ইমন কল্যাণ
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
রুমী চা খাচ্ছে। ট্রেন একই গতি নিয়ে ছুটে যাচ্ছে, গ্রাম, বন, হাওর, পাহাড়, শহর সব পারি দিয়ে, রুমী বগিতে থাকা সবার মুখের দিকে তাকাতে থাকলো একের পর এক, আর বড় পরিতাপ নিয়ে, অনুশোচনা নিয়ে নিঃশব্দে ভাবতে লাগলো, এদের মাঝে কি কোন বোধ শক্তি নেই? এরা তৃতীয় চোখ দিয়ে কখনো কি বিচার করার চেষ্টা করে না ভালো-মন্দকে? একবার কি এই তর্কবিতর্ক কারি জনগণ ন্যায় অন্যায়ের হিসেব করে বিচারকের আসনে নিজেকে বসিয়ে বলবে না, আমরা মুক্ত, সকল দলের সকল মানুষের ধোঁকা থেকে আমরা মুক্ত, আমরা গণতন্ত্র বুঝি, আমরা সুশাসন বুঝি, এই দেশের জন্য যে নিজের জীবন উৎসর্গ করে, যে ব্যক্তি এই দেশের সকল নাগরিককে প্রজা না ভেবে মনে করেন মনিব আমরা তাকে নেতা মানি, যারা অসৎ যাদের মাঝে কোন সততা নেই, তেমন নেতার নেতৃত্ব আমরা চাই না। যে আমাদের ভাই, আমাদের বাবা, আমাদের মায়ের ভূমিকায় আমাদের ভালোবাসে আমরা তাকে সমর্থন করি, যে ব্যক্তি নিজ এলাকা, নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখেন না, জনগণ তার সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম পায় না, আমরা জনগণ তেমন নেতার নেতৃত্ব চাই না।
যিনি নির্বাচনের সময় অতিথি পাখির মতো আসেন সর্বসাধারণের মাঝে, জনগণের হাতে পায়ে হাসি মুখে ধরে ফেলেন, আবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে ভাব গাম্ভীর্য নিয়ে জনগণকে পাত্তা দেন না, তেমন নেতাও আমরা চাই না। সে যে দলেরেই হোক। যিনি স্বাধীনতার চেতনার ধারক নন, যিনি নিজের স্বার্থ থেকে জনগণের স্বার্থের মূল্য দেন কম, আমরা তাকেও চাই না। যিনি অসাম্প্রদায়িক, সকল ধর্মের সকল মানুষ যার কাছে সম-অধিকার পায়, যিনি সবাইকে সম-দৃষ্টিতে ভালো বাসেন আমরা আমাদের শাসনের অধিকার, আমাদের ভালো-মন্দের নেতৃত্ব তাকে দিতে চাই। তিনি যে মার্কা নিয়েই সংসদ নির্বাচনে আসুন না কেন আমরা সবাই তাকে স্বাগত জানাবো। আমরা এমন নেতা চাই যিনি তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কথা জানেন, তৃণমূল মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পরিশোধিত করে জনকল্যাণকর সেই আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে বদ্ধপরিকর হন, এবং বাস্তবায়নে সর্বদা কাজ করেন।
যিনি বাস্তবিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি, যিনি মুক্তচিন্তার অধিকারী, মুক্ত বুদ্ধিসম্পন্ন, যিনি বস্তু নিষ্ঠ ও যৌক্তিক চিন্তাভাবনার ধারক বাহক, যিনি ধর্মের দোহাই, জাতীয়তার দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে পৃথক করেন না, আমরা এমন নেতা চাই, তার প্রতীক মার্কা ধানের শীষ, নৌকা, লাঙ্গল যাই হোক না কেন, আমরা মার্কা থেকে এমন ব্যক্তিকেই বেশি প্রাধান্য দেব। তর্কবিতর্ক কারি মানুষগুলো একবারও ভাবার বা বলার চেষ্টা করে না, আসুন আমরা খোঁজে বের করি, স্বাধীনতার পর থেকে অবধি কোন কোন নেতা দুর্নীতি গ্রস্ত, কালো টাকার মালিক, কোন কোন নেতা তার নেতৃত্ব থাকাকালে জনগণকে ঠকিয়ে অবৈধ পন্থায় আর রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে টাকার মালিক হয়েছেন, আসুন আমরা একটা তালিকা তৈরি করি, কোন কোন নেতা ঋণ খেলাপি, আমাদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পর কে আর পরিশোধ করেনি, আসুন আমরা সন্ত্রাসী-সমাজবিরোধী, ভূমি দস্যু নেতাদেরকে রাজনীতি অঙ্গন থেকে ঝেড়ে ফেলার জন্য সোচ্চার হই, যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সামান্যতম স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো তাদের গায়ে সবাই থু থু ছিটাই, তারা যে দলেরই হোক যে মার্কারই হোক তা আমরা দেখবো না, আমরা দেখবো নেতার ব্যক্তিত্ব, নেতার নীতি, নেতা কতোটুকু জনকল্যাণের কাজে নিয়জিত। আমরা জনগণ কখনই ভাবি না রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে যারা সন্ত্রাসী, খুনি, দাগি আসামী, মাস্তান, গডফাদার, দুর্নীতিবাজ, কালোটাকার মালিক তাদের রাজনীতি অঙ্গনে কোন স্থান দেওয়া যাবে না।, যে দলে তাদের স্থান হবে সেই দলকে আমরা সর্বসাধারণ সকলেই এক সঙ্গে পরিত্যাগ করবো, বয়কট করবো। আফসোস!
