। রাত্রি বলে উঠলো।
হেসে উঠলো সবাই।
-সুখে থেকো আরও বড়ো হও গোয়েন্দা দম্পতি।
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
নভেম্বর চলছে। অনির সাথে আজ দেখা হবে তা জানাই ছিল। এই তো ক’দিন আগেই দেখা…..
বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..
এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..