ঘূর্ণাবর্ত

রুমা ব্যানার্জি
গল্প, নারী
Bengali
ঘূর্ণাবর্ত

মোটামুটি ভিজে জবজবে হয়ে,কোন রকমে এক হাতে দলিলের তোড়া নিয়ে, অন্য হাতে ট্রলি ব্যাগের হ্যান্ডেল ব্যালেন্স করতে করতে চেন্নাই এয়ারপোর্টে ঢুকল মিমি ওরফে দময়ন্তী। মিমি কলকাতার এক বিশিষ্ট আইনী প্রতিষ্ঠানের দাপুটে আইনজীবী।কর্মসূত্রেই মাসে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন প্রদেশে যাওয়া আসা করতে হয়। সাধারণত ভোরের ফ্লাইট ধরে এসে মামলা লড়ে আবার  রাতের ফ্লাইটে ফেরে। আজও তেমনই একটা ঘর মুখী যাত্রার বৃষ্টি ভেজা রাত। যদিও এই সময়টা বৃষ্টি হয়না, তবে আবহাওয়ার সতর্কবাণী ছিলই। মামলার চাপে সেটা মাথা থেকে বেমালুম উবে গিয়েছিল। দুপুর থেকেই আকাশের মুখ ভার। মামলা সেরে বেরিয়েই মন  আশঙ্কায় ভার হয়ে গেল। মনে মনে প্রমাদ গুনলো। বৃষ্টি হলেই সর্বনাশ। একে বিদেশ তাতে ভাষার সঙ্কট। গাড়ি পেলে হয়। মনে একটা ক্ষীণ আশা যদি বাড়ি পৌঁছানোর পর বরুণদেব দেখা দেন। কিন্তু না, সব আশায় জল ঢেলে বিকাল থেকেই নেবে পড়ল তুমুল বৃষ্টি। খাওয়া দাওয়া মাথায় উঠল,  কোন রকমে ক্যাব ধরে এয়ারপোর্টে পৌঁছানো ছাড়া তখন আর কিছুই মাথায়  ছিল না।

বিধি বাম, আবহাওয়া খারাপ হওয়ার জন্য ফ্লাইট ডিলেইড। অগত্যা এক কাপ গরম কালো কফি নিয়ে মিমি বসল লাউঞ্জে। বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। পর পর বাজ পড়ার শব্দে কেঁপে উঠছে সারা শহর। তার সঙ্গে কেঁপে উঠছে মিমি। বৃষ্টির সঙ্গে যে তার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। তার জীবনের সব উল্লেখযোগ্য ঘটনার সঙ্গেই বৃষ্টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারো কাছে বৃষ্টি মানে ঘরের বন্ধ কাঁচের আড়ালে বৃষ্টি দেখা কারো বা হাতে হাত রেখে ভেজা আর মিমির মত মানুষদের কাছে বৃষ্টি হল অগত্যা নিরাশ্রয় হয়ে স্মৃতিতে জলছবি আঁকা। মনে একটাই  সুর বাজে… ‘যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙল ঝড়ে’…

সেটাও ছিল একটা বৃষ্টি মুখর দিন। সারাদিন রিমঝিম রিমঝিম। রাস্তায় পাতা ডোবা জল, তবে বেশিটিই নর্দমা উপচানো তাই নংরা তো বটেই।মিমি ফিরছিল তার সিনিয়রের বাড়ি থেকে।ভেবেছিল যদি পা ভেজাতেই হয় তাহলে লেকের ধারে ঘাসের জলটাই শ্রেয়। পথটা একটু ঘুর হলেও মনে খুব আরাম এনে দেয়। কিছুটা নির্জন বলেই আরো পছন্দ মিমির। কত ধরনের শব্দ ভেসে আসে। এই একটা জায়গায় এলে এখনো মনটা সবুজ হয়ে যায়। বড় বড় বিল্ডিং হওয়ায় চুরি যাওয়া আকাশটা এখানেই হাত বাড়িয়ে ছোঁয়া যায়। ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যাঙের ডাক আর গাছের পাতা থেকে টুপ টাপ ঝরে পড়া শব্দ ছাপিয়ে কানে এল এক জলদ গম্ভীর গলায় কটা কলি….

শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা
নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈ সে যাওব অবলা কামিনী রে।
উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ।
দমকত বিদ্যুত, পথতরু লুন্ঠিত, থরহর কম্পিত দেহ
ঘন ঘন রিমঝিম, রিমঝিম রিমঝিম, বরখত নীরদপুঞ্জ।

একে বাঙালি তাতে বৃষ্টি উপরন্তু  রবিঠাকুর। যা হবার তাই হল। ওই বাউন্ডুলেটার সঙ্গে  জড়িয়ে গেল মিমি। বলা ভাল ভেসে পড়ল। বাউন্ডুলে জীবনযাপন কিন্তু শুনতে যতটা রোমাঞ্চকর ঠিক ততটাই অবাস্তব। ফলে যা হবার তাই হল। কিছুদিন পরেই তার জীবনে সত্যি সত্যি ঝড় উঠল। সব আশা, সব আকাঙ্ক্ষা, সব স্বপ্ন ছারখার হতে লাগল একে একে। সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতা হল যখন এমনই এক বৃষ্টি ভেজা রাতে মিমির হাতে ডাক্তারের রিপোর্ট দেখে সে দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করল। আর আশ্চর্যভাবে এই সিদ্ধান্তকে নীরব সমর্থন দিল তার বাড়ির লোকজন! মিমির জিজীবিষা শেষ হয়ে আসছিল কিন্তু তাই লড়াই করার অদম্য ইচ্ছাটা মাথা চাগাড় দিয়ে উঠল। মিমি ঠিক করে নিল ওই ছোট্ট প্রাণটাকে আঁকড়ে শেষ চেষ্টা করবে সে। শরীরের মধ্যে বাড়তে থাকা ছোট্ট প্রাণটাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল মিমি। শুরু হয় তার অনিশ্চিতের পথে পাড়ি। ঈশ্বরের কৃপায় একটা চাকরি ততদিনে সে পেয়ে গিয়েছিল।

সেই সংগ্রামের দিনে একবার যেতে হয়েছিল মুম্বাই। কুরলা এক্সপ্রেসে, দু’রাত সাধারণ স্লিপার ক্লাসে, সাইড বার্থে তাও সিট নম্বর এক, অর্থাৎ সামনেই টয়লেট। শরীর জুড়ে তখন তার মা হওয়ার লক্ষণ ফুটে উঠেছ। শারীরিক কারণেই দুই রাত কেটেছিল বসে বসে,শুধুমাত্র ওই ছোট্ট ধুকপুক টাই তখন সঙ্গী আর ছিল অবিশ্রান্ত বৃষ্টি। অনেকেই ঘুমিয়ে পড়লেও মিমি দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি। অন্ধকারকে মিমি চিরদিন ভয় পায়, তার ওপর ছিল শারীরিক অন্তরায়। ঘুরে ফিরে কবির কথাটা মনে পড়ছিল…

অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে।
নিদ্রা নাহি তোমায় চাহি আমার নয়ন-পাতে।।

রাত জাগলে যা হয়,সেটাই হচ্ছিল, যত রকম স্মৃতি ভেসে উঠছিল, বার বার ফিরে আসছিল দুটো কঠোর চোখ, ব্যঙ্গাত্মক হাসি। তবুও এমন রাতে মনে মনে মিমি তাকেই খোঁজে বার বার। একটা সময় মিমি দেখল যে তার জলের বোতলে আর একটুও জল নেই। গাড়ি থামল বটে কিন্তু জল ভরতে গেলে যদি ট্রেন ছেড়ে দেয় তাই নামতে সাহস হল না। দুটো কম বয়সী ছেলে নামলো কিন্তু কুন্ঠায় জল এনে দেওয়ার কথা বলতে পারলো না। শুধু পেটের মধ্যে থাকা বাবুর গায়ে হাত বুলিয়ে বলল… বাবুরে আর পারছিনা, তুই থাকলে একটু জল এনে দিতিস, তাই না রে। বাবু নড়ে উঠল। হয়তো সাড়া দিল, বাইরের বৃষ্টির ছাঁট এ ভিজে যাওয়া চোখটা আর একটু ঝাপসা হয়ে গেল। সে আর একা নয়, তার বাবু আছে তার সঙ্গে।

চিন্তার জাল ভেঙে গেল ভাইব্রেশনে থাকা মুঠো ফোনটা কেঁপে ওঠায়।  স্ক্রিনে ভাসছে… বাবু কলিং।

—‘ কি রে কোথায় ছিলিস? আই ওয়াজ সো ওয়ারিড, বাবু।

–‘ স্নানে ছিলাম তো। বলো কি বলবে।ফ্লাইট ছাড়ে নি এখনো?

— না রে। টরেনশিয়াল রেন। গট হেলড আপ। তোর ভয় করছে না তো,বেটু? মাসিমণিকে কি বলব তোর কাছে চলে আসতে?