রুমী আবার চায়ে চুমুক দিলো। ঠাণ্ডা চা কিন্তু পরিবেশ এখনো খুব গরম। এখানে রাজনীতির আলোচনা শেষ হবে হাতাহাতির মধ্যে দিয়ে, কোস্তাকুস্তির মধ্যে দিয়ে, এদের কে বলেই বা কি লাভ? জনগণ রাজনৈতিক আলোচনায় গরম হবেই, কিন্তু যারা দেশ পরিচালনা করেন তাদের তো সুস্থ মাথায় কথা বলা উচিত, তাদের কথার তো ওজন আছে, তাদের কথা সমস্ত দেশের মানুষ শোনে, আন্তর্জাতিক মহলে সেই কথা নিয়ে আলোচনা হয়। আর সেই সব নেতা-নেত্রীরা আজ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন অশ্লীল বাকযুদ্ধ, একজনের প্রতি অন্যজনের নিন্দা, তাদের হাল দেখে সুস্থ মাথার মানুষগুলো বড় আক্ষেপ করে আজ। আমরা এমনিই দেশের নাগরিক, যে দেশের সাধারণ চোর ছেঁচছর, পাড়াগাঁয়ের গেঁয়ো মহিলা আর রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বাক চিৎকারের মাঝে তেমন কোন পার্থক্য নেই, এ দেশের নেতারা যুক্তিযুক্ত সত্য কথা থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কোন কথা বললে প্রতিপক্ষ বেশী ঘায়েল হবে, বেশি কষ্ট পাবে, হোক সে মিথ্যে হোক সে বানোয়াট। এই দেশে বঙ্গবন্ধু নিয়ে বিতর্ক চলে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে নিয়ে বিতর্ক চলে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক চলে, মেজর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিতর্ক চলে, এই দেশ যেন তাদের কাছে এক পালা গানের রাজনৈতিক দেশ।
মধ্যরাত।
ট্রেন চলছে কতটুকু গতি নিয়ে বুঝা যাচ্ছে না। ঝনঝট শব্দ হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি । বাইরের নির্জন প্রকৃতি জাগিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ট্রেনের উদ্দাম দৌর। ট্রেনের ভেতর ক্ষীণ আলোতে বাতি জ্বলছে । রুমীর পাশের লোকটি বেশ আরাম করে ঘুমিয়ে আছে। আভরণ শূন্য অসহায় এক ছবি ফুটে আছে তার ঘুমন্ত মুখে। রুমীর মনে হলে এমনি ভাবে ঘুমিয়ে আছে এই দেশের অধিকাংশ মানুষ, যে মানুষগুলো অসহায়। এই আধো আলো আধো অন্ধকারে রুমী আবার লিখতে শুরু করলো ।
১৯৭১ মহান দেশপ্রেমিকদের আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে আমরা পেয়েছি এক টুকরো মানচিত্র, মানচিত্র তো নয় যেন এক স্বর্ণভূমি, কিন্তু স্বাধীনতার এত এত বছর পরও কি পেয়েছি আমরা সেই দেশ, যে দেশের স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন দেশ প্রেমিক মহান মানুষগুলো। কতটুকু পূরণ হয়েছে স্বপ্ন তাঁদের? এই বিষয় নিয়ে আমাদের দেশ পরিচালক শ্রেণীর কেউ কোন কথা বলেন না, সবাই আছেন যার যার দল নিয়ে, দেশ থেকে দলই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে, আমরা সবাই আজ ঘুমন্ত মানুষ। সেই সূত্র ধরে দেশের রাজনৈতিকদলগুলোর নেতা-নেত্রী সম্প্রদায় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শক্তিধর দেশ গুলোকে প্রভু বানিয়ে বাংলার যে বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে এই দিকে জনতার কোন নজরই নেই। জনতা ঘুমিয়ে আছে ক্ষুধার্ত স্বপ্ন নিয়ে, তারা আজ নিজেকে অসহায় ভাবে, তাদের ঘুম কে ভাঙ্গাবে? কে এসে বলবে, তোমাদের ইচ্ছাকৃত ঘুম তোমাদের দেশকে বানিয়ে দিচ্ছে স্বপ্নের ধুপছায়ার পরাধীন ভূমি। তোমরা জাগো, তোমরা মৃত নও, তোমরা বীর, আরেকবার বীর বেশে ময়দানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে দেখবে তোমাদের কুঁড়েঘর রাজ প্রাসাদের রূপ নিয়েছে…
লিখতে লিখতে ভোর হয়ে গেল, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, যে কোন সময় বর্ষণ শুরু হবে, এই অরণ্যের প্রকৃতিতে মেঘ মেখে দিয়েছে ভয় ভয় ভাব।
সকাল পাঁচটায় সিলেট স্টেশনে ট্রেন এসে থামল। বাইরে মুষল ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টি ট্রেনের ভেতর থেকে বোঝা যায়নি। বৃষ্টির ফোঁটায় ধুয়ে যাচ্ছে চারদিক। ঘনঘন বিদ্যুৎচমক, বজ্রপাত, ঝড়ো হাওয়া আর যাত্রীদের উঠা-নামা সব মিলিয়ে স্টেশন বেশ কোলাহল মুখর।
হামিদা খাতুন দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছেন। মাঝে মধ্যে তার মাথা ব্যথা হয়, মাথাব্যথা বড় কোন অসুখ না, তবুও তখন তিনি কাউকে দেখতে পারেন না, কারো সঙ্গে কথা বলেন না। রোগ হল পারসোনাল বিষয়, রোগীর সামনে এই সেই অজুহাতে ঘোরাঘুরি হামিদা খাতুনের একদম অপছন্দ। ডাক্তারের কাছে দৌড়-ঝাপও তিনি একদম সহ্য কারতে পারেন না। তবুও স্বামীর পীড়া-পিড়িতে বেশ কয়েক বার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে তাকে, এখন আর যান না, ডাক্তাররা তার পীড়ার তল খুঁজে পাননি। ব্রেইন টিউমার-ফ্রেইন টিউমার হলে ধরা পড়তো, তেমন কিছুই না। কিছু কিছু রোগ আছে অভ্যাস রোগ, অভ্যাস রোগ বিশেষ বিশেষ কারো হয়, সেই রোগের কোন ভাইরাস থাকেনা, মাথাব্যথা হামিদা খাতুনের তেমনি এক অভ্যাস রোগ, আজ ভোরে হঠাৎ করে হামিদা খাতুনের ঘুম ভেঙ্গে যায়, ঘুম ভাঙ্গার পর তিনি বুঝতে পারলেন তার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা। সেই থেকে দরজা বন্ধু করে তিনি চোখ বুজে শুয়ে আছেন।
এখন বাজে নয়টা পঁচিশ। হামিদা খাতুন এখনো কিছু খায়নি। মনে হয় এখন আর কিছুই খাবেনও না, না খেয়ে কতক্ষণ শুয়ে থাকবেন বুঝার উপায় নেই। বাসন্তী নাস্তা খেয়ে পড়তে বসেছিল। বাসার সব কাজ আজ তাকেই করতে হবে । বাসন্তীর বুদ্ধি অত্যন্ত নিখুঁত, সংসারের সব ক্ষেত্রেই তার দক্ষতা অতুলনীয়। শুধু তাই নয় সে যে একজন মেধাবী ছাত্রী, এই প্রমাণ বার বার দিয়েছে। বাসন্তী এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এবার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ডাক্তার হওয়ার সখ কোন কালেই তার ছিলোনা, মেডিকেল সাইন্স সম্পর্কে ব্যাপক কৌতূহল থাকায়, কৌতূহলী হয়ে ডাক্তারি পড়া।
বাসন্তী মার রুমে একবার উঁকি মারল, হামিদা খাতুন চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলেন, চোখ মেলে বললেন, কী চাস?
