আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
জোকার
নৈঃশব্দ আর কুয়াসার ভিতর জোকারটা শেষ খেলা শুরু করেছে।
এ যাবৎ তাকে যত পাউড়ার আর স্নো সঙ্গ দিয়েছে
তাদের হিক্কা গুলো জমিয়ে রাখা কৌটোয় অঙ্কুরিত ধূসর বেলুন।
তার ভেতর ছেড়ে যাওয়া প্রেমিকার গূঢ় আত্মকথাগুলোর জন্মদিন আজ।
অস্থায়ী ভূমিকার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া আপেল
বর্ণনা কিংবা অর্ন্তবাস ছেড়ে রাখার পর
গোপন সন্ধির বর্ণময় কামুক লিপির তমন্না আজ ভাসিয়ে দেবে চাতকের ঠোঁটে।
বায়ুসাঁতারে পটু মেয়েরটার খসে যাওয়া ডানা দিয়ে বানানো পুতুলের নাচঘরে একমাত্র আমন্ত্রিত
জোকার নাগর।
বিবর্ন কৌটোর ভেতর জেগে ওঠো অবদমিত গুগুপ্সা কাঠির ছোঁয়ায়
জেগে ওঠো পুতুল রসিকা।
তোমার ওড়না থেকে যে মৌমাছি জন্ম নেয়
তার ডানা মৃত নক্ষত্রের বাসরগীতি হয়ে ওঠে।
ফুলে ফুলে রচনা করে ডোমেদের, জোকারের,
দেহবালিকাদের জীবনকথন।
জিজ্ঞেস করা হোক
বিকৃতিকারদের ডেকে জিজ্ঞেস করা হোক
কৈবত্য ডাকিনীর ধর্ম মুখোস এর মূল উপাদান কী।
সরহকে ডেকে জিজ্ঞেস করা হোক
ক্ষনবিপ্লবী বাউলানির দেশ কি বরিশাল।
দ্বাদশ স্তুপে জেগে থাকা ব্জ্রগর্ভি ঘাস
কি অভিশাপ প্রাপ্ত দ্বাদশ অপ্সরা।
লেলিন কে জিজ্ঞেস করা হোক।
বরাহ কে ডেকে জিজ্ঞেস করা হোক।
অবলোকিতেশ্বর কে জিজ্ঞেস করা হোক
দেবদত্তের অবৈপ্লবীক ধনুক থেকে ধার্মিক নক্ষত্রের
সার দিয়ে বানানো তুলাইপঞ্জি ধান
কতটা মহতী গন্ধ ধারণ করেন।
বিকৃতিকার এই আমাদের উলঙ্গ দেহ।
বেড়ে ওঠা লাউমাচা যে শ্রমের সুতিকাগার।
তার বিভাজনে কি বিকৃতির জয় নদী মেনে নেবে।
এই নিন আমাদের কর্ষণধর্মের সব অশ্বের গোপননামা।
কোন পূর্ণচ্ছেদ নেই বলে অমৃত দোহনের বাঁক থেকে
জেগে ওঠা সন্ধ্যাকর মোষের পিঠে চেপে
নগর ভ্রমনে যাবেন।
আমরা তার ভিজে ভাতে লবনসরণী।
জনান্তিকা
জটিল কবিতা আর স্বাস্থ্যমুখর গাভীর নাভিময় কবিতার ভাঁজমন্ডলের জমে থাকা মৃত্তিকা
কে বেশী আদরণীয়।
জনান্তিকা বলতে পারেন।
উর্মিময় অক্ষরমঞ্জরী আর পাহাড়ী শরীর থেকে
পতনঋদ্ধ বর্ণমালা কাকে তুমি সিনান সহচরী বানাবে যদুভট্টের গৃহিনী জানলেও জানতে পারেন।
আমি পাহারাদার মাত্র
কোন টোকায় কতখানি উলুক ঝুলুক মোহ আর কোন ঠকঠকানিতে কতখানি বিগত প্রণয় জানতে গিয়ে সহস্ররজনী নাম মাত্র প্রেমিকার অনুচেতক সেজেছি।
