প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
শুকনো হাসিতে দাঁড়ানো কাঠের দরজা
শাহবাগ মিউজিয়াম নিজের ভেতর ডাকে
আমাদের পরিণতবয়স ক্ষীণ সাস্থ্যে দেখায়-
বসন্ত বিছানো পথে ঝরাপাতাগুলো হামাগুড়ি দেয়
কারোর পায়ে পেরেক বাধা হাঁটাচলা
কারোর সাস্থ্যবান পা পৃথিবীর দিকে,অথচ যুদ্ধ যুদ্ধ লাগে।
তোমাকে দেখি জ্যামিতিক নকশায় মোড়ানো
কমলা চাপা রোদ কাঠের বোতামে
নিত্যপুরাণ গল্প সব।হ্যাঙারে ঝুলছে
সামুদ্রিক নীল সুতো বোনা নিবিড় স্বপ্ন-
তুমি ঋতু সিঁড়ি ধরে নেমে আসছ
মাঝবয়েসী দেয়াল সরিয়ে
ভুবনচিল চোখ নরম কাতরে তাকায়-
এক মেরুন বিকেল
সাস্থ্যবান গাছে কোলবালিশের ছায়া।
কারা যেন লিখে গেছে
কোলগোছানো প্রেম-অনন্তকাল;অনন্তকালে
সাতটি নক্ষত্র জ্বলছিল,
তুমি গুনতে গুনতে রাত পোহালে
তারপর হাতের পাশে খুঁজে পেয়েছ ঘাসফুল সকাল,
শস্য ডালখেত ইচ্ছেখুশির আলপথ
আরো কাছে এলে-তরী ফেরা প্লাটুনঘাট,
শহুরে-নদীজলে,পাঁজরে পাঁজরে অতঃপর।
আমরা নির্মম ঘোরের ভেতর হেঁটে যাচ্ছি।
আমাদের পরিবার,প্রতিবেশী থেকে
গণকাতার গাছগাছালি,ঊর্ধ্বমুখী দালানছাদ,
সুগন্ধি সিলছাপ্পর রঙ
সকল সভ্যতা মুছে
ষড়ভুজ পরিণতির দিকে…
রক্তরাঙা মৃত্যুটিপের মতো
নাগরিক পাঠদান করছে মহাকাল;
এমন সংশয়ে কেউ না কেউ
আমরা নিরাপদমুখো ছুটছি।
আমরা থামছি প্রায় কঠিনে-
এভাবে প্রেতনদীর বুকে গোটা রক্ত,বিক্ষিপ্ত দেহ
ঢুকে যাচ্ছে অতল যুদ্ধ গহীনে,ঋজুরেখা চর সমুদ্র-
কেবল আমরা নীরব দৃষ্টির মাছচোখে তাকাই
নবান্ন মাঠ আমাকে ধানপাকা গন্ধ শোকায়
আমি জমা রাখি উর্বর সংজ্ঞা সব,অনেক পরিচিত;
পাড়াগাঁ মেয়ে হাজার ফোঁড়নে কাঁথা বোনে।সংসার শিল্পঃ
চৈত্র দিনে উষ্ণ বিধবা বাতাস ছুটে আসে
যমজ আনন্দ দেখি উপোস উঠানে
এভাবে পরিচয়-
অরণ্যবীজ রুয়ে দেয় পবিত্র শরীর
ভেতরে দুধ ফলায়,ভেতরে আমাদের রক্ত ফলায়।
তোমার ঠোঁট থেকে হাসি ছিনিয়ে চিবুতে থাকি।
তারপর!আমার ঠোঁট হতে এলাচি গন্ধ
দুরস্তরে ঘ্রাণ ছড়ায়-নানা দিক
শিল্পনগরী রমরমা যাত্রার সফলতা নিবিড় উদাহরণ,
গমগম ভিড়ের গায়ে মুক্তিপাগল উর্বর মাঠ,
অচেনা অন্ধকারে জ্যোৎস্নার পাতালি চাঁদ-
অমর মঞ্জিলে নীরব সুনসান দীর্ঘ রাতে
বঙোপ সাগর সাঁতরিয়ে পুঞ্জদিল শিল্প ছড়ায়
ভালো লাগা আগুনে মেহগুচ্ছ প্রগাঢ় শরীরমুখোয়;
রূপালি কাবিনে নগদ প্রেম তোমার গোলাপি ঠোঁটে
তোমার মায়াবী তরল চাহনি তীব্র প্রশ্ন ঝরায়-
উন্মাতাল হৃদয় গ্রেফতার করে স্বপ্নকাল
ভুলভাল বৃক্ষপাতার নাচ,এভাবে আরো তোমাকে;
হাঁটছি পথের সঙে-গৃহবধূর উঠান ধরে
পেছনে সরে যাচ্ছে অনাগত পথ,
খুঁটছি ফাল্গুন-বাতাসের গোপন গল্প ভাড়া দিতে দিতে
পুরান ঢাকার তিন গলি মাথায় কিনেছি বসন্ত-বৈশাখ;
একদিন এই পথ বাঁকে,নিশকালো কুচকুচ কাকডুব
নগরীর মদ পানে-কোকিল ধ্বনি ফুটতে ফুটতে
দোয়েলচত্বরে কেটে যায় একটি বৃহস্পতিবার-
সন্ধ্যার আলোটুকু গিলে খায় নিরঞ্জন দুপুরের বর্ষা
জ্যোৎস্নার পুকুরে মেঘ খেলে-রাজহংসী নাচ!