মার চোখে চোখ পড়তেই ভয়ে জমে গেলো সে। কোন উত্তর না দিয়ে অমনি বেরিয়ে পড়লো। বাসায় একজন মেহমান এসেছে, মা এই খবর এখনো পায়নি। বাসন্তী এই কথাই মাকে বলতে এসেছিলো। ইসমাইল মাস্টার কয়েকবার উঁকি দিয়ে দেখে গেছেন হামিদা খাতুনকে, ভেতরে আসার সাহস পাননি। স্ত্রীর শরীর ভালো না, এই বিষয়ে তিনি কিছুই করতে পারবেন না, তাকে সে ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, তার কাজ শুধু দেখে যাওয়া। ইসমাইল মাস্টার সাজ্জাদের পিতা। তিনি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাস্টার। আজ বৃষ্টি তিনি ইশকুলে যাবেন না। সারাদিন পত্রিকা নিয়ে বসে থাকবেন। মাঝে মধ্যে হামিদা খাতুনকে কোন এক অজুহাতে দেখতে আসবেন, স্ত্রী বিরক্ত হবে, তবুও তিনি ঘোরাঘুরি করবেন।
সাজ্জাদ ঘুমিয়ে ছিল, রুমী এসেছে, এখন সে মহাব্যস্ত। বাসন্তীকে ডাকতে ডাকতে বাইরে গেলো, ফিরে এসে দেখল তার রুমেই বাসন্তী, রুমী বাসন্তীর সামনে ভেজা কাপড়ে ফ্যা ফ্যা করে দাঁড়িয়ে আছে।
: কীরে তুই এখনো ভেজা কাপড়ে দাঁড়িয়ে আছিস। বলতে বলতে বাসন্তীকে ইশারা করে বলল, ও আমার একমাত্র বোন বাসন্তী, নামটা হিন্দু হিন্দু হলেও, যথেষ্ট পরহেজগার, মাসে একদিন হলেও মাজারে যাবে, মাঝে মাঝে দু এক ওয়াক্ত নামায কাজা হয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কোনদিন মিস হয় না। একদম ইসলামী মাইন্ডের মেয়ে আর খাঁটি বাঙালিও। বলতে বলতে সাজ্জাদ হাসল। রুমীও সামান্য হাসল।
রুমীর হাসি দেখে সাজ্জাদ অবাক হয়ে বলল, হাসছিস কেন?
: এমনি? সারা রাত ঘুমাতে পারিনি, মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি।
: ভেজা কাপড় পাল্টে নে, আমার লুঙ্গিটা পর।
: আমার কাপড় আছে, দেখি, ভিজে থাকলে তোরটা পড়বো। মনে হয় ভিজে গেছে।
রুমী ব্যাগ মেলে দেখল, শুধু কাপড় না, সবকিছু ভিজে গেছে। একটা বই ছিল সেটাও ভিজা। সব শুকোতে হবে ।
: সবকিছু ভিজে গেছে। তোর লুঙ্গি দে।
বাসন্তী দাঁড়িয়ে ছিল, বলল, ভাইয়া উনাকে নিয়ে খাবার টেবিলে আস, আমি নাস্তা দিচ্ছি।
রুমী বাসন্তীর দিকে তাকিয়ে বলল, ভাত আছে? থাকলে ভালো হয়, যে ক্ষুধা লেগেছে নাস্তায় কাজ হবে না।
বাসন্তী বলল, আমি রাইস কুকে বসিয়ে দিচ্ছি, কিছুটা সময় লাগবে। আপনার গোসল সারতে সারতে মনে হয় হয়ে যাবে।
: ধন্যবাদ।
সাজ্জাদ অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো, তুই বাসন্তীকে আপনি আপনি সম্বোধন করছিস কেন? ও আমার ছোট বোন !
বাসন্তী সাজ্জাদের দিকে একবার তাকাল, রুমীর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করলো না তার। মাথা নিচু করে চলে গেলো।
আয়োজন ভালো, করলা ভাজি, আলু ভর্তা, সবজি, দেশী মুরগীর মাংস।
খেয়ে দেয়েই রুমী বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো, শুয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লো সে, ঘুম ভাঙ্গল সন্ধ্যার আগে আগে। তখন বৃষ্টি থেমে গেছে। সন্ধ্যার অন্ধকার চারদিক ঘিরে ফেলেছে।
চলবে…
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
পরিচ্ছেদ ৫ আকাশে এখন আর মেঘ নেই। হাওয়া হচ্ছে।কদিন পরেই বর্ষা নামবে।একদিন হাসপাতাল থেকে ফিরতে…..
পরিচ্ছেদ ৪ ভোর হয়ে আসছে।রাতে ভালো ঘুম হয়নি।ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে।এরকম…..
পরিচ্ছেদ ৩ শীত শেষ হয়ে আসছে।রাঙ্গালীবাজনা ঢোকার মুখের রাস্তাগুলো পলাশ ফুলে ভরে গেছে।অথচ ঠান্ডাই।…..