আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
জীবন
যেন ছোট্ট বিষের বোতল
ছিপি নয়, কষ্টটুকু চেপে রাখে হাতে…
অপরাধী
দেখেছি অহং দশমাথায় ভর করলে
ন্যায়-অন্যায় গুলিয়ে যায়
তখন আর রাবণ চেনাতে হয় না তাকে
যুদ্ধের মত কথাবার্তাও যাদের
শয়তান ডেকে আনতে সাহায্য করে।
অপয়া
অপয়া হওয়ার অপবাদ বাঁজা শালিক ও ভাঙা আয়নার
অভিশাপ মাথায় নিয়ে কেতকী ফোটে ম’ ম’ সবুজে
ইচ্ছে নেই আর
গুণ টানে ঘড়ি।সময় ও অতীত থেকে শোলমাছের শরীরের
শীতল পাঁক তুলে এনে জীবনে ফেলে।
কিছু কিছু নষ্ট সময় তো ভালোর জন্যেই …
অস্থিরতা গিলে নিয়ে স্নায়ু যখন আগুনে যাওয়া পাখির মত হাল্কা,
ভল্ল তুলে ফের খুঁচিয়ে দেব কেন তাকে?
রক্ত-পলাশে রক্ত খুঁজব না কি রঙ?
এইসব প্রতীতি নিয়ে আতান্তরে যাওয়া…
তেমন ইচ্ছে নেই আর
এই ফাগুনে
পাখি সুলভ
খেচর মন্ত্র জানা নেই
চোখে হামসা পাখি নিয়ে কেউ কেউ অপেক্ষা করে
অদৃশ্য কিছু তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে
দূর কোনো শ্যামলা পৃথিবীর
প্রাচীন শস্যখামারে, চঞ্চু ছুঁয়ে আছে মাটি সেখানকার …
কেউ বা অপেক্ষা করে আছে সময়ের ভোকাট্টার
এতগুলো নিঃস্ব বছর এই শরীর
দ্রোহ ও যন্ত্রণায় নরম ঘুড়ি হয়ে কুঁকড়ে আছে
কাঠামো বেঁকিয়ে গরঠিকানায় …
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..