প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এই দেশের মাটি আমার অবহেলার নয়,
লাখো আত্মার প্রাণদান যেন বৃথা না হয়।
বাবার আশ্রুতে আমার চোখ ভিজে রয়,
এই যন্ত্রণা প্রাণ আমার কেমনেই বা শয়?
অসংখ্য নরনারীর রক্তে গাঁথা
আমার সবুজের নকশী কাঁথা
যুদ্ধে আব্বা’র বিস্ময়কর কথা,
রক্তাক্ত লাশগুলো পরে আছে তথা।
যদিও মুক্তিযুদ্ধ স্বচোখে দেখিনি,
বর্বরতা দেখার আগ্রহ আর হয়নি,
বাংলার অবমাননা কখনো করিনি।
তাই তো অসভ্যতায় হারিয়ে যাইনি।
পরম শ্রদ্ধায় আঁকড়ে ধরে রাখবো আমি বাংলা
দস্যুরা যতই করুক না ধর্ম, সংস্কৃতিতে হামলা
সভ্য সাজে, অসভ্যরা করুক আমার বিরুদ্ধে মামলা।
আমি খাদিজা, দুর্গা, যশোধরা, মেরি অষ্টাধতি শ্যামলা।
রাঁধবো আর কতো প্রকারের পদ?
নতুন সমাজ আসলেই কি নিরাপদ?
যদি আসে কোন ঘন তীক্ষ্ণ আপদ?
কে কাটিয়ে উঠোবে এই বিপদ?
পবিত্র নিয়মাবলী কতক্ষণ করবেন রদ?
কে কারা করেছেন বহু বিশাল খদ?
কোথায় হারালো ধার্মিক সভ্য জনপদ?
শুকিয়ে গেছে কি গ্যালিলি সংলঘ্ন নীলনদ?
আসবে কবে মানব সভ্যতার জয়?
এটি কি আজো ভাবার বিষয় নয়?
বিজ্ঞরা বুঝি আবোলতাবোল কয়?
হওয়া যায় না প্রতিক্ষণে একটু বিনয়?
সংবাদ পেলেন কি- শিগগির পৃথিবীর ক্ষয়?
ও হো হও! শয়তান আদৌ কারো বন্ধু হয়?
অনুভব হয়নি তিনি যে, মহান দয়া ময়?
স্রষ্টায় আস্থাহীন কেমন এই মিথ্যে বিজয়?
কবে জানাবেন এই ক্ষণে উপায়?
বলুন না, কে দেবে? ন্যায় বিচারের রায়?
দেখুন না, সূর্য কীভাবে সিজদায় যায়?
তিনি কি সত্যিই দেখান নি সদুপায় ?
আস্থাহীন শূন্য হৃদ্য় কি করে শান্তি পায়?
এতো বল, দম্ভ, আমার রব চুপচাপ সহ্য করায়?
কবে থামবে বিজ্ঞানের বিধ্বংসী অভিপ্রায়?
তৈরি হচ্ছেন কি ইসরাফিল ফুঁ দিতে শিঙ্গায়?
আমার অস্তিত্বে, আচার আচরণে বাংলা,
সৎ উদ্দেশ্যে, হাতের বিদ্যায় বাংলা,
গায়ের রঙে, মস্তিষ্কের যন্ত্রে বাংলা,
রন্ধন শৈলীতে, পরনে ঐতিহ্যের বাংলা।
“৫২ এর আন্দোলন” শিরোনামে গণ্য,
আন্তর্জাতিক খ্যাতির সম্মানে অনন্য।
বঙ্গভাষায় জন্ম আমার হ্যাঁ অবশ্যই ধন্য
থাকুক আমার দেশ বহু রঙের অরণ্য।
শিক্ষা দিয়েছে দেশপ্রেম আমার ধর্ম,
কখনো না দেখুক দেশ আমার অধর্ম।
হোক ছোট, একটু একটু কাজ কর্ম,
বর্তমান, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বুঝুক বাংলার মর্ম।
কতো শত শত অপূর্ব ফুল
কানে দিলাম জামদানী দুল।
বাঁধলাম অসীম স্মৃতিচিহ্নের পুল
হয়ে গেলো বুঝি বড্ড বিরাট ভুল ?
কি নিখুঁত হস্তের কাজ,
আমার অক্ষি কোটরের রাজ
মুড়েছি চারটে শালীনতার ভাজ,
মলিন আমার জামদানী সাজ।
ঘণ্টা দিন পেরিয়ে মাস
তৈরি হতে লাগে এক পাশ,
বাড়ি আমার শত জামদানীর বাস
আবদ্ধ চিত্রে মায়ের স্মৃতির নিবাস
আমার তাঁতি ভাইদের পরিশ্রম
হতে দেবো না বৃথাশ্রম।
আসল জামদানী কিনিতে অক্ষম?
আমি বরাবরি চিনিতে সক্ষম।
জামদানী আমার জন্ম প্রথা
টুকরো বস্তু নয়কো যথা,
পূর্বের সেই থাকে রেখেছি তথা,
আলমারিতে জমে রবে বহু কথা।
কাঠের যন্ত্রে রঙিন সুতো মেলে
জন্ম তার মোঘল সাম্রাজ্যের কালে।
নারায়মগঞ্জ, রূপসী বাংলার আঁচলে
বিস্তৃতির অবনতি সেই ব্রিটিশ আমলে।
রেঙ্গুন হতে নানা সাহেব ফিরলে
জামদানী হাতে নিয়ে বাড়ি পৌছলে,
নানী সাহেবা চিনির বয়াম খুলে
ফিরনীতে দিতেন চিনি ঢেলে ঢেলে।
অধিকার? সৌন্দর্য? সম্মান? সভ্যতা?
একান্তই নারীর শালীনতা।
কখনোই নয় নগ্নতা।
নারী বুঝুক তাঁর অস্তিত্ব,
গুছিয়ে উঠুক পরিস্থিতি।
বিলম্ব না করে, করুক উপলব্ধি,
সৃষ্টিকর্তা, জন্মদাতার অকৃত্রিম করুণা,
আবেগপূর্ণ শাসন করে উপেক্ষা।
কে? কারা ঠেলে দিয়েছে আপনায়
আধুনিকতার নামে বেহায়াপনায়।
ও নারী চিহ্নিত করতে শিখুন,
কুপ্রভাববিশিষ্ট বস্তু অণুবর্গদের।
নারী আপনি দিন বুদ্ধিমতীর পরিচয়
আমার-ই শেষ কামনায়।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..