ছাতিম ফুলের গন্ধ (পর্ব – ৪)

বিতস্তা ঘোষাল
উপন্যাস, ধারাবাহিক
Bengali
ছাতিম ফুলের গন্ধ (পর্ব – ৪)

হিয়া- মহুল

একটানা কাজ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে নেট অন করা মাত্র মহুলের মেসেজ এল।

মা আপনি জগৎ জননী। আপনার অনেক সন্তান। এই অধমকে মনে রাখবেন। তা কী করছেন? ফাইলে বন্দী এখনো? যদি সম্ভব হয় একটু কি কথা বলা যেতে পারে?

হিয়ার খুব ইচ্ছে হল তক্ষু্নি ফোন করতে। বুকের শব্দটা এখন দ্রিমি দ্রিমি। যেন কোনো প্রলয় আসছে। ফোন না করে দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ছেড়ে সে লিখল, বেরলাম। অফিসে বসে একটা কাজ শেষ করলাম। দুপুরের আলসেমি মেখে রাস্তাগুলো কেমন বেহায়া কালো আঁচল মেলে শুয়ে। গাড়িগুলো তাকে মাড়িয়ে চলে যাচ্ছে উদ্ধতভাবে। ওরা যেন চিরকালের নিপীড়িত শোষিত মানুষের প্রতিনিধি। বলা যেত মেয়েদের মত অসহায় ভাবে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে। মুখ বুজে সহ্য করছে, রক্তাক্ত হচ্ছে। বললাম না। নারী আর এই যন্ত্রণার উপমা বড় ক্লিশে লাগে।

মহুল জানতে চাইল, তা এখন কোথায় ?

গাড়িটা সিগন্যালে আটকে। একটা বছর ছয়েকের মেয়ে গাড়িতে টোকা দিয়ে ভিক্ষা চাইছে। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হত।এখন দেখি শুধু মেয়েরাই নয়, বাচ্চা ছেলেগুলোও এই পথেই। আসলে এর কোনো লিঙ্গ হয় না।এরা আমাদের সমাজেরই ফসল।যা বিষে আচ্ছন্ন।একে অস্বীকার করা যাবে না।তুমি কী করছ? বাড়ি ফিরেছ?

না। অফিসের ছাদে বসে দেখছি আরো একটা বিষন্ন সন্ধে। চুপি চুপি অন্ধকার ডালপালা মেলে দিল। যে বাতিগুলো এতক্ষণ নিশ্চল হয়ে বসে সুখ দুঃখের গল্প করছিল আর পাখির ডানায় ভর দিয়ে এলোমেলো ভাবনাগুলোকে উড়িয়ে পান চিবাচ্ছিল তারা এখন সচল হয়ে উঠল।এবার তাদের কাজ শুরু। দিকে দিকে তারা রঙিন সাজে সেজে ছড়িয়ে পড়ল।এখন এরা সারারাত রূপের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করবে কখন সে আসবে। তাকে ছুঁয়ে নিয়ে যাবে আলোর পথে। সে এলে শরীর থেকে রঙিন পোষাক ছুঁড়ে ফেলে এরা আবার ঘুমিয়ে পড়বে আর একটা রাতের অপেক্ষায়…আবার ও ভোর..
হিয়ার মনে পড়ল , ছোটোবেলায় একটা গল্প পড়েছিল। রাত হলে যমের দূত তাঁর চাবুক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে পথে। তার আগে সূর্যকে চাবুক মেরে বাধ্য করে ঘরে ঢুকতে। নইলে আলোর স্পর্শে কোনো খারাপ কাজ করা যাবে না। সে এসে সারারাত ধরে খারাপ কাজ করে আর সেই খারাপ কাজ যাতে কেউ দেখতে না পায় তাই বাধ্য করে আলো নেভাতে। বাবা বলতেন, এই আলো হল প্রতীক। মানুষের মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা অন্ধকারকে সে টেনে বের করে, তারপর তাকে নিয়ে যায় আলোর দেশে।

এসব ভাবতে ভাবতেই হিয়া লিখল, তারপর, কিছু বল। লিখেই মনে হল মহুল কি আদৌ তাকে কিছু বলতে চায় নাকি সে কিছু শুনতে চায়?

