প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কবিতা কেন পড়ি
কবিতা পড়ার মধ্যদিয়ে বিভিন্ন মানুষের বা কবিদের সুগভীর ভাবনাগুলোকে জানা যায়। আমি মনে করি কবিতা কবির দর্শন, আর তাই নিঃসন্দেহে একজন কবিকেও দার্শনিক বলা যায়। শুধু তাই নয় একেকটা কবিতার পেছনে লুক্কায়িত খাকে একেকটা ইতিহাস, একেকটা নাটক এবং একেকটা গল্প। তবে ব্যক্তিভেদে এই বিষয়গুলো অনেকসময় একেকজনের কাছে একেকরকম হয়ে যায়। তাছাড়া যাঁরা কবিতা পড়েন তাঁদের সকলের অনুভবে অনুভুতি একরকম নাও হতে পারে। শ্রোতা না হলে যেমন বক্তা হওয়া যায়না, তেমন কবিতা না পড়লে কবিও হওয়া যায় না। আর একজন কবি মানেই সুস্থ পাগল। আর সুস্থ পাগল মানেই তার ভেতরে কবিতা আসক্তি, ছড়াছড়ি প্রেম। শুধু বাস্তবতা দিয়েই জীবন চলেনা, মাঝে মাঝে আবেগ এবং অলসতাও থাকতে হয়। মানুষের যেমন পেটের খোরাক থাকে, শরীরের খোরাক থাকে, তেমন মনেরও খোরাক থাকে। আর এই কবিতা হলো কবি এবং পাঠকের মনের খোরাক। কবিতা পড়ে যেমন কবির ভেতরের খবর জানা যায়, তেমন পাঠকের মনেরও খোরাক অর্জন হয়। কবিতায় শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রেম ভালোবাসা স্পর্শকাতর অনুভূতি বা টানই থাকে না। প্রেম ভালোবাসার পাশাপাশি থাকে আরো অনেককিছু। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যেমন- দুইহাজার কুড়িসালে কোভিড-১৯ কতোটা ক্ষতি করে আমাদের কাছথেকে কি কি কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে? তেমনি আম্ফান ঘুর্ণিঝড় আমাদের মাঝে কতোটা হৃদয় বিদাড়ক স্মৃতিচিহ্ন ফেলে গেছে? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে একজন মানুষ (কবি) কতটা ব্যাথিত? তার বাস্তব যন্ত্রণাকাতর অনুভূতিগুলোও হৃদ্যতার সাথে খুঁজে পাওয়া যায় কবিতার মাঝে।
যার একেকটা শব্দ মানুষকে জাগ্রত করে, বুকে স্পন্দন তৈরী করে, শিহরণ তৈরী করে; ভাবনার জগৎকে শক্তিশালী করে অল্প আবেগী ভাষায়। কবিতায় কবিদের বিশাল ত্যাগ থাকে, বাস্তবতা থাকে, সাধনা থাকে, আর পাঠকের থাকে মাদকতা। যা পড়ে পাঠক তার মনকে ভরিয়ে তোলে। এককথায় কবিকে খুঁজে পাওয়ার একমাত্র জায়গা হচ্ছে তার কবিতা।
কোনও এক সময়ে কবি মরে গেলেও তার কবিতা মরবে না। কবিতা বেঁচে থাকবে আজীবন একেরপরএক পাঠক মনে। তবে কবিতা পড়ার জন্য শুধু তৎপর হলেই চলবে না, তারজন্য চাই খানিকটা অলস সময় ও মস্তিষ্ক। আর এই অলস সময় এবং মস্তিষ্ক শুধু অলসতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, নিশ্চয়ই তার মধ্যে তৈরী হয় কবিতা পড়ার চিন্তা-ভাবনার পরিচর্যা। তবে শেষ কথার এক কথা, আজ যিনি ভালোবেসে কবিতা পড়েন, আগামীদিনে তাঁর মধ্যে একজন বিকশিত কবি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়।
কবিতা কেন লিখি
কবিতা কেন লিখি জানেন? মনে ভাবনা চিন্তার খনি থাকে। আর সে খনি থেকে একেকবার একেকরকম এলোমেলো অগোছালো কিছু চিন্তা-ভাবনা ঘুর্ণিঝড়ের মত ঘুরপাক খেতেখেতে মনকে ক্লান্ত করার চেষ্টা করে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোয় দখলদারিত্ব দিয়ে মনের ওপর চাপ তৈরী করে। কবিরা তখন নিজেই নিজের কাছে বন্দি হয়ে যায়। যত লোকের ভিঁড়েই থাকনা কেন, তারা তখন মনের ভেতর নিজের সাথে নিজেই একা একা কথা বলে, কিন্তু মুক্তি মেলে না। মনের ওপর একপ্রকার চাপ তৈরী হয়। মনের ওপর এত চাপ নেওয়ার দরকার কী? তাই মনের চাপ কমাতে প্রকৃতি থেকে কিছু সৌন্দর্য, রংধনু থেকে কিছু রঙ, অরণ্য থেকে কিছু সবুজ, পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে কিছু জল আর আকাশ থেকে কিছু নীল এনে বর্ণগুলোকে সাজিয়ে একেরপরএক তাদের আসনে বসিয়ে দিই। কেউ দেখুক বা নাই দেখুক, কেউ পড়ুক বা নাই পড়ুক; মন তো মুক্তি পায় সেই চাপ থেকে! মনের ওপর এত চাপ নেওয়ার দরকার কী? আর মনের ওজন বাড়িয়েইবা লাভ কী! তাই বর্ণের পিঠে বর্ণ বসিয়ে যদি চিন্তা থেকে পালিয়ে যাওয়া যায় কিংবা মনের চাপ থেকে মনকে এভাবে উদ্ধার করা যায় তাহলে শুধু শুধু ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়ে টাকা খরচের দরকার কী? এককথায় বুদ্ধি খাটিয়ে ঝেড়ে বাঁচা।
কানে কানে বলি,‘কবিতা মানব মন বেঁচে থাকার আশ্রয়’। আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারণ, অতীতের কিছু বেদনাঘন স্মৃতি আর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ যখন পিছু নিয়ে আমাদের তাড়া করে; আমরা তখন পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করি কবিতা লেখার মাধ্যমে। কবিরা চরম ফাঁকিবাজ। তারা মনের মাঝে বলতে চাওয়া কথাগুলো বেশিক্ষণ বয়ে বেড়াতে পারে না। কারণ তারা বোঝে মনের ওজন বেড়ে গেলে চরণ গতি বেজায় ভারি হয়।
তাই তারা কবিতা লিখে মনের ওজন ঝেড়ে ফেলে, আর শূন্য মনের ঝোলাকে আরো সমৃদ্ধ করে। কবিরা কবিতা লিখে যেমন তার জীবনকে সাময়িক মুক্তি দেয়, ঠিক তেমনি নিজস্ব আবিষ্কারে ব্যক্তিসত্তাকে সীমাহীন সুখও দেয়।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..