গৌর (মালদা) – বাংলার চিত্তাকর্ষক ইতিহাস
বাংলার চিত্তাকর্ষক ইতিহাস সম্পর্কে জানার সময়, গৌরের মতো আর কিছু গন্তব্য হতে পারে না।…..
৭ই এপ্রিল, ২০১৮
“পান্তুমানা, ওঠো মা, আমার সোনামানা ওঠো, যাবে তো? নাকি থাক, যাবে না?” ঘড়িতে রাত দুটো। কেবল ‘তিড়িং’ শব্দটাই হলো না, আদতে কিন্তু তুতুন কুমারী তিড়িং করেই উঠে বসলো… “কেন, আমি যাবো না কেন?”
“ও, তুমি যাবে? তো চলো রেডি হয়ে নাও চটপট।”
তো, চটপটই রেডি হলাম বটে তিনজন– তুতুন কুমারী, তার বাবা, এবং অবশ্যই শ্রীমতি আমি। গন্তব্য দমদম আপাতত। সেখান থেকে ভোর পাঁচটা পঁয়তাল্লিশের ফ্লাইটে উড়ে যাওয়া, মুম্বাই। দারুণ লাগে এরকম অন্ধকার শুনশান সড়ক ধরে তীব্র গতিতে ছুটে যাওয়া। পাশাপাশি আরও কিছু গাড়িও ছুটে চলেছে, চলেছে কিছু বাসও… সবই প্রায় এয়ারপোর্টের দিকে।
এরকমভাবে ছুটে, যা যা করণীয়, সব করে প্লেনের পেটে তো ঢুকলাম, এবং তুতুন কুমারীর আদরে বাঁদর মা আমি, সটান উইন্ডো সাইডে বসলাম। মোবাইল ফ্লাইট মোডে রেখে চাট্টিখানি ছবিছাবাও তুললাম কারণ ছবি তোলা আমার নেশা। যা যা খাবার দিয়ে গেল, সব গাঁক গাঁক করে গিললাম (না না, সব ঠিক গিলিনি। ওই পাকা পেঁপে আর তরমুজের টুকরোগুলো মোটেও খাইনি, একেবারে পছন্দ করি না ওইসব ফলটল)।
সকাল সাড়ে আটটায় ধপাস ধপাস করে সবাই ছত্রপতি শিবাজীর কোলে নামলাম, এবং নিজের নিজের বোঁচকা বাঁচকি উদ্ধার করে কোল ছেড়ে বেরোলাম। সেখানে অপেক্ষারত গাড়িতে উঠেই হুহু করে ছুট শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের দিকে। আমাদের মুম্বাই যাত্রার দুটো কারণের প্রথমটা হলো এই মন্দিরে আমার মিষ্টি পুচু গনশু দাদার সাথে দেখা করা (এ আমার বহু বছরের ইচ্ছে ছিলো)।
মন্দিরের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই একটা লোক এসে “আইয়ে সিস্টার, ভিআইপি মে দর্শন করাতে…” এবং আমি কোনো উত্তর দেবার আগেই সিস্টারের মিস্টার তার সাথে চলা শুরু করলেন। বোঝো কাণ্ড! একবার আমতা আমতা করে বলতে গেলাম, ” আরে এরপর তো যা তা টাকা চাইবে…”, ততক্ষণে ফুল-মোদক ইত্যাদি পুজোর সামগ্রী বিক্রি হয়, এমন একটা ছোট দোকানের সামনে পৌঁছে গেছি। অগত্যা চুপচাপ চটিজুতো খুলে, পুজোর জিনিষ কিনে লোকটার সাথে গুটিগুটি পায়ে ঢুকে পড়লাম মন্দিরে। সিকিউরিটি চেকিং ভালোই। ওমা, সে সত্যি সত্যি কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের দাঁড় করিয়ে দিলো গনশু দাদার মূল বিগ্রহের সামনে। এইবার ব্যাপার হলো, বাড়াবাড়ি গদগদ হলেই আমি ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে কাঁদি। এবারেও ব্যতিক্রম হলো না। আনন্দে আত্মহারা হয়ে শুরু করলাম, সেই দেখে সেখানের পুজারী এবং বাকি সবাই ভীষণ রকম গদগদ হয়ে পড়লো। এরপর বিগ্রহের সামনে থেকে সবে বেরিয়ে দাঁড়িয়েছি, মন্দিরের বাইরে যাইনি, দুজন লোক, সামনে দাঁড়ানো মহিলা সিকিউরিটি, প্রায় তারস্বরে এবং সমস্বরে “আপকা ইয়ে গির গয়া, উঠা লিজিয়ে ম্যাডাম” বলতে থাকলো। নিজের ডালায় দেখলাম সবই তো আছে, তবে ‘গিরলো’ কি? তাকিয়ে দেখি লাল রঙের জরি দেওয়া ঠাকুরের কাছে দেবার একটা কাপড়। নাহ, ওটা যে আমার না, তা ওদের জানাতেই মহিলা সিকিউরিটি বলে উঠলেন “লে লিজিয়ে ম্যাডাম, উঠা লিজিয়ে, ইয়ে মন্দির হ্যায়। আপকো মিল রহা হ্যায় না? আপনে পাস রাখিয়ে ইসকো। আপকা বহুত জ্যায়াদা লাক হ্যায়।” ব্যাস, কাপড়টা উঠিয়ে বুকে চেপে ধরে আবার ফ্যাঁচফ্যাঁচ, এবং আমাদের সেই পুজোর পাণ্ডা টাইপ লোক বলে উঠলো, “আপ বহুত লাকি হ্যায় সিস্টার। আপকো অ্যায়সা আশীর্বাদ মিলা। আচ্ছা সে রখনা ইসকো।” সিঁদুর, ইত্যাদি সব নিয়ে প্রসাদ প্যাক করিয়ে সবে ভাবছি, এইবার একখানা বিশাল রেট হাঁকবে, আমার সব আশঙ্কা মিথ্যে করে সেই লোক বলে উঠলো, “আপকো যো মর্জি দে দো। নহি দেনা হ্যায়, মত দো।” বোঝো!
সিদ্ধিবিনায়ক দর্শনের পর মহালক্ষ্মী টেম্পলে ছুটলাম, অসাধারণ ভালো ভাবে পুজো দিলাম, এবং এরপর ফাইনালি বুঝলাম সকাল ১১টা বাজে, আর মুম্বাই বীভৎস গরম। তাও, এর মধ্যেই কি হুজুগ, এক ফাঁকে ঘুরে নিলাম গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, এবং তারপর গরমের চোটে ঢুকে পড়লাম হোটেলে। এবার সেখানে সন্ধ্যে অবধি খাওয়া প্লাস ল্যাদ। সন্ধ্যেয় একটু এদিক ওদিক, মেরিন ড্রাইভ। ফিরে এসে খাওয়া আর ধপাস ঘুম।
৮ই এপ্রিল, ২০১৮
ভোর পাঁচটা… “ও বুচকু, ও পান্তুমানা…”
“উঁ উঁ, আমি তো উঠেই গেছি”, চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসলো তুতুন কুমারী। তার বাবাও উঠে পড়েছে ততক্ষণে, চা তৈরী করে তিনজন ঢকঢক করে খাওয়া হলো, দুদ্দাড় তৈরি হয়ে, জলখাবার খেয়ে গাড়িতে সওয়ার… সকাল সাড়ে আটটা। চললাম শিরডি। সাঁই বাবার কাছে। এই হলো আমার মুম্বাই যাত্রার দুটো কারণের দ্বিতীয় কারণ। এও আমার আর আমার কত্তার বহু বছরের ইচ্ছে। আমার তুতুন কুমারী তো সেই কোন ছোট্টবেলা থেকে সাঁই ভক্ত। একবার সাঁই বাবা সংক্রান্ত এক অতি ছোট ঘটনা ঘটেছিলো তার সেই বাচ্চাবেলায়, যখন ওর বয়েস ছিলো বছর আড়াই, আমিও যার সাক্ষী। তারপর থেকে তো সাঁই বাবার প্রতি আমাদের ভক্তি আরও বেড়ে গেছে। সে যাই হোক, মোদ্দা কথা হলো, চললাম শিরডি।