গাড়িটা এখন ফ্লাইওভারের ওপর। হিয়ার মনে হল, পুরো রাস্তাটায় সে একা। আর তাকে অনুসরণ করছে আকাশ। কিসের এক অমোঘ আকর্ষনে সে অনুভব করল অনেক দূরে কেউ তার অপেক্ষায়। সে সেই প্রতীক্ষারতকে জানাল, খুব দ্রুত সব বদলে যাচ্ছে। বাতাস থমকে গেলেও আকাশটা কিন্তু একই আছে। আমার দৃষ্টির বাইরের আকাশ আদি অনন্ত। তাতে মেঘ রোদ এখনো খেলা করে।

আমি এখনো রামধনু রং নিয়েই খুশি। অন্য রং নাই বা দেখলাম। ভেঙে পড়া গাছ দেখলে আজো আমার বুক কাঁপে। কি জানি পাখিরা নীড়ে ফিরল কিনা! তুমি জানতে চাইছিলে শহরটা এখন কেমন আছে? বলি শোনো, বদলে যাচ্ছে দ্রুত এই শহর। হাইরাইজ বিল্ডিং আর হাইরোডের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে জীবন। কোনো এক সময় আমিও ছুটেছিলাম আলো ধরব বলে। প্রদীপের নিচে জমে থাকা অন্ধকার দেখতে দেখতে বুঝেছি একমাত্র প্রাণের প্রদীপের আলোতেই উদ্ভাসিত এই মন। তাই এখন আলো খুঁজতে না বেরিয়ে আকাশ দেখি। সেখানে কত আলো কত রং।

খনিকবাদে ওপ্রান্ত থেকে প্রশ্ন। তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস কর?

আমি কোনো এক মহাজাগতিক অস্তিত্বে বিশ্বাসী। এ জগতের সব কিছুই তাঁর ইচ্ছাতেই হয়। হয়তো ভাবা যেতে পারে এই যে বিশ্ব জুড়ে এত হানাহানি কাটাকাটি, যন্ত্রণা, খুন, রক্ত, বন্যা সব কি তাহলে তাঁর ইচ্ছায়? শুভ চিন্তা বলে, না। আমি বলি, হ্যাঁ। যুগে যুগে অশুভকে বিনাশ করার জন্যই তো এত শক্তির উপাসনা। তবু কি আমরা পারছি কিছু বদলাতে! অথচ যিনি এই শক্তির মূল তার ইচ্ছায় এক নিমেষে সব এলোমলো। সে বন্যা খরা ভূমিকম্প অগ্ন্যুৎপাত ঝড় বৃষ্টি মহামারি যে কোনো রূপে সব পালটে দিচ্ছেন। তাঁর প্রলয় নাচনে বিশ্ব সংসার তখন দুলে যাচ্ছে। এত প্রচেষ্টা বৃথা তখন। এটা দিয়েই তিনি প্রমান করছেন তিনিই একম্ ও অদ্বিতীয়ম্। আর আমরা কেবল পুতুলের মত নাচ দেখিয়ে চলেছি তাঁর-ই অঙ্গুলি হেলনে।

