প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
আমি মালাউন, আমাকে হত্যা করুন
আমি যবন, আমাকে হত্যা করুন
আমি ইহুদি, আমাকে হত্যা করুন
আমি বৌদ্ধ, আমাকে হত্যা করুন
আমি হিন্দু, আমাকে হত্যা করুন
আমি শিয়া, আমাকে হত্যা করুন
হত্যা করতে করতে একসময় বারুদও কাঁদে, ছোরাও ক্লান্ত হয়! অতএব আমাকে হত্যা করুন।
তবুও বিশ্বাস করুন, আমি মানুষ
তবুও বিশ্বাস করুন, আমি পাহাড়ি
তবুও বিশ্বাস করুন, আমি ফিলিস্তিনি
তবুও বিশ্বাস করুন, আমি কাশ্মীরী
তবুও বিশ্বাস করুন, আমি ইয়েমনী
তবুও বিশ্বাস করুন, আমি নিপীড়িত এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ অ্যামেরিকা
বিশ্বাস করতে করতেই মেঘ ডাকে ময়ুর হয়ে উঠে মানুষ।
আমার মানচিত্র বাংলাদেশ না
আমার মানচিত্র ফিলিস্তিন না
আমার মানচিত্র আরাকান না
আমার মানচিত্র বালুচিস্তান না
আমার মানচিত্র কুর্দিস্তান না
মানচিত্র মুলত ভেজা দেশলাইয়ে তেলাপিয়া মাছের ক্ষুদ্র যৌনতা।
আমার মানচিত্র হল বিশ্বাস, রুটি, দরকারি কথা, শিশুর মুখের মাতৃস্তন, গোলপাতা, মহাশ্বেতা, চক্রব্যূহ।
আমার বিশ্বাস হল অন্ধকার, পাপ, কবি কারাগার, টিপু সুলতানের চিতানো বুক, শাদা চুলের একুশ শতক।
দেখো দেখো আজ ডাকাত বসে সংসদে দেশে দেশে,
দেখো দেখো আজ চোর বসে বক্তৃতায়, পাঠশালায়
আজকাল কবিতাও সুন্দরী হয়ে উঠলে তাকে কচলাতে চলে আসে বুদ্ধিজীবী
আজকাল স্নান করে পুলে, পুকুর তো মরে গেছে
আজকাল মন খারাপ হলে খেতে যায় মানুষ
আজকাল রাত জেগে বাবা মা’র লাশের সাথে কে আর কথা বলে!
আমি যেহেতু সংবাদপত্রে মন্ত্রীর কাছে আবেদন করি না,
সবশেষে আমাকে রাষ্ট্রহীন, বস্ত্রহীন, আলোহীন করেও যখন তুমি ভয় পাও তখনই আমি জিতে যাই
কেননা একবার পাখির বাসা থেকে পাখিকে তাড়িয়ে দিলে পাখি তার মা হারিয়ে ফেলে।
ঘৃণাও এক কুকুর
যাকে অপছন্দ করে ঠিক ঠিক লেজ না নেড়ে তেড়ে আসে!
সে ভারতীয় হলেও আসে
সে বাংলাদেশী হলেও আসে
সে পাকিস্তানি হলেও আসে
যার কাছে এই কুকুর নেই, তার জন্মদাত্রী মরলেও সে কাঁদবে
একজন পাকিস্তানি মরলেও সে কাঁদবে, হোক বেলুচি
একজন ভারতীয় মরলেও সে কাঁদবে,হোক শিখ
ও
একজন বাঙালি মরলেও সে কাঁদবে,হোক মুসলমান।
ঘৃনাও এক কুকুর
যাকে অপছন্দ করে ঠিক ঠিক লেজ না নেড়ে তেড়ে আসে!
লবণে মরা মাছি পরে আছে
আর কুকুর পাহাড়া দিচ্ছে ট্যাংক!
বিড়ালের শরীরের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে না পারার দুঃখে বিড়ালটি হয়ে গেলো সাদা ভাত
চেটে নিচ্ছে গরম ডালের ভাঁপ আর শুকনো মরিচের আদর্শ।
চলুন আমরা ব্রিজে উঠে উঠে ইস্কার টেক্কা বাজিতে রাখি।
যুদ্ধ বন্ধ করুন,
নয়তো সেক্স!
শীতের অন্ধপাখি, বাসা ভেঙে রোদ আনে
তামাক পাতার গন্ধে
গাছ থেকে হেঁটে আসে এক্সিট রোড
গিলে খায় গ্লাস ভর্তি জীবন
শীতের অন্ধপাখি
আমি অন্ধ হতে হতে বেঁচে গেছি
বেঁচে থেকে ভুলে গেছি
আমারো উপাসনা করতে হয়, খেতে হয় গিলে
ব্যবধান মাপতে আমিও বের করি ফর্দ
তাতে লেখা থাকে পিথাগোরাসের অঙ্কের মতো বেঁধে ফেলো সংরক্ষিত এন্ট্রি।
রেডি করে রেখেছি শীতপাখিদের বায়োডাটা।
জেনারেল সাহেব,
আসুন আসুন,
‘গাছের পাতা ছিড়া আর পরস্ত্রী ব্রা ছিড়া একই কথা’ আমার স্ত্রীর ডায়রিতে পেলাম।
যুদ্ধে কি আর চন্দন কাঠের মাহাত্ম্য প্রচার করেছেন?
