প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
প্রকৃত ব্যথার পাশে জেগে ব’সে উপশমটিকে
তাড়া করে সেই সন্ন্যাসিনী- আমাকে শুশ্রূষা দেয়
সেরে ওঠা প্রয়োজন ব’লে! নাহলে কবেই কোন মেঘ এসে
লণ্ডভণ্ড করে দিত ভেতরের সমস্ত আকাশ
পূর্ণ সমর্থন নিয়ে কোনও সমুদ্রকন্যার মতো কিছু ফুল
স্মৃতিতে সাঁতরে যায়- ভেসে ভেসে দূরে চ’লে যায়
তারা কেউ হয়ত বা খুব বেশি পরিচিত ছিল
এতটা প্রয়াস! আমি এতখানি দৃশ্যসচেতন, এতদিন
দৃশ্যটিকে আগলে রেখেছ! শুধু… সমস্ত ব্যথার
জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ-বিস্ময় নিয়ে শব্দের ভেতরে আমি
শব্দ হয়ে লিখিত শ্রমের অন্তরে প্রতীক্ষা করি-
সেই প্রতীক্ষার পাশে সমস্ত ব্যথার আলেখ্য লিখিত হয়
গ্রন্থেও মুদ্রিত হয় প্রাণ- যাকে আমি এতকাল সূর্যাস্ত ভেবেছি
শরীরে সফল কোনও পিপাসার মতো নড়েচড়ে
নিজেকে প্রকাশ করি তারপর নিভৃতে দাঁড়াই
দেখি, কোন আলো এসে আমার মতোই সংশয়ে
প্রকাশ্যে উদীয়মান… আসলে বেদনাহত নেভা
অতএব সকলের এভাবে ব্যাহত হওয়া রীতি
এভাবে সন্দেহে মিশে গাঢ় হয় পরিণতি ক্রমে
সকলে-সবাই এই কৌশলে নিজেরা রচিত- কিছুটা লিখিত
আর বাকিটুকু সমর্পনে রাখা! কোন সমর্পন?
তুমি কোন বাক্য লিখে তাকে অমর করেছ?
অথচ বিষাদ! তুমি যে শব্দের সম্মতি দিয়েছ
শরীরে সফল যত পিপাসায় থেকেছ চকিত
তাকে বলি– হে বালক, পড়েছ কি রমেন্দ্রকুমার?
১.
সময়ের পাশে তুমি অতীত সময়
শুয়ে আছ– কেউ আর ডাকবে না বলে
যে ঘুম ভাঙে না কারো কোনও কলরোলে
সে ঘুম তোমাকে দিক চিরনিরাময়
বিস্তৃত আঁধার তবু ছড়িয়ে পড়েছে
দু-এক পশলা তাতে তীব্র সম্মোহন
বিরতি ব্যহারে কোনও অতি প্রিয়জন
তোমাকে মৃত্যুর কাছে কামনা করেছে
চেতনা অথচ শুধু নিয়তিবাহিত
সময়ের আগে কোনও সময় আসে না
যথাযথ ভাবে হয় সব পাওয়া-দেনা
নিয়তি নিমিত্ত, সব কর্মফলধৃত
আসা ও যাওয়ার মাঝে থাকার প্রয়াসে
যা কিছু হারিয়ে যায়- সব ফিরে আসে
২.
সহাস্যে ঢাকা যে ক্ষত অমলিন লাগে
হাসিতে আড়াল থাকে ব্যথা, অশ্রুজল
বিষাদের কাছে শুধু এটুকু সম্বল
অশ্রুই আঁখিকে চেনে দৃশ্যদের আগে
আগুন জ্বলেছে যদি– স্ফুলিঙ্গ তো ছিল
বারুদ বারুদে ঘষা অথবা হৃদয়ে
সঘন সাক্ষাৎ বেড়ে ওঠে পরিচয়ে
আলাপে হিসেব থাকে, থাকে গড়মিলও
যাদের অশ্রুর চেয়ে হাসিটা শানিত
তারা তো কাঁদে না শুধু ক্ষয়ে যেতে থাকে
যে জ্বালা নিভৃতে রাখা সেটা ব্যক্তিগত
নিয়তি সকল দিকে পথ খুলে রাখে
শেষের আগে ও পরে শুরুর সূচনা
হৃদয়ে অশ্রুর পোড়া-ক্ষতটা মুছো না
৩.
অন্ধকার স্তব্ধ হয়ে– ঈপ্সিত আয়ুধ
বড় বেশি ক্ষমাশীল, রহস্যে আবৃত
বেদনার মতো কেউ তৃপ্ত, পরাজিত
চিরন্তন অন্ধকারে মুহুর্মুহু বুঁদ
দ্যুতি নয়, ছটা নয় অপূর্ব সে ধারা
অসীম ফ্যাকাসে নয় কালো শুধু কালো
আঁধার নিজেকে ছুঁয়ে এসে চমকালো
চিরস্থায়ী ক্ষত নিয়ে স্তব্ধ সে বেচারা
সমাচ্ছন্ন ঘ্রাণ, রূপ, আয়ু, অশ্রু, হাসি
নিষ্ক্রিয় ক্রিয়ার পাঠ গাঢ় কাল্পনিক
সীমিত আড়াল রাখা, খোলা উল্টোদিক
অপঘাতে দিকভ্রম, অশ্রুর প্রয়াসী
সৃষ্টিধার্য উপমায় আপেক্ষিক সব
ঈপ্সিত রহস্য হোক আঁধার-বান্ধব
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..