মহুল বলল, আচ্ছা , আমরা যা ভাবি বা করি তাও তো তাঁর ইচ্ছে। তাহলে আমাদের কোনো দোষ নেই, খুন করি বা ব্যাঙ্ক ডাকাতি…
না না, তা বলছি না। আমাদের মধ্যে শুভ -অশুভ দুটোই আছে। যেটা প্রকট তার তাড়নাতেই সব। তবে আবারও বলছি পৃথিবীর বিনাশ হবেই। শ্রীকৃষ্ণের কথায়, পাপের ঘড়া যখন ভরে যাবে। এই পাপ শুধু তোমার আমার বা একটা খুনি একটা ডাকাতের নয়। এ পাপ হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা মানুষের সম্মিলিত পাপ। তার বিনাশ হবেই। এতদিন যে টিকে আছে তার কারণ যুগে যুগে মহামানবদের চেষ্টা। তাঁরা নানা রূপে চেষ্টা চালিয়েছেন।
বেশ মেনে নিলাম। বলে মহুল বিদায় নিল।

হিয়া যখন বাড়ি ফিরল তখন ড্রইংরুমের ঘড়ি জানান দিল এখন রাত ন’টা। দরজা খুলেই কৃষ্ণাদেবী বললেন, দিয়া এখনো ফেরেনি। আর রিক আজ ফিরবে না। তোমাকে জানিয়েছে?

কোনদিন জানায় মা? ব্যাগ রেখে বাথরুমের গিজার অন করল। স্নান করে আসছি মা, একটু চা দিও, বলে ভিতরে ঢুকে গেল হিয়া।

স্নান পুজো সেরে ড্রইংরুমে এসে দেখল কৃষ্ণাদেবী মন দিয়ে কোনো একটা সিরিয়্যাল দেখতে ব্যস্ত। তাকে দেখে বলল, চা করা আছে। ছেঁকে নাও একটু। তারপর আবার সিরিয়্যালে মগ্ন হয়ে গেলেন।

হিয়া রান্না ঘরে গিয়ে চা ছেঁকে নিয়ে ফিরে এল নিজের ঘরে।

খানিকবাদে ল্যাপটপ খুলে কীপ্যাডের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল। সে এখন যেন একটু একটু করে চরিত্রগুলো চিনতে পারছে। গভীর ভাবনায় ডুবে যেতে যেতে লিখতে শুরু করল-

হিম কুহুর গল্প (পর্ব তিন)

হিমের সঙ্গে কুহুর পরিচয় মোবাইলে। কী করে যেন ক্রশ কানেকশন হয়ে গেছিল তাদের মোবাইল কলে। তাতে যে ক্ষতি হয়নি সেটা আমি, এই গল্পের নীরব দর্শক বা লেখক ভালই উপলব্ধি করতে পারছি। আমার সঙ্গে তাদের যতবার দেখা হয়েছে ততবার দেখেছি দুজনেই কানে ফোন নিয়ে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে। যেন তাদের দুজনের বাইরে এই দৃশ্যমান পৃথিবীতে আর কোনো জনমানব নেই। শুধুমাত্র পারস্পরিক কথা আদান-প্রদানের মধ্যে দিয়েই তারা জেনে নিচ্ছে জাগতিক যাবতীয় খুঁটিনাটি।

আমি দেখতে পাচ্ছি কুহুর পরনে এখন ফাটা জিন্স, ওপরে স্লিভলেস সাদা শার্ট। স্লিম ফিগার। এবং যথেষ্ট স্টাইলিস্ট। একটু ভাল করে নজর করলে বোঝা যায় চোখে খুব ভাল দেখে না সে। লেন্স আর চশমা তার সর্বক্ষণের সঙ্গী। অন্যদিকে হিম একদম সাধারন চেহারার একটা বাইশ তেইশ বছরের ছেলে। কোঁকড়ানো চুল। সর্বক্ষণ পাজামা পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া পরে আপন খেয়ালে ঘুরে বেড়ায়। বাড়িতে যখন থাকে বাদ্য যন্ত্র, গান আর বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতেই স্বচ্ছন্দ সে। বন্ধুবান্ধব বিশেষ নজরে পড়েনি আমার। কুহুর সঙ্গে কথা বলতেই সে যে একবারে সাবলীল, এটা আমার দৃষ্টি এড়ায়নি। এখন আমি কান পেতে শুনে নিতে চাইছি তাদের যাবতীয় কথা। তাই তাদের সঙ্গে আমিও পৌঁছে গেলাম বড় রাস্তায়। সওয়ারি হয়ে উঠে পড়লাম কুহুর গাড়িতে।

হিম : কী করছ?