মাঝপথে বিভিন্ন জায়গায় থামতে থামতে গেলাম… দেখলাম পঞ্চবটী, কালারাম মন্দির, ত্রম্বকেশ্বর (দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের অন্যতম), এবং অবশেষে পৌঁছলাম শিরডি। তখন প্রায় সাড়ে চারটে। এরপর আমাদের হোটেলে চেক ইন করিয়ে দিয়ে কত্তামশাই চলে গেল সেখানকার নিউজ এইটিনের রিপোর্টার ভদ্রলোকের সাথে মন্দির কর্তৃপক্ষের অফিসে। পরেরদিন ভোরবেলার কাকড় আরতির ভিআইপি পাস নিয়ে এল, এবং আমাদের বলে দিল সেদিন সন্ধ্যে আর রাত্রিটা বিশ্রাম নিতে, যাতে ঠিক ভোর তিনটের সময় পরের দিন আমরা কাকড় আরতির লাইনে পৌঁছে যেতে পারি। সন্ধ্যেবেলা একটু বেরিয়ে এপাশ ওপাশ দেখে, রাতের খাওয়া সেরে আবার ধপাস বিছানায়।
৯ই এপ্রিল, ২০১৮
রাত দুটোয় অ্যালার্ম বাজলো আমার আর কত্তার মোবাইলে, তিড়িং তিড়িং করে সবাই উঠে চানটান করে কাচা জামাকাপড় পরে খালি পায়ে দে ছুট মন্দিরের দিকে। মন্দিরের একেবারে কাছেই হোটেল থাকায় চটপট পৌঁছেও গেলাম। এক নম্বর গেট দিয়ে কাকড় আরতির দর্শনের ভিআইপি লাইন। দাঁড়ালাম সেখানে, হাতে তিনখানা (তিনজনের) ফুলের তোড়া আর বাবাকে দেবার চাদর। তখন ঘড়িতে রাত তিনটে দশ। মোবাইল হোটেলেই রেখে গেছিলাম কারণ মোবাইল ভেতরে নিয়ে যাওয়া যায় না। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অপেক্ষার পর লাইন এগোতে লাগলো। লাইনে বেশির ভাগই মারাঠি আর দক্ষিণী। কয়েকজন গুজরাটিও দেখলাম। এক দল ভক্ত (বেশির ভাগ মহিলা এবং কয়েকজন পুরুষ), তারস্বরে সাঁই বাবার গান গেয়েই চলেছে লাইনে দাঁড়িয়ে। একই শহর বা একই পরিবারের সদস্য মনে হলো সব। ভক্তির গান যে অতো বেসুরো হতে পারে, আর ভক্তি বোঝাতে যে অতো চেল্লাতে হয়, সেটা বুঝলাম।
অবশেষে তাদের ননস্টপ ভক্তি এক্সপ্রেসকে বাবার মূল মন্দিরে বাবা সামনে ঢোকার আগে সিকিওরিটির লোকেরা এসে থামালেন… “বাবাকে সামনে যায়েঙ্গে না, অব শান্ত রহিয়ে।” বাবা, আর অবশ্যই আমাদেরও কান প্রাণ জুড়োলো। পুরুষ আর মহিলাদের আলাদা ভাবে মূল মন্দিরে ঢোকানো হলো। ভেতরে ঢুকে দেখি সম্পূর্ণ সোনার তৈরি দেওয়াল, থাম, ইত্যাদি। মশারির মতো আচ্ছাদনের নিচে সৌম্য মূর্তি আমার সাঁই বাবার। সুন্দর ভাবে সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় বাবার ঘুম ভাঙানো হলো, নানা উপচার, স্নান পর্ব সারা হলো বাবার। বাসি পরিধেয় পালটে ফেলে