আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
জানালা খুললেই দেখা যায় স্বাধীনতা
একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে সৌধ হয়ে।
কখনও আলো আলো, কখনও ছায়া ছায়া,
একাকীত্বের যন্ত্রণায় নীল।
নীচের ফাঁকা ময়দানে ‘ চলছে, চলবে ‘ র কলরব,
কখনও ‘ ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও ‘ এর দোর্দন্ড অহমিকা।
সৌধ ভয়ে চোখ বোজে খরগোশের মতো
গুঁড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে।
ষড়রিপুর ষড়যন্ত্রে কাঁপে মন, ভেজে ঠোঁট,
জামদানির পরতে পরতে পেখম মেলে সাহসী শরীর,
জীবন টানে জীবনকে।
তারপর পৃথিবীর সোনাঝরা রোদ ডোবে অন্ধকারে,
নিঝুম রাতে প্রজাপতি হয়ে যায় মথ,
নদী মরে সাদা জ্যোৎস্নায়।
তবু রয়ে যায় শীতের সকাল, সোনালি পালকঘেরা স্বপ্ন,
তবু পড়ে থাকে স্মৃতি খিদে পেটে নিয়ে,
তবু যথার্থ ভালবাসা ছন্দ তোলে কাল কালান্তরে,
তবু স্পন্দিত কথা ফোটে কলমের রেখায় রেখায়।
সূর্যতাপ চন্দ্রতপা হলে,
পোড়া সময় হয়ে যাবে দুধে – ভাতে,
গুলি – বন্দুক – বুলেট মুখ লুকাবে
জোনাকীর মৃদু আলোয়,
কবিতার ঘ্রাণে নিসর্গ মুক্তি পাবে
ভাবনার দেওয়ালে,
আঁকিবুকি খেয়ালে মাঠে ডাকবে জলপিপি,
শূন্য নির্জন মরুভূমি রূপ নেবে পূর্ণ জনপদে।
শুধু নানান বর্ণে স্মৃতি ছুটে যাবে
অতীতের কথা ও কাহিনি নিয়ে।
শূন্য ঘাট, বয়ে চলে
আলুথালু প্রমীলা – বাতাস,
নদীতীরে ফাঁকা বেঞ্চ
ঢুলুঢুলু জীবনের শ্বাস।
পাখির ডানার শব্দ
আকাশের নীল নীলিমায়,
অবসরে কবি – মন
বাঁকাচাঁদ ইতিউতি চায়।
তারা ওঠে, তারা ফোটে,
মাথা তোলে দুধসাদা আশা,
ভগীরথ গঙ্গা আনে
বোধ জাগে মরা হবে বাঁচা।
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..