প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তোমার শহর
তোমার শহর এখন পতিত রয়,
অস্তিত্বের শেকড়ময়–
তোমার শহরে এখন
স্বপ্ন-ভূমির ভাবনা
প্রতীক্ষার প্রান্তর বিরান করে;
অনাকাংখিত ট্রেনের দুর্ঘটনা,
বোধের পরিপাটি বসতি
অস্বত্বিকর নীঃসঙ্গতার যত্নআত্যি
নতজানু হয়
অনুগামী বিষাদ-কর্মে–
ফেলে আসা স্মৃতির ধূসর ধর্মে
ডুবে যায় কৈশোর,
প্রস্থানের অতলে
ভালো লাগার প্রথম জলে,
চারিদিক বর্ষার হাওর
জলের উপর জল
তোমার শহরের ভেতর
দৃষ্টির বুকে এখন ধাবমান
উপদ্রুত গোরস্থান…
তোমার শহর- ২
তোমার শহর এখন ভাবলেশহীন প্রেতপুরী
জনশূণ্য, সূর্যাস্তের এক সংশয়-নগরী।
বিষাদেরা- অশীরিরি আত্নায় ঘুরে
প্রহরের নীরব অন্ধকারে;
বিল্ডিং-এর কঙ্কালে এখন
পিশাচের ডাক-
জংধরা টিনের মত ক্ষয়ে যায়
যুগল বনানী, সন্ধ্যার পার্ক;
ইচ্ছেরা এখন হাজামাজা নদী
বিভ্রান্ত পাথরের মত নিরবধি
নিঃসঙ্গ, নিথর পড়ে রয়–
হারানোর অলৌকিক ঘ্রানময়
জ্যোৎস্নায় পুড়ে
নীলিমার গলিত শরীরে
তোমার চলে যাওয়াতেই
অনুভবের খুনসুটি ডুবে
দোলানো বেনী অদৃশ্য হয়
চৈতন্যে বিষন্নতারা মাথা কুটে,
উস্কুখুস্কু নীরবতারা
যথারীতি মৃত্যুতে লীন
এ শহরকে অন্ধকারে ডুবায়–
অতীত অভিমানের রৌদ্রময় দিন;
এখন এ শহরে কোন যুবতী নেই-
কেবলই জেগে থাকে যুবতীর অবয়ব
বিগত বাড়ীর চৌমাথায়
প্রস্থানের ধোয়া-
ঢেকে দেয় সব
সময়ের কুশীলব
ছায়াবাজি
আমার আমিকে
রোদ্দুরের চারদিকে
ছড়িয়ে দিয়ে দেখি
নীলিমা শূন্য, মেঘ নেই
পুরো আকাশটাই মেকী!
হাওয়ারা উড়ে যায়
ঈগলের ধৈর্যহীনতায়
নিসর্গের কপাট খুলে
বিস্মরণের তৃষ্ণা জ্বলে
মনস্তাপের অঞ্চলে;
কখনওবা ঢেউ তুলে
জীবন ব্যাপে
গোধূলীর অবগুণ্ঠন মেপে
রাত্রির অনুভব ডাকে
মননের অন্তঃপুরে-
স্মৃতির মোহরে
উটের গ্রীবার মত
বয়স্ক ছায়ারা
নতজানু পড়ে থাকে।
তারপর
জানে না গন্তব্য বলে কাকে
ঠিকানাহীন সময়ের চারিদিকে
রটায় ভুলের বিষাদ,
সুকৌশলে-
মায়াবতীর ঊর্ণাজালে
দ্বিধার খুনসুটি ফেলে দেয়,
সাদা-কালো কৈশোর
আত্মার জংধরা স্বর
যুথবদ্ধ স্পৃহা ভালোবেসে
কিশোরের মত উঠে হেসে;
অনভিজ্ঞ কবির বেদনা-মুখর
নিষ্ফলা আক্ষেপ-
মননের আঙিনায়
ক্রমাগত অাওড়ায়
তারপর,
তারপর–
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..