আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মদের ছিপি খুলে
একটি দর্পণ তুলে এনেছি আমি।
সব ভয়, সব বজ্রবিদ্যুৎ যে গিলে ফেলে জন্মান্ধ ক্ষুধায়।
যার ভেতর লুকিয়ে থাকে ইউরেনাস,
স্রেফ উত্তর দিতে অভ্যস্ত সে ক্রীতদাস
সব কৌতূহল জমা রাখে বিশ্বস্ততায়।
গৃহীত হাসি সে ফিরিয়ে দেয় আবার হাসবার জন্য
হতাশার হলুদ পাণ্ডুলিপি
পাঠিয়ে দেয় নায়াগ্রার তলদেশে।
ভীষণ ভান জানে সে, মনে হয় নিছক কাঁচ।
অথচ তোমার সম্মুখে দর্পণ,
তোমার ক্ষোভে ভেঙে পড়ে দেবতাসমেত।
গাছের বাকল কেটে নেয়া ক্ষত থেকে রাত বাড়ে,
বাড়ে শহরের হৃদস্পন্দন।
ইমারত জুড়ে একে একে
বৈদ্যুতিক বাতির নিভে যাওয়া দেখি।
কোথাও প্রেম, কোথাও অনাহূত শোরে
খুন হয় নৈঃশব্দ্য-
সবাই ঘুমালে সেইসব দূরবর্তী সংসারেরা অবিকল মানুষ হয়ে
হাঁটাচলা করে।
দূরত্ব এক সর্বভুক পিরানহা
এ কথা ভেবে সর্বোচ্চ দূরত্বের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকি।
দূর তখন সূর্যের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা রাবার বন
মহিষের কাধে ঝিম মেরে বসে থাকা কাক
জল আর তীরের বিভেদ মোছা কোন পরিসীমা।
ঘন রাতের পিঠে হাত রেখে
কাঠমিস্ত্রির মত দূরত্বকে বার্নিশ করি।
চকচকে আরও…
দূরে মুহুর্মুহু ভেঙে পড়ে দৃশ্য।
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..