ভক্তদের বাবার একেবারে সামনে দিয়ে যাবার জন্য পথ করে দেওয়া হলো। সামনে থেকে, খুব কাছ থেকে দর্শন করে, প্রণাম করে সবাই মন্দির থেকে বেরোলাম। সবার মুখেই দেখলাম ছড়িয়ে রয়েছে হালকা প্রশান্তি। বাবাকে শুধু বলে এসেছিলাম, “এতদিন যেমন দেখেছো, সেভাবেই দেখে রেখো আজীবন।” ব্যাস, আর কিচ্ছু বলিনি, কখনো আর কিছু বলার দরকারই হয় না আমার কোনো দেবস্থানে গিয়ে; অথবা বলা ভালো, এর বাইরে ঠিক কি কি বলতে হয়, বা চাইতে হয়, তা আমার কখনো মনে পড়ে না।
বেরোবার সময় প্রত্যেক ভক্তের হাতে বিভূতি, প্রসাদের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছিলো। আমরাও পেলাম। কাকড় আরতি শুরু হয়েছিলো চারটে কুড়ি নাগাদ, যখন প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বেরোলাম, তখনো সূর্যদেব উদয় হননি। হোটেলে ফিরে এলাম।
দিনের আলো ফুটে ওঠার পর জলখাবার খেয়ে আবার চেপে বসলাম গাড়িতে। এবার গন্তব্য মেয়ের চাহিদার ইলোরা কেভস। ইতিহাসের প্রথম যে জায়গায় থামলাম, তা হলো পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাঈ হোলকর শিবালয় তীর্থ কুণ্ড। বেশ কিছু সিঁড়ি নেমে গিয়ে কুণ্ড, যার চারপাশ ঘিরে আটটা ছোট ছোট মন্দির। পাথরের তৈরি সব। গণেশ, শিব পার্বতী, ইত্যাদির বিগ্রহ রয়েছে, রয়েছে “টিকা লাগা লো, ব্রাহ্মণ কো কুছ দান করো” পুজারির দল।
সেখান থেকে সোজা গেলাম ভদ্রমারুতি মন্দির। এখানে হনুমানজির বিগ্রহ শায়িত। প্রণাম করে ছুটলাম ইলোরা কেভস। মাথার ওপর গনগনে সূর্য, সেই নিয়েই হাঁপাতে হাঁপাতে পাহাড় টাহাড় ভেঙে কেভস দেখলাম। আহা, সত্যিই মন ভরে গেল। যাঁরা এসব তৈরি করিয়েছিলেন, এবং যাঁদের জাদুস্পর্শে এসব নির্মিত, তাঁদের প্রণাম জানালাম মনে মনে। সাংঘাতিক গরমে সব কেভস ঘোরা সম্ভব হয়নি। কখনো শুধুই ইলোরা দেখতে যাবো, এই সংকল্প করে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম।
গেলাম সোজা ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরও দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের অন্যতম। সেখানে পুজো দিয়ে বেরোলাম। ঝোড়ো ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটা পেলাম। আহ, গরমের হাত থেকে মুক্তি কিছুটা। যে দোকানে মোবাইল জমা করে ঢুকেছিলাম, সেখান থেকে মোবাইল ফেরত নিয়ে আবার চেপে বসলাম চার চাকায়। শিরডি ফিরলাম, তখন ঘড়ি বলছে বিকেল সাড়ে পাঁচ, চতুর্দিকে তখনো রোদ আর আলো। সূর্যদেব দেরিতে আসেন, দেরিতে যান এসব অঞ্চলে। বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যে আটটা নাগাদ বেরোলাম টুকিটাকি কিছুমিছু কেনাকাটার জন্য। সেসব সেরে রাত্রের খাওয়া সেরে হোটেলে ফিরলাম, আর ফিরেই হাত মুখ ধুয়ে আবার ধপাস ঘুম।
