প্রক্সি
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
খবর হয়েছে প্রথম কালবৈশাখী হবে আজই- ভর দুপুরে, সঙ্গে আসবে প্রবল বর্জ্য-বৃষ্টি। শোনামাত্র গজেন্দ্রনগরের মেয়র বাথরুমে ঢুকে সেই যে ছিটকানি দিলেন শত হুমকি শাসানিতেও দরজা খুলছেন না। শেষে গবাক্ষ থেকে ফোন এল কিন্তু মেয়রের সুইচড-অফ মোবাইলের কাঁচের দরজা না পেরোতে পেরে চৌকাঠ থেকেই ফিরে গেল। বিশাল কর্পোরেশন-এর চত্বর যা নিয়ত দালাল ফড়ে আর মেনিমুখো কেরাণীর ভিড়ে থিক থিক করে, খবরটা আসা ইস্তক খাঁ খাঁ করছে। চরচরে দুপুরের রোদ আরেকটু বাড়লেই সেই বিশ্রী কাণ্ডটা ঘটবে-বিষ্ঠাময় হয়ে উঠবে পুরো গজেন্দ্রনগর।
মেয়র মশাই বাথরুমের কাঁচ ভেঙ্গে গলাটা বাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করছিলেন। ড্রাইভার গাড়িটা নিয়ে কখন যে উড়ে আসবে এই দুর্ভাবনার মধ্যে দক্ষিণ আকাশের কোণে একদলা থকথকে হলদেটে গেরুয়া মেঘ জমতে শুরু করেছে দেখে মেয়রের পেট মোচর দিয়ে উঠল।পকেট থেকে লবঙ্গ বের করে কান চুলকাতে লাগলেন। তারপর বাথটবের জলে আলতা গুলে ঘুমোবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। এই গোটা গজেন্দ্রনগরকে সাফ করার কাজটা তাকেই করতে হবে। স্বচ্ছতার অভিযানে তার বিস্তর নাম ডাক হয়েছে তা বলে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত ভগবান এমন বর্জ্য-বৃষ্টিপাত করাবেন সেটা কী করে জানবেন।
এদিক সেদিক চৌদিকে এই নিয়ে নানা গুলতানি সুরু হয়েছে, তবে সবই গোপনে। যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলার পর যেমন হ্য় রাস্তাঘাট আজ তেমন ধারা শুনশান। কয়েকটা মহল্লায় মুখে আলকাতরা মাখা একদল নরনারী শুধু বিউগল বাজাচ্ছে। তাদের পাশের পাড়ায় কারা যেন পাথর ছুড়ে গেছে বদলে ঝুড়ি ঝুড়ি বাতিল নোট পেয়েছে প্রাইজ হিসেবে। বিউগল থামিয়ে এবার ওরা পিচকারীতে পেট্রল পুড়ে একে অপরে গায়ে দিচ্ছে আর টপটপ করে কান্নার ধারা গাল বেয়ে নেমে আলকাতরা মাখা মুখগুলো ধুয়ে দিচ্ছে। এদিকে উড়তে গিয়ে পেট্রোল কণারা রেণু রেণু হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে আকাশে, হাওয়ায়, অনাগত বিস্ফোরণ এর সম্ভাবনায়।
গজেন্দ্রনগরে এখন গভরমেন্টও মাটি খুঁড়ে পেট্রোল তোলে না, কারণ ওসব পুরোনো সিস্টেম উঠে গেছে কবেই। হাজার হাজার গাড়ি নামেমাত্র গাড়ি, চাকা নেই। এখনকার আনবিক শক্তিতে চলা গাড়িগুলো মোরগের মত কিছুটা উড়ে বা লাফিয়ে কিছুটা ভাসমান স্তরে যাত্রিদের ওঠায় নামায় আর যাত্রিরাও গন্তব্যে পৌছে ডানা খুলে ছোটো প্যারাট্রুপারে করে নিচের দিকে উড়ে যায়, কখনো পাশের দিকে কেননা এখন তল সম্পর্কিত আগের সব ধারণা বাতিল। আগে যেটা ওপর ছিল এখন সেটা নীচে, কারণ ধরাতলকে এখন ছাদ ধরা হয় তাই যে কেউ যেখানে খুশি যেতে পারে, অনন্তের যাত্রী সব। তাই নীচে নামার ব্যাপারগুলো বাতিল হয়ে গেছে। এটা মেক-ইন-গজেন্দ্রনগর স্কিমের একটা পার্ট। এরকম নানা কিছু আছে, যেমন মধ্যাকর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসির রিমোটের ব্যবহার বা টিভির সিগন্যাল দিয়ে খাবার গরম করা ইত্যাদি প্রভৃতি।