কুহু: অপেক্ষা। ভাবছিলাম আজ তোমার মেসেজ আসবে।

হিম : কেন ভাবলে ?

কুহু : মন বলল ।

হিম : ও। আমি আজ বাজনা শুনে দিন কাটাব ভাবছি ।

কুহু : কী শুনবে? তবলা না চৌরাসিয়া নাকি সেতার?

হিম : বিলায়েৎ খান শুনছি। কেন যেন মনে হচ্ছে বহু ব্যবহারে কথারাও ক্লান্ত ।

কুহু : তাই ! তাহলে চুপ থাকো। কথা তো চলতেই থাকে। রোজ জন্মায়, রোজ মরে শত শত কথা। এত কথা শুনছে কে! তার থেকে মৌনতাই জারি হোক ।

একটু বিরতি। তারপর …

হিম : আসলে সবাই আমরা অজস্র বলছি … কেউ শুনছে না ,কান পেতে শুনছে না…

কুহু: কার সাথে বলছ? সে কেন শুনছে না ?

হিম : এ সময়ের অসুখ। শব্দ এস এম এস , ওয়াই ফাই , ফেসবুকে বন্দী। তাই শব্দ আজ প্রহসন। আমার মাথার ভেতরটা হিজিবিজিতে ভরা। সেখানে কাটাকুটি চলছে। ইচ্ছে করছে দ্বৈপায়ণ হ্রদের তলায় গিয়ে শুয়ে থাকি …

কুহু : ও কে। শুয়ে থাকো। যাতে শান্তি পাবে তাই করবে।

হিম: তোমার কিছু বলার নেই ? নাকি তোমারও আর কথা বলতে ভালো লাগছে না ?

কুহু : আমার তোমার সাথে কথা বলতে ভালই লাগে। কেন জানি না খুব কম মানুষের সাথেই কথা বলতে সাধ হয়। তার মধ্যে তুমি একজন।

হিম : এদিকে আমি ভয়ে ভয়ে থাকি। নৈঃশব্দের তর্জনী অবিরত শাসায় আমায়।

কুহু : জানো তো শব্দ হল ব্রহ্ম। কে কিভাবে প্রয়োগ করে তার ওপরেই কথা চলে।

হিম : তোমার এই কথাটা দামি ! এটা কতদিন আগের পড়া। তুমি মনে করিয়ে দিলে ।  আচ্ছা তুমি এখন কোথায় ?

কুহু : এখন বাড়ি ফিরছি। এই সময় শহরটা বড় রঙিন লাগে। এত গাড়ি, এত আলো, এত শব্দ…আর চারদিকে শুধু পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ। আমার নিজেরও আজ খুব চৌরাশিয়ার বাঁশি শুনতে ইচ্ছে হচ্ছিল।কিন্তু ঢাকা শহরটা সব ভুলিয়ে দিল। সেনরাজ বল্লাল সেন চোখের সামনে এসে দাঁড়াল। বুড়িবালাম নদীর তীরে ভ্রমণ করছিলেন। ঝোপের আড়ালে পেলেন মা দূর্গাকে। তিনিই হলেন ঢাকেশ্বরী। তার জন্যই ঢাকা। অবশ্য ঢাক বাজানো থেকেও ঢাকা, এই তথ্যও আছে। সে যাই হোক, কলকাতার আগে ঢাকা তো রাজধানী ছিল। যেমন ছিল মুর্শিদাবাদ। সে অর্থে কলকাতা শহর নতুন। অথচ তার কত প্রতিপত্তি। যত পড়ছি তত অবাক হচ্ছি আর উপলব্ধি করছি এত বৈচিত্রের জন্যই বুঝি গ্রীক বীর বলেছিলেন, সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ!