১০ই এপ্রিল, ২০১৮
ঘুম ভাঙলো যখন, সকাল সাতটা। ধীরে সুস্থে তৈরি হয়ে, জলখাবার খেয়ে চেক আউট করলাম যখন, তখন সকাল এগারোটা দশ। গাড়ি ছুটলো মুম্বাইয়ের দিকে। সিন্নার বলে জায়গায় গোন্ডেশ্বর মন্দির দর্শন করার জন্য কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। অসাধারণ এক স্থাপত্যের নিদর্শন এই মন্দির। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই মন্দির। বাইরে এতো গরম, অথচ মূল মন্দিরের ভেতরে কি আরামদায়ক শীতলতা! আবার ফেরার পথ ধরলাম আমরা।
মাঝপথে এক জায়গায় দুপুরের খাওয়া সেরে নিলাম আমরা। পৈঠানি শাড়ির কথা শুনেছিলাম, আর সেই শাড়ি কোথায় পাবো জানতে চেয়েছিলাম। এবার কত্তামশাই দেখলাম বেশ উদ্যোগী হয়ে পড়লেন। বউয়ের প্রাণে একখানা শাড়ির ইচ্ছে হয়েছে বলে কথা! ড্রাইভার ভাইয়া বলেছিলেন সেটা ঔরঙ্গাবাদ থেকেই কিনলে ভালো হয়, দাম নাকি বেশ কম পড়ে, কিন্তু অতো সময় হাতে ছিলো না। তাই কল্যাণের এক যথেষ্ট সুনাম যুক্ত শাড়ির দোকানে নিয়ে গেলেন উনি (সেই দোকানের খোঁজ উনি পেলেন ওঁর কল্যাণের বাসিন্দা বোনের কাছে, ফোন মারফৎ)। আহা কতো কতো শাড়ি! এবার আমার জন্য শাড়ি বাছতে বসলো তুতুন কুমারী এবং তার বাবা। বেছে বুছে বেশ সুন্দর একখানা শাড়ি নিয়ে, আমার ছন্দ হয়েছে, সম্মতি নিয়ে, তা কিনে ফেলে আবার ছুট। সোজা মুম্বাই এয়ারপোর্ট। মোবাইলে সময় দেখালো সন্ধ্যে সাড়ে ছটা। ফ্লাইট আটটা পঁয়তাল্লিশে। আবার গতানুগতিক চেক ইন, টাইম পাস এবং অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর (ফ্লাইট ডিলেইড ছিলো) প্লেনের পেটে সেঁধিয়ে যাওয়া। বাড়ির পথ। কলকাতার পথ রাতের অন্ধকার আকাশ চিরে।
বাংলার চিত্তাকর্ষক ইতিহাস সম্পর্কে জানার সময়, গৌরের মতো আর কিছু গন্তব্য হতে পারে না।…..
এপিসোড-১ (প্রথমাংশে রেল-জংশন) সে তিন যুগ আগের কথা।ঢাকা থেকে এসে বিল্টু মামা নেমেছেন কুলাউড়া জংশন…..
কবি কাশীরামদাসের জন্মস্থান পূর্ববর্ধমান জেলার সিঙ্গিগ্রামে বেড়াতে গেলাম।তাঁর জন্মভিটের ভগ্নাবশেষ দেখলাম।আমি,মিহির,রিমি,সোমা,রজত সকলে গ্রাম ঘুুুুরলাম। চারদিকে…..
ভ্রমণবিলাসী চারজন বেরিয়ে পরলাম ভ্রমণে। আমিও গেলাম।প্রথমে ওরা গেল মুকুটমণিপুর। সপ্তাহান্তে পিকনিক বা একদিনে ছুটিতে…..