দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
মলয়বাবু সবসময় বলেন ছেলে আর মেয়েকে উনি সমান মনে করেন, অথচ কার্যক্ষেত্রে আত্রেয়ী তার কোনও প্রমাণ পায় না। আত্রেয়ী পড়াশুনো ঠিকমত করুক এটা উনি ভাবেন, চিন্তা করেন,কিন্ত নিজের পায়ে কিভাবে দাঁড়াবে সেটা নিয়ে সেভাবে ভাবেন না ,যেটা ছেলে অর্ঘ্যর ব্যাপারে ভাবেন। আত্রেয়ী দেখেছে মলয়বাবু অর্ঘ্যকে বলেন, “বুঝেছিস, জয়েন্ট এনট্রাস পরীক্ষাটা ভালো করে দিস। ফ্যামিলিতে একজন ডাক্তার হওয়া খুব ভাল । ” অথবা বলেন, “আমি তোকে ছোটোর থেকেই দেখেছি তোর হাবভাব কথাবার্তা মানুষের সাথে মেশা,,,,সবটাই এমন,,,ডাক্তারি পড়লে সাইন করে যাবি।” আর আত্রেয়ী সম্পর্কে বলেন, “মেয়েদের উচিত নিজেকে এমন ভাবে প্রস্তুত রাখা যাতে প্রয়োজনে সংসারের হাল ধরতে পারে। তা না হলে ঘর সংসার দেখাই ভালো।”
প্রতিবাদ করে না আত্রেয়ী। মাকেও দেখেছে ঘর সংসারই করে। শুধু মনে মনে ভাবে ছেলে আর মেয়ে সমান একথাটা তাহলে ঠিক না। বাবার এই ধরণের কথাবার্তার কারণেই হোক বা নিজের প্রবণতার কারণেই হোক আত্রেয়ীর মনের মধ্যে তৈরি হল একটা সুন্দর স্বপ্নের জীবন। সেখানে কোনও একজন পুরুষের প্রিয়তমা সে। প্রেমময় সংসারের মাধুকরী সে।
মলয়বাবু দেখে শুনে নিজের মনমত পাত্রের সাথে আত্রেয়ীর বিয়ে দিতে পারলেন না। আত্রেয়ী একজন কে ভালোবাসলো। তখন ও স্বপ্নের জগতে, তাই যাকে নির্বাচন করল সে ওকে সত্যিই কতটা ভালোবাসে, সংসারের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কতটা পাশে থাকবে ওর কিছুই বুঝতে পারলো না।
বিয়ে হয়ে গেল। মা বাবা ঘর সংসার ছেড়ে যেতে আত্রেয়ীর তেমন কোনও কষ্ট হল না। কারণ বাবার হাবভাবে সবসময় প্রকাশ পেত আত্রেয়ীর বিয়ে দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত হতে চান। দায় ভার মুক্ত।
কষ্ট হল ভাই অর্ঘ্য কে ছেড়ে যেতে। মধ্যবিত্তের মানিয়ে নেওয়া সংসারে অর্ঘ্যর আর ও ভাগ করে নিতো লোডশেডিং এর হ্যারিকেন, রবিবারের মায়ের হাতের জলখাবার, পড়তে বসে গল্পকথা,,,, মায়ের তৈরি টেস্টি খাবার সহ অনেককিছুই ।
বিয়ের পরেই আত্রেয়ী বুঝলো কত বড় ভুল আত্রেয়ী করে ফেলেছে। ওর বর সৌগতর জুতো ব্রাশ করে রাখেন ওর শ্বশুর মশাই। সৌগত এবং সৌগতর বাবা দুজনেই ওর শাশুড়ির কথায় চলে পুরোটাই। এবং তিনি অত্যন্ত সংকীর্ণমনা এক ডিকটেটরসিপ চালনাকারী।
অবসাদের অন্ধকারে ডুবে গেল আত্রেয়ী। একদিন বাপের বাড়িতে এসে বাবাকে বলল,আমি ডিভোর্স করতে চাই। বাবা একটা হুঙ্কার দিলেন। “চোপ “একবারও জানতে চাইলেন না, কোন যন্ত্রণা থেকে আত্রেয়ী এটা বলছে।
একটা ব্ল্যাঙ্ক জীবন। না শেষ করে দেওয়ার মানে হয় না। বরং শূন্য বলেই সাজাতে সুবিধে। একটা নিজের জগত। নিজস্ব রোজগার । নিজের ক্ষেত্র। সেখানে শ্বশুরবাড়ি নেই। সেখানে বাপের বাড়িও নেই। চাকরির পরীক্ষার প্রিপারেশন সরকারী চাকরি তো অনেক দূরের ব্যাপার ,,,,, আজ না বাঁচলে কাল বাঁচবে কি করে?,,,,, স্কুলে পার্ট টাইম টিচারের কাজ পেয়ে গেল।
ছোট ছোট বাচ্চাদের ভালোবাসার বর্ষা এসে ভরিয়ে দিয়ে ভিজিয়ে দিয়ে গেল ওর প্রতিদিনের জীবন। আজকের বাঁচাটা তো হল। এবার আজকের পথ বেয়ে কালকের বাঁচা। সরকারী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।
অর্ঘ্য চাকরি পেল। ডাক্তারি না। ভালো একটা কোম্পানীতে,,,নিশ্চিন্ত হলেন মলয় বাবু। কয়েক মাস পরে অর্ঘ্য চাকরি ছেড়ে দিতে চাইল। ভালো লাগছে না। দমবন্ধ হয়ে আসে ঐ চাকরিটার পরিবেশে। আরো পড়বে। নতুন চাকরি দেখবে।
হতভম্ব মলয়বাবু। এত টাকা মাইনের চাকরি ছেড়ে দেবে? অর্ঘ্য স্থিতকল্প।
আত্রেয়ী একটা কথাই পরে কথার ছলে একদিন বাবাকে শুনিয়েছিল,,,ছেলেরা যদি চাকরিতে মানিয়ে গুছিয়ে করতে না পারে দোষ হয় না।কিন্ত মেয়ে যদি বিয়ের চারমাস পরে বোঝে ডিভোর্স করে নিলেই ভালো হয়, তাহলে দোষ হয়।
সেদিনও তর্কে মলয় বাবুই জিতেছিলেন। কারণ আত্রেয়ীর বিয়েটা মলয়বাবু দেন নি। আত্রেয়ীর নিজের পছন্দ ছিলো।
শুধু আত্রেয়ীর অগণিত ছাত্র ছাত্রীরা আত্রেয়ীর প্রতিদিনের জীবনে এঁকে দিতো সন্তুষ্টির প্রলেপ। ভালোবাসার স্পর্শ ।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..