—” আরে নাআআআআ। আমি এখন বড় হয়ে গেছি মা। তাছাড়া মাসিমণির বাড়ির সামনে এক হাঁটু জল। তুমি চিন্তা করো না। আমি ঠিক আছি। ডোন্ট ওয়ারি মা।

একটা বাজ পড়ল কোথাও, নেটওয়ার্ক চলে গেল। ডিসপ্লেতে তখনো ফ্লাইট ডিলেইড দেখাচ্ছে। আধ খাওয়া কফিটাও ঠান্ডা হয়ে গেছে। মুখটাআও বিস্বাদ, সারাদিনের না খাওয়ায় খিদেটাও মরে গেছে। খাওয়ার প্রতি স্পৃহাটা অবশ্য সে দিনেই মরে গিয়েছিল যে দিন রাননা ঘরে ঢুখে ভাত বেড়ে নেওয়ার শাস্তি স্বরূপ ভাতের হাঁড়িটা ফেলে দিয়েছিল মিমির শাশুড়ি। সেই অপমানের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেনি, মিমিও করেনি শুধু চোখের জল ফেলেছিল নিঃশব্দে। মানুষটা নাহয় নিস্পৃহ কিন্তু আর সবাই তো ছিল শাশুড়ি, ভাসুর, জা তবুও তারা ছিল নীরবদর্শকের ভূমিকায়, শুধু ছোট্ট পায়েল জড়িয়ে ধরে আধো আধো স্বরে বলেছিল — তাতিমা, তুমি দেও না। পায়েল ছাড়া মিমির সব ছেড়ে চলে আসার সময় কেউ তার পথ আটকায় নি। কিন্তু চোখ রাঙাতে বা শাসাতে ছাড়ে নি। মিমির ভিতরের আত্মাভিমানটা ফুঁসে উঠেছিল। যে সম্পর্কে একে অপরকে সম্মান নেই সেই সম্পর্কের চৌকাঠ পার করতে দ্বিধা করেনি। সেদিনও ছিল ভরা বর্ষা।

তবে একটা বিশেষ বর্ষার সন্ধ্যেটা মিমি কোনদিন ভুলবে না। কদিন ধরেই চলছিল বর্ষা,  কলকাতা তখন উপচেপড়া নর্দমার জলে পান্তুয়ার মত ভাসছে। উত্তর কলকাতার এই অঞ্চলে তখন ভীষণরকম জল জমতো। যদিও অফিস থেকে তখনো গাড়ি পেত না মিমি তবুও অফিসের গাড়ি করে কিছুটা এগিয়ে দিয়ে ছিল এক সহৃদয় সহকর্মী। গাড়িতে জল ঢুকে যাবার উপক্রম না হলে হয়তো বাড়ি অবধি পৌঁছিয়েই দিত। কুন্ঠিত মিমি ধন্যবাদ দিয়ে  তাই কোমর জলেই নেবে পড়েছিল। অচিরেই বুঝল কি ভুল করেছে। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। পা টিপে টিপে চলতে হচ্ছিল। যদি ওই শারীরিক অবস্থায় পড়ে যায়  তাহলে সর্বনাশ। এদিকে রাস্তার টিম টিমে আলোগুলো তখন নিভে গেছে। জল ঢোকার জন্য মোটামুটি দোকান পাট ঝাঁপ ফেলে দিয়েছে। আর একটা মাস তাকে অফিস করতেই হবে। মেটারনিটি লিভটা জমিয়ে রাখছে পরের মাসগুলোর জন্য। তখনতো মোবাইলও ছিল না যে টর্চ জ্বালিয়ে নেবে। চোখ ফেটে জল আসছিল। মনে মনে শুধু ঈশ্বরকে ডাকছিল যাতে এইটুকু পথ নির্বিঘ্নে পার হতে পারে। এমনসময় পিছন থেকে তীব্র আলো এসে পড়ল। মিমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল একটা হলুদ ট্যাক্সি। মিমি একটু সরে গিয়ে জায়গা করে দিল যাতে গাড়িটা পাশ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। কিন্তু গাড়িটা গেল না। প্রথমে ভেবেছিলাম যে নিশ্চয়ই জলের কারণে ধীরগতিতে যাচ্ছে, কিন্তু অন্য গাড়ির গতি দেখে ভুল ভাঙল। মিনিট দশেক বা তার বেশি লেগেছিল ওই অল্প পথটুকু পার করে আসতে। শেষে যখন পায়ের পাতা ডোবা জলে পৌছালো তখন ট্যাক্সিটা পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল। শুধু একটা অচেনা মুখ ড্রাইভিং সিটের জানালা দিয়ে মুখ বারিয়ে বলে গেল “সম্ভালকে যাইয়েগা দিদি।” কোন কিছু বলার আগেই গাড়িটা রাস্তার বাঁকে হারিয়ে গেল। মনে হয়েছিল স্বয়ং ঈশ্বর সেদিন মিমিকে পথ দেখিয়েছিলেন। আজও সেই অজানা দেবদূতের কথা ভাবলে মিমির চোখ জলে ভরে ওঠে, কৃতজ্ঞতায় মাথা নত করে কুর্নিশ জানায় সেই অজানা মানুষটাকে।

