প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
মেঘের আর্তনাদ
কাল বিপন্ন মেঘের আর্তনাদে
ঢেকে গিয়েছিলো কান্না কারো
হাহাকার ছুঁয়েছিল বৃষ্টির শব্দমালা।
তবুও আশ্চর্য ফুলের গন্ধে ভরে ওঠে চারিপাশ-
আমি গতজন্মের কোন পুন্যের বলে
এতোটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছি।
ঘন বরষায় বুকের ভেতর এক আশ্চর্য রোদ খেলা করে।
এখনো অন্ধকার আসে পৃথিবী নিঃসাড় পড়ে থাকে
নিঃসীম নির্জনতায় আমাকেও সঙ্গী করে।
নিঃশব্দতার ছায়া পিছুপিছু হাটে-
অ- সুখের পাশাপাশি নির্জন সবুজ, নীল কিংবা হলদে গেরস্থালী।
কঠিন, কঠোর কাজের চাপে মেরুদণ্ডের হাড় যায় বেঁকে।
তবুও বুকের ভেতর নতুন স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চাওয়া।
অমোঘ নক্ষত্রালোকে পাতা মেঘের শয্যা।
থাকো শুধু কবিতায়
বুঝি ভাঙতে চাও সান্নিধ্যের সাঁকো!
সেই ভালো শুধু কবিতায় থাকো।
অন্তহীন প্রতীক্ষা, দীর্ঘ তপস্যা, নির্মম বিষাদ;
অযথা অশ্রুপাত, বুকের কাঁপন।
ভালোবাসা ঝর্নার খোজে বুকের পাঁজরে ভাঙ্গন।
এই শূন্য পরবাস, তীক্ষ্ণ দীর্ঘশ্বাস, হাহাকারের উদগ্র নাচন।
শোকে আচ্ছন্ন হয়ে শূন্যতাকে আলিঙ্গন।
চারপাশে কেবল বিরহের ছবি আঁকা।
তাই বুঝি ভালোবাসার আলো মেঘে ঢাকা।
তবুও আশা ভেসে আছে প্লাবনে
প্রখর গ্রীষ্মেও মন ময়ূর নাচে শ্রাবণে।
সুর ঝংকৃত হয় নূপুরে ও কাঁকনে।
যেখানেই থাকো স্মৃতি যাও নাড়িয়ে।
তোমারি দিকে আছি দু’ হাত বাড়িয়ে।
ছেঁড়া স্বপ্নের কাব্য
স্বপ্নের হাসি কান্নাগুলো হাতে নিয়ে হাঁটি
ছায়া ঘরবাড়ি নৈঃশব্দ্যের স্তব্ধতায় মুখর।
ঘৃণার আগুনে পুড়ে খাক স্বপ্নময় রাত্রি।
বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষায় কষ্টে পোড়া মন।
রাতের আকাশে অনিদ্রার ধ্রুবতারা
প্রচ্ছন্ন মায়ার অনিশ্চিত দিশেহারা।
শান্তির নরম ছায়ায় আদিগন্ত আলো একা বসে
বুকে কষ্টের বেহালা ঈথারে ভাসে।
অশ্রুলীন দিনরাতগুলো একা, বিপন্ন বিস্ময়!
জীবনে হঠাৎ জোছনার হাতছানি।
বিহ্বল রাতে পূর্ণিমার মায়াময় স্মৃতি
ছায়ার মতো পায়েপায়ে হাঁটে।
হৃদয়ের পুকুরে বিষাদের কালো ছায়া নামে।
অবিরাম ফিরে ফিরে আসি পুরনো স্বপ্নঘরে
জীবনের সাতকাহন আজ ছেঁড়া স্বপ্নের কাব্যে।
ভালোবাসার শব্দময় প্রত্যাশায়
তোমরা সবাই ছেড়ে যেতে বললেও আমি যাবো না ছেড়ে।
তাই এক সাগর গাঢ় যন্ত্রণার নির্মম বাস্তবতা।
তাকে আমি পেতে চাই নিভৃত শয্যায়;
দিনের শেষে কিংবা রাতের শেষে, একান্ত নিঃশ্বাসে।
গভীর যন্ত্রণা আনে সে অস্থিতে, মজ্জায় রোগে শোকে;
তারপর ও উজ্জলতা হারায় না বিশ্বাস ।
আত্মার গভীরে ধ্বনিময় তার পিপাসা
জীবনের সংগোপন ভাষাদের নির্বাক অপেক্ষা।
মাঝে মাঝে মনে হয়-
যেখান থেকে যাত্রা শুরু,
সেই সুগন্ধিময় রাত্রির বিস্ময়!
এখনো এই বিমুগ্ধ মনে নূপুর নিক্কণ।
রোদের নির্ঝর রাত্রির কুহক স্বপ্নাবিষ্ট দেহ,
মন হয়ে যায় এলোমেলো।
তোমরা সবাই ছেড়ে যেতে বললেও আমি যাবো না ছেড়ে।
স্পর্শময় নিঃসঙ্গ হাতুড়ি বক্ষে নিয়ে
দৃঢ় প্রত্যয়ের দ্বার খুলে বসে থাকবো হাজার আলোকবর্ষ কাল।
যদিও নিশ্চিত জানি, এ অনন্ত অপেক্ষার শেষ নেই।
তবু ও কান্নার বিজন বাতি আকাঙ্ক্ষায় অস্থির প্রাণ।
তুমি এসো, আমার উজ্জলতার ভালোবাসা
জলে, স্থলে, সর্বত্র এই শব্দময় তোমার প্রত্যাশা।
একটি কষ্ট যদি ভয়ঙ্কর হয়, অন্ধকার হয়, বিশাল হয়;
যে প্রকাণ্ড আলোড়ন হৃদয় জুড়ে তখন!
দীর্ঘদিন আমি আচছন্ন এই অন্ধকার কষ্টের মধ্যে।
বহুবার আমাকে দলিত মথিত করেছে এই ভয়ঙ্কর আঁধার।
বেদনা, বিষণ্ণতা,বিপন্নতার একান্ত কোরাস আমার চারপাশে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..