শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
আমার বুকটাকে বিমুখ প্রান্তর ভেব না
আমার হাতটা খালি হতে পারে
কিন্তু, মহাশূন্যের মতো ভরসা করতে পার
তোমাকে হাতছানি দিয়ে
আর কে ডাকবে বল
আমার এই বুকটাই তো মহাকাশ
ওখানে আছে ছায়াপথ, সৌরজগত
আর
সাত আসমান
যেখানে তোমার পৃথিবী অনাগত নিরবধি
যেখানে আমার পৃথিবী অনন্ত অসীম
যেখানে তুমি আমি
আমাদের একটাই তো মহাবিশ্ব
মহাবিস্ফোরণ
এই মহাকাল
এই কৃষ্ণবিবর
আমি গাঙের জল হব
তুমি আমাকে নিয়ে যেও কলস ভরে
তার আগে নাইতে যেও, ডুব দিও
অতঃপর যেতে যেতে
গাঙপাড়ে জলপরি জলছবি হয়ে যেও
তুমি কর্ণফুলীর বুকে
পানসী হয়ো, ডিঙি হয়ো, সাম্পান হয়ো
আমি বইঠা হাতে নেয়ে হব, দাঁড় টেনে গেয়ে যাব
২
আমি হাওয়া হয়ে যাব
তুমি ফুসফুসে ভরে নিও
আমি অম্লজান হয়ে যাব
তুমি লোহুতে চালান করে দিও
তুমি দিলে দাগা দিও না
আমি দিওয়ানা হয়ে যাব
যে আকাশকে আমি ভালোবাসি
তাকে কেন কালো মেঘে ঢেকে যেতে দ্যাখি
যে বাতাস আমি দ্যাখি না
তাকে কেন দ্যাখি আমি ভিজে যেতে
যে সূর্যের দিকে কোনোদিন মুখ তুলে তাকাতে পারিনি
কেন তার রোদ্দুর চাই
যে অন্ধকার আলিঙ্গনে জড়াই
সেই নিবিড় নিরালোকে নীরবতা কেন কথা হয়
যে নৈঃশব্দ্য নৈঃসঙ্গ নয়
সে কেন তোমার মতোন নির্জন হয়ে আসে
যে চাঁদ দূরে জেগে
তার রূপ-রস-গন্ধ কেন অঙ্গে মেশে
কেন নির্ঘুম শর্বরী মাতোয়ারা
কেন এই অবলোকন-অবগাহন
এই মেঘ-বৃষ্টি-কুয়াশা
নিষিদ্ধ ছোঁয়া
আবছায়া—ঘোর, বুঁদ, নেশা নেশা
আমাকে মাতাল করে
আমাকে উন্মাদ করে
আমাকে উন্মনা করে
আমাকে সহসা টানে, সহজে আছড়ে ফেলে
প্রতি অঙ্গে, তার বুকে !
তোমার জন্যে কবিতা লিখতে লিখতে
তোমার জন্যে কবিতা করতে করতে
কবিতায় কথা বলতে বলতে
কবিতার কথা বলতে বলতে
আমার হাত কানা হয়ে গ্যালো
তোমার চোখ ব্যাথা করে না
তোমার আঙুল টনটন করে না
ডিভাইসটিকে সামলাও,
এভাবে যত্রতত্র ওপেন করো না, লাইক-কমেন্ট দিও না
আঙুল নিসপিস করছে করুক—মরুক
অথবা, ডিভাইসটিকে এক
ঝটকায় আছাড় দিতে ইচ্ছে করে, করে না —
দাও না—সব ল্যাটা চুকেবুকে যাক, এস দিই,
আমরা জানব, আমাদের আর কিছুই করার নেই; সারাক্ষণ
এইসব বকবক নিপাত যাক
এইসব ধানাই-পানাই আর
কাঁহাতক সহ্য হয়, বল, ভালো লাগে—
সব আত্মপ্রতারণা, মিছা, সাজানো নাটক, মনে হয়
ডিমের মতোন
আসল কথার-কুসুম ফোটাও, তা দাও;—
এই হাত, চোখ, আঙুল, হৃদয়
একটি ডিভাইসকে রাঙাতে রাঙাতে নাড়তে নাড়তে
স্বমেহন নিমজ্জিত, মৈথুন নিমগ্ন—
আত্মরতিস্নিগ্ধ মিথুন-কাব্য মনে হয় !
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..