দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
খালি খালি নিঝুম আঁকা চাঁদ।
খেয়ালের ভেতর জড়িয়ে যায়
শূন্যের অসুখ।
ইসোফেগাসের দেয়াল ফুঁড়ে
কষ্ট ফুলের ভ্রূণ।
পালটে পালটে যায় ইস্কাবনের হাত।
নাকি প্রেমের আস্তিন!
আসলে এটাই ছল! কীভাবে স্পর্শটি
খাদ খুঁজে নেবে!
আমিও তথৈবচ!
আলো আঁধারে জলপোশাকের মেঘ।
বৃষ্টির পা ডুবে যায় সন্ধের ক্ল্যাচে।
নতজানু ক্লিভেজের অংকে ভুল হয়।
আর্দ্রতার সম্পাদ্যে অজুহাত আঁকা
জুঁইফুল।
হার্টবিটে হেঁটে যায়
সাদাকালো সাপের মিছিল।
লং ড্রাইভ সুফিগান
হোটেল ক্যালিফোর্নিয়ায় ভেজা ঠোঁট
স্বৈরী তরলে ক্যালিগ্রাফিক শব্দেরা
অন্য কোথাও বুকের মেখলায়
টিপ টিপ বৃষ্টির গান
হারিয়ে যায়
কপালের সান্ধ্যটিপ
কথায় কথা জড়ায়
ঠোঁটে ঘাম চোখে ঘাম
আরও কী যে হয়!
ঝাপসা থেকে খুলে পরে কাচ
মুদ্রা থেকে নাচ ভেঙে যায়
চুমুর পদ্যে একটা গোটা সমুদ্র
পেতে ফেলা যায়
ঢেউগুলি জলকে চেনায়
শুধুই অবাধ আলো
শুধুই শিয়র আকাশ
খালি আর শূন্য সাদা
কণ্ঠনালী বেয়ে
তলিয়ে যাবার আগেই
থাবার নীচে ডুবে যায় জ্যোৎস্না
স্টিয়ারিংয়ের ঘাম ছুঁয়ে
সন্ধ্যার ঢাল হেলে পড়ে
কৌণিক দূরত্ব মুছে নেয় পৌরুষ
বালিশে জ্বরের চিঠি
ঘামে ঘামে পুড়ে যায় ঠোঁট
আড়ালে আগুন মেঘ
ফোঁটা ফোঁটা জলের আপোস
আলো আলো ঘর
চৌকাঠে লালপেড়ে শাড়ি
নূপুরে বাঁধা আছে গান
ঠোঁটে নেই বারণের দাগ
থই থই বুকে আজ
চাঁদফুলের বাজনা।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..