চিরঞ্জীব হালদারের শিরোনামহীন কবিতা

চিরঞ্জীব হালদার
কবিতা
Bengali
চিরঞ্জীব হালদারের শিরোনামহীন কবিতা

এক.

বিবাহে কোন কৌমার্য নিধনের গল্প নেই।
ঘরে না ফেরা পাখিটার শিষ ফিরে ফিরে আসে
আমাদের ঘুঁটের মাচানে।

হে ব্যঞ্জনবর্ণের চাঁদ তোমাকেই পিতামহ মানি।
এক চিলতে কুনকেতে আর কত কান্না ধরে রাখি।

সব প্রনয় থেমে গেলে ফিরে আসা পাখিটার পালক
আমাজন ডট কম ফিরি করে নিজস্ব মোড়কে।
এই সব বানিজ্য কথন দিয়ে সোজা নৈরঞ্জনা ঘাটে।
সাঁতারু ও জানেনা কে তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী
জলের নপুর বাদনে।

দেখ চারিদিকে কেমন মেটে জ্যোৎস্না
হানাদার হিংয়ের গন্ধে
কলঙ্কের অতিপাশে মুখরিত আবির ছড়ায়।

 

দুই. 

বিবাহে কোন কৌমার্য নিধনের গল্প নেই।
ঘরে না ফেরা পাখিটার শিষ ফিরে ফিরে আসে
আমাদের ঘুঁটের মাচানে।

হে ব্যঞ্জনবর্ণের চাঁদ তোমাকেই পিতামহ মানি।
এক চিলতে কুনকেতে আর কত কান্না ধরে রাখি।

সব প্রনয় থেমে গেলে ফিরে আসা পাখিটার পালক
আমাজন ডট কম ফিরি করে নিজস্ব মোড়কে।
এই সব বানিজ্য কথন দিয়ে সোজা নৈরঞ্জনা ঘাটে।
সাঁতারু ও জানেনা কে তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী
জলের নপুর বাদনে।

দেখ চারিদিকে কেমন মেটে জ্যোৎস্না
হানাদার হিংয়ের গন্ধে
কলঙ্কের অতিপাশে মুখরিত আবির ছড়ায়।

তিন.

হে স্খলিত টিয়া রঙের দোপাট্টা
তুমি জানো সে ধুলিযানের কোন গাছে গাছে
সারেঙ্গী বাদন রেখে গেছে।
হে স্খলিত আবরনী
আবির গ্রহনকাল শুরু হলে
তুমি লাজুক তোতার মত সরে যাবে
যে ভাঁজে বহুকাল লজ্জানিবারনী।

নাভিবিন্দু ছেয়ে যাচ্ছে ক্রমপ্রসরমান গোধূলি।
র্যঁদার নিহত আত্মভাস্কর্য,বাঁটালী ও যৌনদণ্ড।

দামী যান আর ধান কুলোর আঙ্গীক
একপাতে দরিদ্র নারায়নে।
কেহ কাউকে চিনতে পারেনি।

 

চার. 

জলেরাও জানে কোন পথে ফিরে যেতে হবে মাতৃক্রোড়ে।
টানাটানির সংসারে কতটুকু খরচ হতে হবে।
সেই মর্মে পাঠাও বারতা আত্মজের কাছে।
আজ কোথাও তা দেখা মেলেনি,
আয় জল চৈ- চৈ —–
সোনার কাঁকন দেব, বেলা বয়ে যায়।
সন্তানের মুখে দু’মুঠো খাদ্যের পর এস করুণা ধারায়।

এখানে গার্হস্থ্য নেই। নোনা পথ। জলবায়ু প্রতিকুল।
কাঁটাজাত পোকাদের বিড়ম্বিত সঙ্গে এস জল জোয়ারের ধর্মে।

ও কনে দেখা আলো তুমি তাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে নিয়ে এস,
আমাদের একান্ত কলসে।অন্তিম চিতার কাছে এস শেষ ভাসানে।
অতি অভাজন মূঢমতি পিতামহী তোমাকে ডেকেছে।
উন্মুক্ত জন্মদার সঘন হৃদয়।
যাও অক্রুর তাকে নিয়ে এস অভিমানী চিরচেনা আলোর কৈলাসে।

 

পাঁচ.