পুরোনো আর নতুন সিস্টেম মিলে নানা ফিউশন হচ্ছে তবে এনিয়ে কারোর কোনো কনফিউশন নেই, কারণ সবাই বুঝে গেছে ভাল আর মন্দ, আচ্ছেদিন আর বুরাদিনের মধ্যে যে সুক্ষ্ণ পার্থক্য ছিল সেসব চিরতরে মুছে দিতে গেলে এ ভিন্ন আর গতি নেই। উন্নতির এক চরম সীমায় পৌছে গেছে গজেন্দ্রনগর। তাই মেয়র রোজ ম্যারাথনের দড়ির মত উন্নতির সীমাটা আরেকটু বাড়িয়ে কাঁচাপাকা দাঁড়িতে হাত বোলায়। তখন তার পেশিবহুল হাতের দস্তানার মধ্যে নানা রঙের রিমোট খেলা করে আর সেসব থেকে পিরিং পিরিং করে বিচিত্র রঙের রশ্মি বের হয়। আজকাল তাই চাকাবিহীন গাড়িগুলোর একটাই ব্র্যান্ড নেম, জটায়ু। যা কিছু ভিন্ন ভিন্ন যেমন মত, পথ, আবহাওয়া, মুখ, নাম, সবই বাতিল হয়ে গেছে। আসলে গভর্নমেন্ট কিস্যু বাতিল করে নি। দরকারই পড়ে না তাই লোকেরা আপনিই বাতিল করে দিয়েছে। যেমন হাঁটতে হয় না বলে পায়ের পাতার দরকার নেই তাই সবাই হাঁটুমুড়ে থাকে, তাতে জায়গার সংকুলানও হয়েছে। রান্নায় গ্যাস লাগে না, চাষে ঋণও লাগে না, ডিজিটাল খাবার আপনি আপনি ফলে, আকাশের গায়ে একঝাঁক তারা হয়ে ফুটে থাকে তাই সাবসিডি লাগে না কিছুতে। কাউকে হকের সাবসিডি ছাড়তে হয় না বলে সবাই খুশি।
ইতোমধ্যে চতুর্থ, বিংশতিতম ও অষ্টআশিতম নগরের মেয়রেরা এই বর্জ্য-বৃষ্টির খবরে শঙ্কিত হয়ে ঘুমোবার চেষ্টা করছে শুনে গজেন্দ্রনগরের মেয়র বেশ নিশ্চিন্তি বোধ করলেন। মাকড়সার মত দেওয়াল বেয়ে নামতে উঠতে গিয়ে শুনতে পেলেন –‘একটা কিছু করুন।’ কারা যে বলাবলি করছে সেটা বুঝতে না পারলেও হাজার হাজার কুইন্ট্যাল বর্জ্য যদি এই স্বচ্ছ সুন্দর গজেন্দ্রনগরের গায়ে লেপ্টে যায় সেটা যে প্রতিস্পর্ধি লোকগুলোকে তাজা ফুলপকপির মত তাগড়াই করে দেবে এটা ভেবে ভীত মেয়র মশাই পায়ের তালু চুলকাতে লাগলেন। মেয়র ফুলকপি খুব অপছন্দ করেন কেননা অযথা গ্যাস বদহজম হয়। এর মধ্যে আবার একবার খবর হল। বলা ভালো এখানে কেউ কাউকে কোন খবর দেয় না। একটা কিছু কেউ ভেবে নিলে খবরগুলো পপকর্নের মত আপনি আপনি ফাটতে থাকে তারপর উড়তে থাকে ফটাস ফটাস শব্দে, তাই যার যেমন দরকার খবর পেয়ে যায়। যেমন মেয়র মশাই চেয়েছিলেন চাষবাসের খবর, সবজি ফলনের খবর। লাও এবার ঠ্যালা। পনির দিয়ে ফুলকপির রেসিপি নিয়ে ভাবতে গিয়ে পুরো গজেন্দ্রনগরের মাথায় বিষ্ঠা লেপে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখন গবাক্ষ থেকে যতই জানতে চাক এই বর্জ্য বৃষ্টি থামানো যায় কীনা, টুকুটুকে আলতা লেপা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন মেয়র। তবে ধীরে ধীরে সাহস আসছে। মুড়ে রাখা হাঁটুগুলো ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে নিজেরাই বলাবলি করছে- একটা কিছু উপায় বার করতে হবে।
মেয়রের চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ল। এখানকার নতুন নিয়মে আবেগকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন খুব ভয় পেলে টপটপ করে জল গড়াবে, ভয় বাড়লে ভেউ ভেউ করে কাঁদবে লোকজন আর খুব আবেগমথিত হলে বা ভাষণের তোড় এলে বিলাপ করবে। যদিও আনন্দের একটাই স্কিম, সেটা হল মাথায় ফেট্টি বেঁধে ভোজালি নিয়ে জুলুস। সেই জলুসে দু’ধরনের দল থাকে, একদল আগেই দীক্ষা পেয়েছে সর্পনগরের আশ্রমে আর একদল সবে দীক্ষা নিয়েছে সেই আশ্রমের থেকে দীক্ষা নেওয়া মহন্তের থেকে। দীক্ষা নেওয়ার পর সবার একটিই নাম হয়, পুরুষোত্তম। তবে জুলুসে মেয়েদের নেওয়া হয় না, কারণ তারা অল্পেতে হাসে। এছাড়া সব ব্যাপারেই হাসে মেয়েরা। তাই হাসি ব্যাপারটা বাদ গেছে পপআপ লিস্ট থেকে। খুশিও পপডাউন করে মিলছে না।
