প্রেমিক
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
একটা চুম্বন চেয়েছি তোমার কাছে
ঠোঁট থেকে গড়িয়ে পড়েছে রক্ত।
আমাদের এক পা পৃথিবীর মাটি ছুঁয়ে….আরও এক পা, গভীর খাদের ভেতর।
ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে যেমন ছটফট করে নাড়ি…ঠিক তেমন! তোমার আনাচে কানাচে
ফুটন্ত গোলাপ। বেল কুঁড়ি…
খোদাই করা তান…
আমরা পার হয়ে যাব অলীক সমুদ্র …
মন্দিরে মন্দিরে ঘন্টা বাজবে তখন
সে রক্ত ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির মতো ফলাবে কচি ধান।
আমাদের পৃথিবী যেন শুধু দীর্ঘ চুম্বন!
হেঁটে যাচ্ছে বিমর্ষ এক সকাল
ভাঙা ছাতার গা বেয়ে নামছে কত মৃত্যু
ঝড়ের প’রে গা বাসাহীন ব্যাঙের ডাক
কোনদিন ভোরকে এভাবে, রাত মনে হয়নি আগে!
সামনের ঝুপড়ি উড়ে গেছে। উদ্বাস্তু সন্ধ্যের হাওয়া
গা ছমছমে ভূতের মতো এখনও ঝুলছে ছেঁড়া পর্দায়….
চারটে গরু সারারাত বৃষ্টিতে ভিজেছে পরিবার নিয়ে। পাখিরা রেখে গেছে তাদের পালক!
আমি দেখেছি জানলা দিয়ে….
যতবার ফুঁসেছে বাতাস ভেবেছি ‘ ঠিক আছো তো’?
হয়ত এটা…হয়ত বা ওটা…
‘ভিজে গেছ নাকি!’
বিচ্ছিন্ন যোগাযোগে আজও কেন যে উতলা হই?
আমি রোজ একটা নদীতে সাঁতার কাটি। স্নান শেষ হলে তুলে রাখি বাক্সে আবার। একটা দামী তালা চোদ্দবার টেনে টেনে দেখি, ‘কোথাও ফাঁক নেই তো?’
চাবিটা ইচ্ছা করে রেখেছি টবের নীচে। মাটি খুঁড়লে
হাতময় কাদা। কাদা মাখা চাবিটাকে দেখে
নিজের কথা মনে পড়ে।
অথচ রোজ স্নান শেষে গঙ্গাজল । ধুপ ধুনো চন্দনে আমাদের বাগান। পাখিরা বাতাসা খেয়ে যায়। আমি তাদের জল দিই বাটিতে ভরে…
যদি এভাবে একটু একটু করে কমে যায় নদীর নাব্যতা…
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..
স্মৃতি চাঁদের আজ দুঃখ পাবার কিছু নেই ! সবুজ পৃথিবীতে আজকের এই বিকেলে আকাশে উড়ে…..
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..