আমি কি আপনার কাছে বেড়াল মাত্র।
আপনার দেহবাসভূমি থেকে নেমে আসা
নীলরামধনুরা দেখুন দেখুন বর্নদিগন্তে সেজে উঠেছে।
দেখুন আমার কোন লোম নেই।
অনুসরণ গুলো এক একটি যৌন মেধাবী ব্লগপোষ্ট।
এই যে প্রথাগত ইদুরে হাত দিতে গিয়ে আপনার
হাতের উপরিতল করতলে মিলিত হলো
উভয়ত মিউ মিউ ডেকে উঠি।
জানিনা আমি কারো পোষ্য কিনা
এক ভাঙনহীন দুর্বাদল রেখায়।
জানি না আমাদের গন্তব্য গুলো কোন সুযোগী
দুগ্ধ ঋতু,
মৎস্য ও আঁশের মধ্যবর্তী কোন কমলালেবু।
আমাদের মরনগুলো খাদ্য ভাবনাগুলো
বৌদ্ধমন্দির অদর্শনের দিনগুলো
রেনু প্রতিস্থাপনের মহলে মহলে সূবর্ণ আয়নায়
প্রতিস্থাপিত অনালোকিত মিঊ মিঊ।
আসুন এই ভদ্রচিত আসরে
কবিজন্মগুলো প্রথমে মনুষ্য জন্মের
আরকে ও পরে থাবা জন্মের দিকে এক মনোলোভা
মিউট কথন।

ছয়.

অদৃশ্য অংশের সাথে বাস্তব অংশ জুড়ে গেলে
পলাস ও আকাশ কে লাল ধার দেয়।
গহন বর্ষার রাত।
নক্ষত্রমন্ডলের অবিমিশ্র কাঁদন
ঝরে ঝরে নৌকা হয়ে গেলে
সত্যবতী দাঁড় বাইবে নিহত উজানে।

জ্ব্ররে বেহুস মর্মপল্লবীর অনাবিস্কৃত কপালে
যে তিল এঁকে দিয়ে গেল
তাকে বৃষ্টি বলে ডাকতেই পারো।

 

সাত.

একবীর্যনগর থেকে অন্বুবাচী নদের দিকে তাকাতেই
বিবাহ সম্পন্ন হইলো।
দ্যোতক ও ভানুমতি।
এস ভানুমতি
আমাকে কলস থেকে
বীর্যপানের সুত্র শেখাও।
দৌ তোমাকে প্রনাম।

 

আট.

তিড়িন্তী বৃক্ষ।
অতীব সৌকর্য তার রেচন সাধন।
পাতাদের ভীড়ে দু ‘একটা পতঙ্গ
দোমালা নারকেলের মত আরব্য তন্ময়তায়।
দাঁত নেই।
মাংস আজ মাংসের প্রকৃত ভক্ষক।

নয়. 

অন্বেষা বুটিক থেকে লিক লিকে লংস্কাট পাখি
ডানাহীন পাখি এক, উড়ে যায় বহতা শরীর।
কে দেখেছে পুষিক্যাট,জাদুক্ষরণ আসলে অধরা
প্রকৃত নিধনে তার স ন্তাপী বাছা জাগতিক বীর।

দশ.

অনুমান করো আমি সেই চম্পারণ।
ভূমিহীন মাধুর্যে শ্রদ্ধা পাখি ডিমে তা দিতে গিয়ে
দেখে নেয় পালক জুড়ে পরাজিত গ্লানি।

অনুমান করো এই ঘাটে নবকুমার
ভাঙা লগির কাছে গলবস্ত্র নেমে আসে আকাশময় তায়।
তখন নভমন্ডলের নৈঋতে
চম্পারণ নগরের মৃত ঘোটকী
স্তব শুরুর সংজ্ঞা নির্মাণ কোরে
রজঃস্নানে লিপ্ত হবে।

হে রজধারা আমাকে প্রণাম শেখাও।
আর ধর্মসন্ধিতে কতগুলো রাজপুত্রী
অনূঢ়া তিলের মাহাত্ম রচনা করে।

চিরঞ্জীব হালদার। কবি। মূলত ক্ষুদ্র পত্র -পত্রিকার লেখক। জন্ম- ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৬১, গাববেড়িয়া; দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। পড়ালেখা করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা। লেখালেখির শুরু গত শতাব্দীর আশির দশক। শুধু কবিতা আর ভালো কবিতাই তাঁর আরাধ্য। এপর্যন্ত নির্মিত কাব্যগ্রন্থ ষোলটি। প্রকাশিত সাতটি। যৌথ সংকলন একটি। সম্পাদিত কবিতা...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..