প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
জবাব চাইতে নেই
অদিতি
আগুনরঙা
তোমায় যদি আগুনরঙা ডাকি?
সেকি? আগুন আবার বসন্ত গায় নাকি?
পাতার ফাঁকে ফুলের গন্ধে যদি খোঁজো,
আলোর রেখা তোমারও আছে যদি বোঝো।
নক্সা আঁকা দিকও জানি হারায় দিক,
দিন ফুরোলে রাত্রিগুলোই আন্তরিক।
মন ভালো হয় এমন কোনো অক্ষরেখায়,
একটা জন্ম মিলিয়ে নিও হাতের শিরায়।
ভাবছ তুমি নাম ফুরোলই আমিও শেষ?
না হয় আমি আগুনরঙাই…. আচ্ছা বেশ।
জবাব চাইতে নেই
জবাব চাইতে নেই।
কখনো বুঝতে চেও কীভাবে ছাইপোড়া রঙ
বৃষ্টিতে ধুয়ে সফেদ আলো ছড়ায়।
তর্কে তো যাওয়াই যায় বহুদূর….
থেকে যাওয়াটাই প্রয়োজনীয়।
হলুদ পাখি, গাঙচিল, ময়ূরাক্ষী
উড়ে যায়, বয়ে যায় ইচ্ছেমতো;
পৃথিবী কি জবাব চায় তাদের কাছে?
তাই জবাব চাইতে নেই।
কখনো বুঝতে চেও
ঘুম ভাঙা চোখ কিভাবে স্বপ্ন দেখে
রাতের পর রাত।
হৃদয় উপত্যকা
হৃদয় উপত্যকা; সহস্রবার চেয়ে দেখো তুমি…
কিছু পথ একপেশে, কিছু তার মরশুমি।
ম্লান হওয়া মেঘ ঢেকে দেয় দূরের নজর,
আলো হাতে অশ্বারোহী পথ চিনতে অনড়।
এবারে সুর ধরলে তুমিও চিনে নিও মালকোষ,
এ কাহিনী সবারই, সময়ের সঙ্গদোষ।
থেমে থেমে যাই তবু পায়ে পায়ে থাকে চলার কথা,
বিপরীতে ছোটে যত অতীতের ব্যথা।
যেখানে বরফ কঠিন, সেখানে লাভার স্রোত;
হৃদয় উপত্যকা, ভালবাসাই নামান্তর হোক।
ভিড়ের কথা
উপন্যাসের সেপিয়া স্মৃতি, বাইরে আন্দোলন অস্তিত্বের।
মন হরণ নাকি রক্তক্ষরণ?
চারপাশে যারা দ্বন্দ্ব বাড়ায়, তারা আসলে মরেছে কবেই।
জীবিতরা ভিড় জমায় হাসির রেখায় রেখায়।
যখন সময় থেকে চুঁইয়ে পড়ে অনেকখানি আমি,
দূরে কোথাও নি:শব্দে মিছিল করে মোমবাতি।
কেউ কেউ তখন আরও দূরে ব্যস্ত মেঘ ঢাকবে বলে।
অপমানের হিসেব কলম ঠিক বুঝিয়ে দেয়….
অনেক ভিড়েও তোমার অনুশোচনা
খুঁজে পায় না একটিও যতিচিহ্ন।
দিক যদি হয় ওলটপালট
দিক যদি হয় ওলটপালট, ছুটুক না হয় জেহাদী মন;
নিন্দুকেরা বলছে বলুক, ঝড়ের সাথেই ঈশান কোন।
এক মুঠোতে মুহুর্ত থাক, আর এক মুঠোয় অনন্তকাল;
তুমিও থেকো মিথ্যে হয়েই, মনখারাপী অন্য সকাল।
মুখচোরা সব বিষণ্ণতা আশকারা পায় অমন বুকেই,
চুপকথা যে শুনছে তোমার, সব ঋতু তার তোমার মুখেই।
কফির কাপে উঠুক ধোঁয়া, মাইলফলকে সন্ধ্যে নামুক;
আড়চোখে সব জমা কথা আঙুল ছুঁয়ে হাঁটছে হাঁটুক।
দিক যদি হয় ওলটপালট, ছুটুক না মন অসংযত;
নিন্দুকেরা বলছে বলুক, তোমার তুমি খুব ব্যক্তিগত।