এমনিতেই মানুষ এত আচ্ছা খাসা আছে যে বাড়তি হাসি ও খুশির তেমন দরকার নেই। যদিও কা্রোর বাড়িতেই রেডিও নেই তবু একটা অদৃশ্য ব্যান্ডউইডথকে রেডিও নাম দেওয়া হয়েছে যেখানে মেয়র তার সমস্ত আবেগের ভাষণ ও মনের কথা বলতে আসেন। বন্ধু, হে বন্ধুরা, বলে বিলাপ করেন মেয়র। বিলাপ যে আবেগের নতুন পরিভাষা তা আগেই বলেছি। যেন একবালতি জল গড়িয়ে দেওয়া হয় আর সমস্ত ফ্রি ব্যান্ডে গড়িয়ে পড়ে সেই সাপ্তাহিক বিলাপ। ভরদুপুরের আগে আজ বে-দিনেই বিলাপ গড়িয়ে পড়ল। অনেকে যারা খেতে বসেছিল, অনেকে যারা দ্বিতীয় প্রহরে খেয়ে নিয়েছিল, আতঙ্কিত ছিল, খাবার হজম হলে কী হবে? যদি সব বর্জ্য গজেন্দ্রনগরে সত্যি সত্যি ঝরে পড়ে তো সবাই তাদেরই দোষ দেবে। কেউ তো দোষী হতে চায় না। কেউ কেউ, যারা সপ্তাহে একবার খায় (আসলে খেতে পায়), তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, খাওয়া হল মৃত্যুর নামান্তর। যারা পেটুক ও না খেয়ে থাকতে পারে না তাদের মোবাইল ইন্টারনেট অনেক বেশি অর্থে কিনতে হয় আর এই ডিজিটাল নগরে ইন্টারনেট হল সেই পুঁজি যা ভাঙিয়ে খেতে হয়। এখন সেইসব খাবার হজম হয়ে হয়ে কোনো একটা আকাশে জমে ছিল। হটাৎ বলা নেই কওয়া নেই বলছে ভর দুপুরে সব ঝড়ে পড়বে। যারা অনেক দামে ইন্টারনেট কিনে খাবারের জোগাড় করে তারা দিনের পর দিন এই দণ্ডে, এই ভয়ে খিদে শুকিয়ে রাখে যাতে খুব কম খাবার এতটুকুন একটা বর্জ্যের টুকরো হয়ে যায়। কেউ কারোর দোষের ভাগ নেয় না সেতো সবাই জানে।
‘বন্ধু, হে বন্ধুরা, এই বজ্রমুষ্ঠিকে আপনারা আকাশে ছুঁড়তে দেখেছেন। এই সিংহ যথা পুরুষ তাঁর বিশাল শরীরে লুকোনো সব মায়া মমতা দিয়ে আপনাদের ভাল দিনের স্বপ্নকে সাকার করেছে নিজেকে তিলে তিলে সমর্পন করে। আপনাদের নিশ্চই মনে আছে যেদিন প্রথমবার আপনাদের দুয়ারে পা রেখেছিলাম সেদিন সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেছিলাম।’
বিলাপের সুরটা কেটে কোথা থেকে রত্নাকর নামে কাকটা গেয়ে উঠল – ‘ আহা রে দামী কুর্তাটার কী হাল হয়েছিল সেদিন।’
‘বন্ধু, হে বন্ধুরা, আপনারা জানেন আমি এই রত্নাকরের কোন দোষ স্খলন করা যাবে না জেনেও মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে কেবল এই গজেন্দ্রনগর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। কারণ ওদের কাজ হল শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা, অথচ আপনারা জানেন কীভাবে উচ্ছিষ্ট না খেয়ে খেয়ে দিনের পর দিন আমাদের স্বচ্ছাভিযানকে তাচ্ছিল্য করে গেছে। আজ এই কঠিন দিনে যেখানে কিছুক্ষণ পর এই স্বচ্ছ নগরে বর্জ্যবৃষ্টি হবে বলে খবর হয়েছে তখন এমন বেয়াদপকে নিয়ে কী করা উচিত সেটা ভাবার থেকে কী করে এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবছি’
তারপর চারিদিকে মাথায় ফেট্টি বাঁধা ভোজালি হাতে পুরুষোত্তমদের জুলুস বেরলো রাস্তায়। যদিও মেয়রের বিলাপ তখনো গড়িয়ে পড়ছিল। সেই জুলুস দেখতে সবাই উড়ে উড়ে আসতে লাগল। একটা লম্বা রোমোশ লেজের ওপর যে যেমন পারলো বসলো। কেউ কেউ বাদুরের মত ঝুলতে লাগল। পুরুষোত্তমরা হাঁক পাড়ছিল, ‘উনকি নাম সত্য হ্যাঁয়,’
রত্নাকর আবার গেয়ে উঠল-‘উনি ক্যাডা? কোথায় থাকেন?’