জামালখানের ঠোঁটে বসে আছে এক একটা বড়শী ঘুম, যুদ্ধ ফেরত আমার স্ত্রী অন্তর্বাস ধুঁতে দেয়নি। অন্তর্বাসে নাকি থাকে জীবিত মানুষের উপনিষদের বিষন্নতা!
শুনুন!
পরস্ত্রী যতক্ষন নতুন ততক্ষনই চুনকাম
যখনই জরাগ্রস্ত তখনই ছিন্নমূল মানুষ!
যাক আপনি আসুন!
আমার স্ত্রীর অর্ধেক ভেজা শাড়ী রোদে শুকাবে!
রাতের পর সকাল আসতেই হবে এমন কোনো নিয়ম নেই
তবুও আমরা ধরে নিয়েছি এটা সকাল!
আমাদের সকালগুলো লাল হরিণের ছানা, তারা বাবার নাম জানেনা,
তাদের শব্দেরচ্ছটার নাম ভয়!
ভয় মূলতো লাল পোড়া টায়ার
পুড়ালে রাত নামে, বিষ খেয়ে ফেলে ব্লাউজ, আর মদ গিলে চলে যায় কুমারী মেঘের মা!
মা, এক আশ্চর্য হজমের নাম
সুতো হয়ে গেঁথে থাকে বুক টু মস্তিষ্ক!
তাকে টুপি খুলে প্রণাম করুন মুসাফির!
[ কবিতাটা কবি Mayesha Tasnim Islam কে উৎসর্গ করা হলো]
ভাতঘুমের বয়স আড়াইআনা দশপয়সা, যৌনতা কিনে নিচ্ছে মেষের লোম, আর আমি ঢুকে যাচ্ছি শামুকের ভিতর,
তোমার বুকের মাপ নিতে ভুলে গেছি বলে আমাকে যুদ্ধে প্রশিক্ষন নিতে দেয়নি।
বুকে রেখে হাত মেপে নিই বিজ্ঞান। তোমার পাশে শুলে আমি জেনে যাই জেনোসাইডের অর্থ।
আমার বোন আছে, ছোটবেলা,
আমার ভাই আছে, দুপুর
আমার মা আছে, সন্ধ্যা
আমার বাবা আছে গভীর রাত
আমি গভীর রাতে যে নারীর কাছে যাই তিনি আমার কি হবেন?
ছোটবেলা আমারে ডাকে
দুপুর কাঁদে
সন্ধ্যাবেলায় ভাত খাওয়া নিষেধ!
আমি তাই বসে বসে ভাবি আমি কি হতে চেয়েছিলাম
আমাকে মানুষ বুকমার্ক দেয়
মানুষ আমারে ‘ভুল’ বলে ডাকে
আমাকে বিশ্বাস করুন বলতে বলতে হরিণ কেঁটে খেয়ে ফেলি
আমাকে বিশ্বাস করুন বলতে বলতে বাবাকে খেয়েছি
মাকে খেয়েছি
আমাকে বিশ্বাস করুন বলতে বলতে হস্তমৈথুনে নিজেকে খেয়ে ফেলেছি
আমাকে বিশ্বাস করুন বলতে বলতে খেয়ে ফেলেছি শীতকালীন বুকের ওড়নার আত্মজীবনী, শান্ত পাখির মাংস ও বান্ধবীকে
আমাকে বিশ্বাস করুন বলতে বলতে খেয়ে ফেলেছি অসহায়ার সাহস
আমাকে বিশ্বাস করুন বলতে বলতে খাওয়া হয়ে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা, ইস্তাম্বুল, বাগদাদ!
বিশ্বাস করুন,
বিশ্বাস করুন
বিশ্বাস করুন
বিশ্বাসে লবণ মাপমতো যারা দিয়েছিলো তাদেরকেই খেয়ে ফেলেছি
বিশ্বাস করুন।
অথচো,
কেউ যদি বলে আমার খুব ব্যথা, আমি ব্যথা পেয়েছি
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে…
তখনই আমি পালিয়ে যাই
সব খেতে পারি আমি তবুও কারো ব্যথা খেতে পারিনা বিশ্বাস করুন
জেনারেল সাহেব
চোখে কাজল দিয়ে যুদ্ধকে শশী মনে হয় না, যুদ্ধে তুমুল আগুন ও কাজল পাশাপাশি থাকে না।
ছোবল কাটলে ময়ূর ও সাপ,ময়ূরকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে হেরে যেতে যেতে।
রিংটোন বাজছে, ঘুমুতে পারেনা ভেনেজুয়েলা,
ঘুমুতে পারে না পরস্ত্রী
পরস্ত্রীর বুকে কালি মেখে ফালি ফালি করে কেটে দিচ্ছেন বাগানের কানকো
লজ্জা নেই যুদ্ধের
লজ্জা নেই রাষ্ট্রের
লজ্জা নেই প্রেমের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যাওয়া চুপ করে থাকার
ফিরে যেতে যেতে দেখি পরস্ত্রী হয়ে যাচ্ছে পাখি
সব বয়সী পাখির প্রেম হয়
আর যুদ্ধগুলো পাখিদের বিরুদ্ধে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..