মিমি সম্বিত ফিরল ফ্লাইট ছাড়ার ঘোষণায়। মিমি তাকিয়ে দেখল তার নির্দিষ্ট উড়ানের পাশে জ্বল জ্বল করছে… বোর্ডিং। জিনিসপত্র গুছিয়ে উঠতে যাবে ঠিক সেইসময় একটা মেসেজ ঢুকল… তাড়াতাড়ি এসো। ওয়েটিং ফর ইউ। বাবুর মেসেজ। হঠাৎ মিমির চোখ আর মন ভিজে গেল।

মিমি অস্ফুটে বলল…”আসছি রে, আসছি।” এই একটা কথার জন্যই মিমির ভালো থাকা। তার সব খারাপ থাকাকে উপেক্ষা করতে পারা। মিমি জানে যে শুধুমাত্র তার জন্য বাড়িতে অপেক্ষায় আছে একটা প্রাণ, শুধুই তারজন্যই। সঙ্গে আছে ঈশ্বরের আশিস। তবে এই কথাতেই কেন যেন বুকটা ধড়াস করে উঠল। ঘর পোড়া গরু তো তাই বোধহয়।

লাইন দিয়ে বোর্ডিং চলছে। এমনসময় একটা আননোন নাম্বার থেকে কল এল। খুব বিরক্ত লাগে এই কলগুলো এলে। বেশ বিরক্ত হয়েই রিজেক্ট করল কলটা। দিন নেই রাত নেই ফোন করবে। তারপর প্লেনে উঠে জিনিসপত্র রেখে বসতে বেশ কিছুটা সময় কেটে গেল। সুস্থির হয়ে বসে ফোনের দিকে তাকিয়ে অবাক হল… একইনম্বর থেকে আটটা মিসড্ কল? কে করছে? এদিকে প্লেন ছাড়ার আগের আনুষ্ঠানিক কর্মকান্ড চলছে। মিমি চট করে ফোন করল সেই অজানা নম্বরে। প্রথমবার না ধরলেও  দ্বিতীয় বার ফোন ধরল গলাটা অনেকটা চিত্রার মত,কিন্তু পেছনে এত চেঁচামেচি হচ্ছে যে শোনা যাচ্ছে না স্পষ্ট করে।  7 মিমির কাজের মেয়ে, পাশের বস্তিতে থাকে। কিছু বলার আগেই একটা আর্ত চিৎকার ভেসে এল….

…’ও বৌদি গো ফুনডা ধরতে ছিলেনা ক্যেনে গো? ওগো আমাদের যে সব্বনেশ হই গেলোওওও গো…

কথা গুলো যেন কানে সীসা ঢেলে দিল।চোখে  কিছু দেখতে পাচ্ছে না মিমি।থর থর করে কাঁপছে সারা শরীর। গলার কাছে একটা কুন্ডুলী পাকানো যন্ত্রণা। মাথার শিরায় দপদপানি শুরু হয়েছে। হাত থেকে ফোনটা মাটিতে পড়ে গেল। পড়তেই ব্যাটারিটা ছিটকে পড়ে গেল দূরে…যেন বলছে… আমার মতই তোর সবকিছুই দূরে ছিটকে যাবে। ভয়ে কাঠ মিমি শুধুই বিস্ফারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। আজকের এই বৃষ্টি কি আবার মিমির জীবনে নতুন করে কোন বিপদ ডেকে আনল? আর ভাবতে পারছে না মিমি। মাটি থেকে ফোন আর ব্যাটারিটা তুলে হাতে ধরিয়ে দিতে দিতে এয়ারহোস্টেস ভদ্র অথচ কঠিন সুরে বলল-  ম্যাম, ফোনটা বন্ধই থাক, উই আর টেকিং অফ ফর নেতাজি সুভাষচন্দ্র এয়ারপোর্ট। থ্যাংকু।

রুমা ব্যানার্জি। কবি ও গল্পকার। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের কলকাতায়, ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে। রুমা মূলত প্রকৃতি প্রেমিক ও সাহিত্য অনুরাগী। পড়াশুনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিদ্যায় স্নাতক, এরপর আইন ও ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর। ছেলের উৎসাহেই লেখালিখির জগতে আসা।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বালির বেহালা

বালির বেহালা

বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..

তদন্ত

তদন্ত

  এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..