তবু জানতে পারিনি অনালোকিত কলম থেকে কীভাবে জন্ম হয় এক অক্ষৌহিনী জোনাকির।
শরীর কে পাত্র ভাবিলে রাজতরঙ্গিনীর না খোলা অধ্যায় থেকে নেমে আসবে জলপক্ষীর অধরা পয়গম।
এই যে সহস্র গমনদ্বার।
কোন দ্বারে তোমার নিদ্রা আলোকিত পানসিতে ভেসে যাচ্ছে সুপারীবান্ধবী
কে বলে দেবে।
জনান্তিকা আপনি জানেন।
নামহীন কিছু কবিতা
চাকরীদাতা বললেন
মানবসভ্যতার খারাপ দিক নিয়ে
বেড়ালদের সভায় দু’চার কথা বলতে হবে ।
এখন তাদের পেটের ভেতর একটা অ্যাকোরিয়াম কল্পনা করি,
উপযুক্ত সাঁতার শিখিয়ে চর্বিযুক্ত মানুষ সেখানে ছেড়ে দেওয়ার
একটা কার্যক্রম নেওয়া যেতে পারে ।
আমার পদোন্নতি হয়েছিল কিনা জানিনা ,
তবে ঘর-জামাই হিসাবে তার বাড়িতে বাকি জীবন
মৎস্য পরিচর্যার ভার দেওয়া হল ।
আমি এখন মাছের ভাষায় কথা বলতে
পুচ্ছ পাখনার অভিযোজন তরাণ্বিত করি ।
২
তিনটে ‘আমি’কে পর-পর দেওয়ালে সেঁটে দেওয়া হল ।
অনেক কষ্টে একটা বোকা ছুতোর জুটেছিল ,
যে বানিয়ে দেবে নিখুঁত তিনটে একই রকম ফ্রেম ।
তার দৃষ্টি এত প্রখর যে প্রথম আমি’র উঁচু দাঁতটা
সেই যে র্যাঁদা দিয়ে ঘষতে শুরু করল
তারপর জুয়েলারী ফাইল ও শিরীষ পেপার …
এখন ও তিনি ঘষেই চলেছেন ।
এই সুযোগে দ্বিতীয় আমি ছুতোরের মেয়েটাকে নিয়ে ভেগে গেল ।
আর তৃতীয় আমি আদি পুস্তকের পাতায়
ঈশ্বর পুত্রের বিবরণ পুণঃনির্মাণ করবে বলে
অবিনশ্বর কালি আর কাগজের কোলাহলে অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
৩
ধর্মপাদ যদি এক উদ্ভিদের নাম হয়।
পিতাকে বলেছিলাম পঞ্চম
শতাব্দীর চাষীবালা
আমার ঘরনী ও হইতে পারে।
তার সুডৌল গোড়ালী আর এক ঢাল কালো কেশের বিনুনীতে গুঁজে রাখে সেই বীজ ধর্ম।
আমার বিবাহ বাসরে কোন ভাষায় মেঘকে
আমন্ত্রণ জানাবো।
প্রতিদিন আমাদের কনকাঞ্জলীর দিন।
অর্জুন বৃক্ষের ছায়ায় বসত করা দম্পতিকে ডাকা হোক,
রাজহংসীর সহবত শেখানো শিক্ষককে ডাকা হোক,
আমাদের যুগল সাধনায় মাঙ্গলিক কুলোর হেতু আখ্যান অপ্রথাগত সিদ্ধ কিনা কে বলে দেবে।
৪
রামমোহন জানেন
পরকীয়া জাত কবিতায় কতটা রক্তক্ষরণ হয়।
রামনিধি গুপ্ত কি তোমার বান্ধব।
আজ বৃষ্টিতে ভিজে গেছে উঠোন।
কাস্তে চাঁদের আলোয় কে আর চালতা গাছের
কান্না সংরক্ষন করে।
আমাদের নিহত কল্পনারা তার ডালে ডালে
লাজুক কিশোরীর মত দোল খায়।
স্বপ্ন সংরক্ষন না করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..