প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
মাধুকরী
জানলা দিয়ে ভিক্ষুকের মতো চাঁদ উঁকি দেয় রমণীর শরীরী হরফে। রাত্রির নগ্ন পেয়ালায় মহুয়া ঝরে, মনের ভেতর বাসা বাঁধে অনন্ত এলোমেলো। কামনায় নোনতা দাগ, সীমাশূন্য শূন্যতা। কী ভিক্ষা করে চাঁদ — রাত্রির অনন্ত আয়ু নাকি জ্যোৎস্নার কলমে লেখা কয়েকটা পাতার ভেজাভেজা উত্তর? রাত বেড়ে চলে জানলার ওপারে।
জন্মান্তর
বিদায়কালে বলেছিলে, ‘ একটু দাঁড়াও। তিথির গ্রাসে ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদকে সাক্ষী রেখে এবার তো পেরিয়ে যাবো কাঁটাতার। ওপারেই হয়তো পাব নতুন জনম, নতুন আলোর দ্যোতনা। ‘ অনেকদিন হয়ে গেল, নতুন জীবন পেয়েছ তুমি, নতুন জনম? এক জীবনে কতবার জন্মায় মানুষ? তার চেয়ে বেরিয়ে এসো ভেতর ঘর থেকে। বাদামি হয়ে যাওয়া কাগজের পাতায় বারান্দা আঁকো। প্রহরের শেষ বেলায় আর কী কথা শোনাবো বলো?
অন্বেষণ
‘ তফাত যাও ‘ অবিরাম হেঁকে চলে মেহের আলি। জানে না সে আমি ওর পিছু নিয়েছি। হাতের মুঠোয় বসন্ত ধরে ছদ্মবেশে ওকে নকশার আকাশ দেখাই, উপহার দিই বাংলা ক্যালিগ্রাফি, কাশ্মিরি পশমিনা। তবুও হয় না দূর তার মুখের অন্ধকার। সে হাঁটে কখনও হোঁচট খেয়ে, কখনও ক্ষণিক থেমে। সুর- তাল- লয়- ছন্দে ভরা চলনে অসাধারণ ক্যাকোফোনি। লুকিয়ে তার শরীরের সুর খুঁজি, আর সে খুঁজে চলে মানুষ।
অবগাহন
দিঘিঘাটের পৈঠেয় বসে কিছু কামনা জ্বলে পুড়ে মরে, আবার কিছু সম্ভাবনা পা রাখে আগামীতে। মেঘের বসন্তে নাকে আসে লেবুপাতার গন্ধ, কানে কেকারব, রসনায় রূপালি ইলিশ। দিন তরতর বয়ে যায়, রাত কথকমুদ্রায়। কিছু কান্না অনুচ্চারিত থাকে চিরকাল। চলনবিলের দরজাটা খুলে দাও, ডুব দেব নীল জলে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..