পুরুষোত্তমরা আবার ভোজালি তুলে গর্জন করল-উনকি নাম হি সত্য হ্যাঁয়।
রত্নাকর গাইল-‘ সত্য কী- মানে কয় প্রকার?’
দলে দলে লোক যারা লেজে ঝুলছিল, রত্নাকরের গান শুনে বুক চাপরাতে চাপরাতে ঝাঁপ দিল মেয়রের বিলাপের নদীতে।
সেইমাত্র কর্কশ দুর্গন্ধের মেঘ ডাকলো।
রত্নাকরকে এই গজেন্দ্রনগরের স্বচ্ছতার জন্য তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল- এ নিশ্চয়ই ওর চক্রান্ত, এমনটা সবাই বলাবলি করছিল। রত্নাকর এবার আর গাইলো না, ফ্যাঁচ করে হাসলো। আর হাসি এক ভয়ংকর পেট গোলানো জিনিশ যাকে বলে ম্যালওয়ারের মত সংক্রামক। ফলত সব বাদুরঝোলা লোকদের পেটে মুখে হাসি আছড়ে পড়ল। সবাই ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ, শব্দ করে, হাসতে হাসতে লাগল। টুপটাপ করে মিছরির দানার মত হাসির টুকরোগুলো মেয়রের বিলাপের নদীতে পড়তেই দাউ দাউ করে আগুন লেগে গেল। এখানে একদলা আগুন ওখানে এক দলা আগুন। শেষে যে রোমোশ লেজে ওরা ঝুলছিল সেটাতেও আগুন লাগতে শুরু করল। মেয়র ভেউ ভেউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলল- ‘এটা কী লঙ্কা, যে লেজে আগুন লাগালি রত্নাকর?’
বলতে বলতে ধরার ছাদ ফুটো হয়ে গেল। টপ টপ করে লাভা পরতে লাগলো, থপ থপ করে প্রাচীন কয়লার টুকরো নেমে আসতে লাগলো। মেয়র হাঁটুর মধ্যে মুখ লুকোতে গেলো তো ফ্যাঁচ করে হাসি এল। হেসেই আবার মুখ চেপে চারিদিক দেখতে লাগলো ভয়ে, আতঙ্কে – পাছে কেউ দেখে ফেলে। কিন্তু এখানে তো খবর হয়, বয়ে চলে আপন খেয়ালে। মেয়রের হাসির খবর রটে গেল মুহূর্তে। তখন ভোজালি হাতে পুরুষোত্তমরা রে রে করে তেড়ে এল, মেয়রের বন্ধ বাথরুমের দরজায় লাথি কষাতে লাগল। এদিকে মেয়রের বুকে স্মৃতি ঝাঁপিয়ে পড়ল। অমিত শক্তিতে নিজেকে টেনে তুলবার অভিপ্রায়ে মেয়র নিজেই ছিটকানি খুলতে গেলেন কিন্তু জানলায় চোখ যেতেই চোখ ট্যারা হয়ে গেল। দেখতে পেলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ হাসছে আর লেজটা দাউ দাউ করে জ্বলছে আর পুরুষোত্তমেরা দলে দলে সেই আগুনে পুড়ে মরছে। যারা দরজায় লাথি কষাতে এসেছিল তারাও হাসির শব্দে কেমন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। রত্নাকর তার দলবল নিয়ে গান গেয়েই চলেছে। মেয়র এবার নিশ্চিন্তে হাসতে লাগলেন। ভরদুপুরে আকাশ কালো করে এল সজল মেঘে। মেয়র বলল এতো বজ্র-বৃষ্টি, খবর ছিল যে বর্জ্য-বৃষ্টি হবে। রত্নাকর বলল ওটা প্রোগামের বাগ ছিল। সারিয়ে দিয়েছি।
সবাই হাঁটু খুলে পায়ের পাতায় ভর দিয়ে নাচতে লাগল।
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
নভেম্বর চলছে। অনির সাথে আজ দেখা হবে তা জানাই ছিল। এই তো ক’দিন আগেই দেখা…..
বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..
এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..