হাল
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
ক্ষোভ
রোদের দোকানি হয়ে, ছুঁয়ে গ্যাছি দূর পরবাস
আলোর ক্রেতারা দেখে, শূন্য ঝুলি খালি সর্বনাশ।
বেয়াড়া ইচ্ছেরা সব আড়িপাতে জলোচ্ছ্বাসে ডুবে
সময় আগুনে পুড়ে আজ সাদা পাথরের ক্ষোভে।
নিজেকে ফসিল ভেবে খুঁজে চলি লুকায়িত রূপ
সাঁকোর আফসোস জানে শুধু জলের বৈধব্য শোক।
মেঘের প্রসব দেখে জ্বলে থাকা তারাদের শব
নগর যুবতি হলে জীবনেরা শিখে কলরব।
যতটুকু চিরন্তনী মেলে যায় আগামীর ডানা
সময় নিঝুম হলে বেঁকে ওঠে প্রবাদমোহনা
আদিম স্রোতের বুকে পথ খুঁজে নাবিকের চোখ
ঝড়ের প্রবাহ চিনে সমুদ্রের বিষাদিত মুখ।
জোনাকিরা সভা করে জেগে থাকে জোছনার ফণা
চাদর সামলে রাখে স্মৃতির বিরহযন্ত্রণা।
তোমাকে ভিজিয়ে গ্যাছে বসন্তের অচেনা শিশির
তসর আগলে রাখে যত শোক প্রেমিকসন্ন্যাসির।
মিউটেশন
যুবতী অরণ্য,
মেঘ শুয়ে আছে সবুজের সীমাহীন ছাদে।
ভিজে চলছে গুহাচিত্রের তুলতুলে শরীর।
পাইনের লিবিডো ভরে দেয় ভূমির বিয়োনো রুপ।
সংলাপে কার্বন মাদি হরিণীর ঘোর শীৎকার ঢাকছে।
ভেসে আসছে আয়নার শরীর।
পাতার ব্রহ্মতালুতে নাগপঞ্চমী সাজিয়েছে জোনাকির থাবা।
আলোর চৌকাঠ ভেঙে উবে আসে প্রতিবাদী
ধাতব প্রহর।
মুচমুচে ইংগিতে মিউটেশন বদলে দেয়
কসমিক প্রণয়।
সত্তার ধ্বংসস্তূপের ছাই
আজ শিয়রে অতীত জমিয়ে রেখেছে,
বৃক্ষমাচায় ক্রমশ বেড়ে যায় নির্ঘাত অন্তিম।
মমির হিমঘরে জেগে ওঠে রুপের আগুন।
যাদুঘর
ফিরতে গিয়ে আগলে রাখা দু’হাত
বসে আছে বিষাদ নামের মেয়ে
পৌঁছাতে হয় মনের পাশে নেহাত
সন্ধি বাঁচে ভাবনার দিকে চেয়ে।
হিসেব জমা রোদের পরগনায়
বৃদ্ধ মেঘের শিরায় থাকে দ্বিধা
শিকারির মন ছুটছে বন্দনায়
ঠিকানায় পৌঁছানো অসুবিধা।
শূন্য আকাশ উড়ন্ত এক মাথা
দিঘির বুকে চাঁদের ঝিকিমিকি
জলের জীবন নিছক সাদামাটা
ব্যর্থতাদের বন্দী করে শিখি।
ছিন্ন বাতাস মগ্ন আলোর খেলা
দুপুর হলেই ঝিঁঝিপোকার বাসর
কলমিলতায় দীর্ঘ হলো বেলা
রাতের আছে জোনাকিদের আসর।
ফিরতে গিয়ে গান ভেসে যায় দূরে
প্রাচীন কোনো গুহামুখে থাক
সচেতনে আকাশ পিছু সরে
যাদুঘরে স্মৃতির চক্রবাক।
চিঠি
চিঠি শ্রান্ত হাওয়া ক্লান্ত যাক বেফানায় কিছু সুর
মনে রপ্ত খোলা শব্দ ঝরে স্বপ্ন সমুদ্দুর।
গড়ে নির্বাক বোবা জোনাক লেখে জ্যোৎস্না জলের গান
শুনে অবাক দিঘি ছড়াক বাজে পদ্ম রাগের শাণ।
দেখে চারপাশ আলো ফুসফাস জাগে হুঠহাট খেলারাম
পোড়া নাকফুল হাসে ভিমরুল গানে চঞ্চল ধরাধাম।
ঝরে বকুল ভিজে দুকূল বাড়ে দীর্ঘ জলোচ্ছ্বাস
পোড়া আয়নায় কালো বায়নায় চলে দৌড়ঝাপ মৃদু শ্বাস।
বুড়ো প্যান্ডেল ছেড়া স্যান্ডেল লাগে দ্বন্দ্ব ঘোর উত্তাপ
আমি রিক্ত বড় ক্লান্ত ধুলো স্বচ্ছ ফের সন্তাপ।
আমি মেঘের কাছে রাখতাম ভারি সুনসান নীল পদ্ম
তুমি অন্য, বড় ভিন্ন, খুঁজো দৈন্য সব সদ্য।
আজ চেতনার পাশে বসলাম তুমি চতুর খুব ভাসলে
আমি বারবার তবু মরছি তুমি দেখলে আর হাসলে।
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
নিজেদের ভেঙে পড়া ঝনঝনানি শব্দে প্রতিটি ভোর হয়। ভাঙা টুকরোগুলো নতুন অবয়বে জুড়ে দেয়ার…..
অচেনা আমি হতাশার নোনাজল ঢেউ খেলে হৃদয়ের আঙিনায়। ভাঙনের সুর মাতাল অগ্নি ঝরা সায়াহ্নে আঁধার…..