আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
মাটি ভিজলেই জলের মায়া জাগে, বৃষ্টি ঝাপসা
মুখের সামনে থেকে ধুয়ে যায় প্রত্নযন্ত্রণার ছমছমে শোক
আমি শিহরিত, সেই পাখিগুলো ফিরে আসে, সন্ধ্যায় যারা
রটিয়েছিলো, রোদ্দুরের পুড়ে যাওয়া ক্ষত উপসম জানেনা
বৃষ্টির পূর্বকথন রোদ্দুরের নোনা শরীরের ঘামে
ডানা শুকিয়ে রেখেছিলো স্নানের প্রত্যাশায়, এই ত্রিমুখি জলে
ভিজে যায় গান, আদ্রতা উন্মুখ প্রভাতী সুর
শিহরির হই, পাতায় বিন্দু বিন্দু ঝরে জল
অচেন হরফের আত্মায় লেগে যায়, বিষাক্ত খনিজ
আড়ালের অঙ্কুরে গোপন কীটের মতো,
পাণ্ডুলিপি ভিজে গেলে, বৃষ্টি সন্ধায়
জলের গায়ে উরে এসে বসে আদ্র লিরিক
বৃষ্টির সান্ধ্যকালীন আরাম,
স্রোতে স্রোতে ভেসে যায় মগ্নতার যাবতীয় কূট কৌশল
চরবাসী তরমুজ চাষী জানে
পাহাড়ে বৃষ্টি হলে নদী ফুলে ওঠে অভিমানে
হাওয়া বালক জানে নিষিদ্ধ অনুবাদ, ভাঙ্গনের স্বরলিপি
নদীর চরের উপোষী সেই সুনসান রাতে,
কাঁদে কুমারীর অন্তঃস্বত্তা গান
মাটি ভিজলেই জলের দারিদ্র বুঝে কতিপয় জল-পাখি
ঠোঁটে করে নিয়ে আসে দীর্ঘপঙক্তির আর্ত স্বর
পুরোনো মেঘের গায়ে চরকাল রয়ে যায়
সূর্যাস্তের লালাভ এক অন্ধ চিঠি, বৃষ্টি ঝাপসা দিনে
সেই মেঘ জলের গায়ে এঁকেছিলো আমাদের ক্ষতের যন্ত্রণা
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..