হিম: দারুন তো! তুমি শিলাইদহ, শাহজাদপুর গেছ?

কুহু: না। খালি ঢাকা , তাও ভাল করে দেখিনি।

হিম : ঢাকা কেন গেছিলে?

কুহুঃ বাবার সঙ্গে ঢাকাই জামদানী শাড়ি আনতে। জানতো আমাদের পারিবারিকভাবে শাড়ির ব্যবসা।

হিমঃ ও; তাই বুঝি! শাড়ি নিয়ে কোনো কৌতুহল নেই আমার। তা তোমরা বাঙাল না ঘটি?

কুহু: ঘটি

হিম: আমি যে কাঠ বাঙাল !!

কুহু : তো! তোমার জন্ম ওখানে? তুমি ওখানে বড় হয়েছ? তার থেকেও বড় কথা এপার ওপার নয়। বেসিক্যালি ওরা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি বাঙালী ।

হিম: ঠিক। তুমি কি জানো বাংলা ভাষা কিভাবে এদেশে এল ?

কুহুঃ এদেশ মানে ? পশ্চিমবঙ্গে ? নাকি বাংলাদেশে ?

হিমঃ এ পার ও পার দু’পারের কথাই বলছি আমি। এটাতো আমাদের আদিম ভাষা নয়।

কুহুঃ আমাদের আদিম ভাষা সংস্কৃত,পালি আর প্রাকৃত, এটাই বলবে তো!

হিমঃ হ্যাঁ। কিন্তু প্রাচীন ভারতে সর্বসাধারণের কথ্যভাষা ছিল প্রাকৃত। সেটা ধরা যাক খ্রিষ্টপুর্ব ৪৫০ অব্দ থেকে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ। এই কথ্যভাষা থেকেই বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে আজকের বাংলা ভাষা। একটা মজা কি বলত….. সাময়িক বিরতির পর হিম আবার বলল, এই ভাষাটা এসেছে পূর্ব ইওরোপ এবং পশ্চিম এশীয় অঞ্চলের সমভূমিতে ঘুরে বেড়ানো যাযাবর উপজাতির থেকে। আসলে এটা ইন্দো-ইরানীয় ভাষা। ভাবতো একবার কিভাবে কোথা থেকে একটা ভাষা আমাদের এখানে আসছে আর ক্রমশ আমাদের ভাষা হয়ে যাচ্ছে। এই তুমি বোর হচ্ছো তাই না? জানো আমাদের পূর্ব পুরুষরা এসেছিলেন ঢাকা বিক্রমপুর থেকে। ভেবেছি একবার যাব সেখানে। তুমি যাবে আমার সাথে?

কুহুঃ এখন নয় নিশ্চয়ই ।

এই অবধি লেখার পর কলিং বেল বেজে উঠল। দিয়া এল বোধ হয়, একথা ভেবে উঠতে গিয়েও আবার লিখতে লাগল হিয়া।

বিতস্তা ঘোষাল। কবি, গল্পকার ও অনুবাদক। জন্ম ৫ই জানুয়ারি, ভারতের কলকাতায়। ইতিহাসে এম এ, কলেজে সাময়িক অধ্যাপনা। অনুবাদ সাহিত্যের একমাত্র পত্রিকা ‘অনুবাদ পত্রিকা’র সম্পাদক। ‘বাংলা আকাডেমি’, ‘একান্তর কথা সাহিত্যিক', 'চলন্তিকা' পুরস্কারপ্রাপ্ত। বিতস্তার প্রকাশিত বই ২২টি। তাঁর কবিতা হিন্দি, ওড়িয়া, অসমিয়া ও ইংরেজিতে...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