প্রক্সি
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
সারা রাত ঘুমাতে পারেনি তরু, নিবিড়ের ফোন সারারাত বন্ধ পেয়েছে। একটু আগে ক্লান্ত তরু ঘুমিয়েছে। আজ ছুটির দিন বলে ঘুম থেকে ওঠার কোনো তাড়া ছিলো না। কিন্তু তরু বেশিক্ষণ ঘুমাতেও পারলো না। ঘুম ভেঙ্গে গেলো, কি কারণে জানে না সে। মুঠোফোন হাতে নিয়ে দেখে নিবিড় টেক্সট দিয়েছে: “যে ক’দিন বাসায় আছি, ফোন বন্ধ থাকবে আমার। চিন্তা করো না।“ কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ফোন বিছানায় রেখে উঠে পড়ে তরু। একটাই ছুটির দিন, পুরো সপ্তাহের কাজ জমে আছে, কাপড় ভিজিয়ে রেখে বাজারের ব্যাগ হাতে রেডি হয়ে যায় তরু। ঘর থেকে বেরিয়ে দরজায় তালা দিচ্ছে, এ সময়ে ফোন বেজে ওঠে আবার।
কাজল ফোন দিয়েছে, তরুর দূরসম্পর্কের কাজিন, কাজিন শুধু নামে, আসলে ওরা জানের টুকরা বান্ধবী। ফোন রিসিভ করতেই কাজল চেঁচিয়ে ওঠে: “তরু তুই কই?” তরু বাজারে যাচ্ছে জানাবার সাথে সাথেই আবার চিৎকার: “তোর তো এখন আমার বাসায় থাকার কথা ছিলো, কিসের বাজারে যাস?” তরু অবাক হয়ে বলে: “এখন তোর বাসায় মানে কি? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!” কাজল এবার রেগে গিয়ে বলে: “তোর আজকে আমার বাসায় আসার কথা না? এখনও তুই পৌঁছাস নাই আবার বাজার করতে যাস এসবের মানে কি? আমি তোর এমন ছোট বেলার বান্ধবী?” তরু খুব নরম সুরে বলার চেষ্টা করে: “আরে কাজল, তোর বাসার প্রোগ্রাম তো সন্ধ্যায়, আমি তো বিকেলে তোর ওখানে যাবো। তুই তো জানিস আমার সপ্তাহে এই একটা দিন ই ছুটি, আমার পুরো সপ্তাহের কাজ জমে আছে, ওগুলো তো সারতে হবে, আর বাজার না করলে পুরো সপ্তাহ না খেয়ে থাকতে হবে আমার। আর এখন এই সাত সকালে তোর ওখানে গিয়ে কি হবে?” কাজল পারলে ফোনের ভেতর দিয়ে গরম কয়লা ঢেলে বলে: “আজকে আমার বাসায় অনুষ্ঠান, তুই সকাল সকাল আসবি না? তুই কি মেহমান যে সবাই যখন আসবে তখন তুই ও আসবি? আমি তোর অপেক্ষায় সারা রাত ঘুমাতে পারি নাই, আর তুই কি না এই কথা বলতে পারলি? আমার জন্য তোর কোনো টান নাই?” কথা গুলো বলতে বলতে কাজলের গলা ভারি হয়ে আসে। এবার তরু অস্থির হয়ে ওঠে। কাজল কে খুব করে বোঝানোর চেষ্টা করে যায়, সে কিছুতেই বুঝতে রাজি না। তার এক কথা, তরুকে এখনি ওর বাসায় যেতে হবে। এর পর ওর কি লাগবে না লাগবে সেটা কাজল বুঝবে। আর কি করা! তরু কাজলের কাছে দু’ঘন্টা সময় চেয়ে নেয় অনেক বুঝিয়ে, যেনো কাপড় গুলো ধুয়ে, গোসল সেরে যেনো ওর বাসায় পৌঁছাতে পারে।
অতঃপর, কাজলের বাসায় পৌঁছে তরুর দুনিয়ার ঝাড়ি খাওয়া। অবশেষে কাজলের মা এসে তরুকে রক্ষা করলেন। এরপর কাজলের ঘরে বসে গল্প জুড়ে দেয় দুজন। কিছুক্ষণের মধ্যে কাজলের মা এসে ওদের ডাকতে আসেন: “তরু, মা তোমরা তারাতাড়ি খাবার খেয়ে নিয়ে কাজলকে নিয়ে একটু পার্লারে যাও।“ তরু মাথা নেড়ে সম্মতি দিতেই কাজল চেঁচিয়ে ওঠে: “আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম যে আমি পার্লারে যাবো না! তারপরেও বলছো? মা এভাবেই তো আমাকে রাগিয়ে দাও!” মা বলেন: “তাহলে কি তুই রেডি হবি না? হাতে সময় বেশি নাই তো, ছেলে পক্ষ আসছে আংটি পড়াতে, যেমন তেমন ভাবে ওদের সামনে গেলে হবে?” কাজল এবার মিষ্টি হেসে বলে: “মা, ও নিয়ে তুমি একটুও চিন্তা করো না, আমার পার্সোনাল বিউটিশিয়ান এসে গেছে, সময় হলেই দেখতে পাবে, এখন খেতে দাও তো, ক্ষুধা লাগসে।“
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
নভেম্বর চলছে। অনির সাথে আজ দেখা হবে তা জানাই ছিল। এই তো ক’দিন আগেই দেখা…..
বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..
এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..