প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
(কথাকার ফজলুল কবিরীকে)
শেকড় কোথাও তবু গেঁড়ে থাকে স্মৃতির ভেতর
এক খণ্ড ভূমি নিয়ে মস্তিষ্কে পীড়ন অর্থহীন
জমির মালিক সব ছেড়ে দিয়ে যায়
একদিন অনন্তের বিবর্ণ আহ্বানে
স্মৃতির উঠানে আজ যেটুকু জমির ঘ্রাণ লেগে থাকে
সে কেবল প্রসারিত প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
একদিন বেতপাতা বাঁশির ভঙ্গিতে গেয়েছিল
আমের আঁটিতে ভেঁপু নিযুত বছর ধরে স্মৃতির সণ্চয়ে
এইতো পুকুর পাড়ে খেজুর গাছের সিঁড়ি
পিছলে পিছলে পড়ে যাওয়া গ্রীষ্মের দুপুর
ধানক্ষেতের আল ধরে দৌড়ানোর দুরন্ত বিকেল
চালের ফুটোর ফাঁকে রোদ্দুরের ভোর ধেয়ে আসে
এতোসব শেকড় বাকড় ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে
বাংলাঘর ভেঙে গেছে
ভেসে গেল ঘটি বাটি সংসারের খাট
প্রখর মগজে যেন গেঁথে থাকে রঙিন শৈশব
হালদা নদীর ধারে পোনামাছ ভীড় করে নেচে ওঠে
পৃথিবীর প্রতিটি প্রহরে অযুত বছর ধরে
আমাদের গন্ডোলারা চাক্তাই খালের কালো জলে
দিবারাত্র ঘষটে ঘষটে চলে
হয়ে পড়ে ঘনকৃষ্ণ এবং ফ্যাকাশে
ভেবেছি সমূদ্র যাত্রা শুরু করি একদিন ক্লান্তিজ্বরা শেষে
অথচ নদীর নাব্যতায় আজ সুতীব্র ঘাটতি
চকচক করে না আর গন্ডোলা বা মুদ্রার চাকতি
তবু এক অনন্তের নিত্য আবাহনে
কোনো দূর দিগন্তের পানে
সকলেরই যেতে হবে অন্য কোনোখানে
জীবনের স্রোতের উল্লাসে অথবা ভাটার টানে
আমাদের গন্ডোলায় জমে শ্যাওলা আর নর্দমার পাঁক
জল মজে থ্যাক থ্যাক করে মরে গেছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ
গন্ডোলার ফুটোগুলি কালো শামুকের অযাচ দখলে
তবু ভাবি একদিন যাব — যাব, সুদূর সমুদ্রে চলে মহাকালে
(শান্তনু বিশ্বাসের জন্যে শোকগাঁথা)
রঙের সাথে রং মেশাতে দু’এক টুকরা ভুল
কোথায় যেন হারিয়ে বসি বিহঙ্গ বকুল
ভুল তো কেবল রঙেই নয় ভুল হয়েছে পথে
ভুলের সঙ্গী যাদের পেলাম উঠছে দিব্যরথে
একলা বিকেল ক্লান্ত হয়ে সন্ধ্যাকে দেয় ডাক
কোথায় যেন সান্ধ্য পূজার উঠলো বেজে ঢাক
দিন হয়েছে পার হয়েছে তৃষ্ণা জুড়ে বুকে
যে গেছে সে চলেই গেছে থাকবে বুঝি সুখে
আমার শুধু মনে পড়ে সে কোন্ অভিজ্ঞান
সারাজীবন শূন্য পাবার জন্যে যতো ধ্যান
এমন যারা পাগল তাদের জীবন ভরা সুর
আকাশ মেঘে যতোই ঢাকুক মন ভরা রোদ্দুর
টেকটোনিকের প্লেটগুলো ধীরে দূরে দূরে সরে যায়
একপৃথিবীর মহাপৃথিবীর মহাদেশ দূর হতে মহাদূরে
আহা পৃথিবীর একটি বাগান
তিন বাগানের বসতি বানায়
ভাঙা বাংলায় ভাঙা কাশমীরে হাহাকার জমে শুধু
ভাঙা সংসার জোড়া লাগাবার মহাকর্ষের দেখা নেই আর
কতো প্রাণীদের নানা জীবনের সব খেলা ভেঙে যায়
টেকটোনিকের প্লেটগুলো সরে নিয়তির ইশারাতে
আমি একবার অষ্ট্রেলিয়ার একবার বুঝি ভাঙা বাংলার
একবার ছুটি মরুখণ্ডের খাঁখাঁ রোদ্দুরে
একবার ভেজা জংলায় ডুবি
ঘুরে বেড়াচ্ছি কাল থেকে কালে
দূর মহাকালে মহাযাত্রার মহাশঙ্কায়
টেকটোনিকের প্লেটগুলো ধীরে দূরে দূরে সরে যায়
মৃতের সৎকার কিন্তু আমার কাজ না
তোমরা বারে বারে ডাকছো গোরের নিকট
আমি শুধু নীলিমার দিকে চেয়ে থাকি অপলক
আমি তো আমৃত্যু জীবনের কারিগর
শুশ্রুষা আমাকে সাজে
সৎকারে আমার কোনো কাজ নেই
মৃতের শরীর কিংবা আত্মা
কোনোটাই আমাকে টানে না
আমাকে একান্তে আজ থাকতে দাও
তোমাদের কান্নাকাটি লাশধোয়া কবরখনন
এসবে ডেকো না আর পরাস্ত সৈনিকে
নীলিমার শূন্যতায় বিষণ্ন অসীমে
আমি হয়তো খুঁজে নেব অনন্ত জীবন
আমাকে ডেকো না আর মৃতের সৎকারে
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..