একা ঘুমাতে পারি না,আম্মুর কাছে দৌড়ে যাই
অমবস্যার গাঢ় অন্ধকার নিস্তব্ধ কবরের পাশে
মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে ডুমুর গাছ
ভাঁটফুল গন্ধ ছড়ায়,বাঁশপাতা ফোস ফোস করে
মাতালের মতো লাফ দেয় একচোট জীবিত শব্দ
চোখ জ্বল জ্বল,দূরে ঘাড় ফেরানো আবছায়া অন্তর;
নিস্তব্ধ মিশ্রণে ক্ষয়ে যায় নমিত ভয়ে শরীর-ঘাম
চুপিসার গাঢ় হরিতালে দীর্ঘ হরফে গাঁথি
ফজরের আযান,পাখিরডাক,শোরগোল জীবিত সকাল
শরীর কাঁপানো ঝিঝি আলো খুলে পড়ে…
আমার একটা ভাবনা ছিল কারোর আঙ্গিনায় গাছ হই।
রোদ ভাঙা সন্ধেয় সাহেবলোকের স্ত্রী হাঁটা বারান্দায়-
প্রতিদিন চোখ বুলিয়ে সলজ্জ হাসে মন থেকে
তাঁর জন্য লম্বা জীবন,যুদ্ধ বিধ্বস্ত যুগের মত রাশভারে-
ধাঁধাঁ লাগানো মহাকালের গান-বয়কট করে বিছিন্ন;
ফ্ল্যাটমুখি উঠানে বাচ্চাদের জটলা পাকানো কৌতুকী পা
অস্থির উদাহরণ ভাঙে-একজনের ভেতর আরেকজন
ঢুকে পড়ে রক্ত সংবরণ ব্যাপারটা,নারকেল পাতার চশমাও।
জলভেজা মোমের আত্মদেমাগ অনুবাদ করতে করতে
আমি নীলডাউনের ছাত্র হয়ে পড়েছি-
পূর্ণদৈর্ঘ্য শহরের কাটছাঁট শরীর,হাড়গোড় গড়ানো
ব্যস্ত নগরীর শাহবাগ পাঠ,ঠোঁট ভেজানো ডাবের জল-
আলোছায়া নগরী পেরুনো শহিদ মিনারের ক্লান্তজেদ
তেত্রিশবার অনুবাদে ছিঁড়েছি,গেঁথেছি,তারপর দাঁড় করেছি
মাংস বাঁধানো পথচারীর গন্তব্য;কেবল নাগরিক বিশ্লেষণ!
হাঁটছি পথের সঙে-গৃহবধূর উঠান ধরে
পেছনে সরে যাচ্ছে অনাগত পথ,
খুঁটছি ফাল্গুন-বাতাসের গোপন গল্প ভাড়া দিতে দিতে
পুরান ঢাকার তিন গলি মাথায় কিনেছি বসন্ত-বৈশাখ;
একদিন এই পথ বাঁকে,নিশকালো কুচকুচ কাকডুব
নগরীর মদ পানে-কোকিল ধ্বনি ফুটতে ফুটতে
দোয়েলচত্বরে কেটে যায় একটি বৃহস্পতিবার-
সন্ধ্যার আলোটুকু গিলে খায় নিরঞ্জন দুপুরের বর্ষা
জ্যোৎস্নার পুকুরে মেঘ খেলে-রাজহংসী নাচ!
সরে যাচ্ছে শহরের উঠোন ভরা প্রার্থনা
অতল বৃক্ষদের কানে কানে গোপন ধ্বনি
ক্লান্ত ঘামের বসন্ত আছড়ে পড়ছে রিকশার প্যাডেলে-
ব্যস্ত বাসিন্দারা ভাঁজখোলা সিঁড়ির আড়াইতলা দালানে
চৌঘরি পুরাতন অন্ধকার শোয়ানো-কুয়াশা ভাঙা রোদ
বেগানা মাকড়সার বিপ্লুত পথ খুঁজতে খুঁজতে
টিয়ে ডাঙরের মতো অসংখ্য উড়ন্ত পাখির স্বপ্ন আঁকছে।
চোখে আমরি উত্থানের গল্প,পেটে খিদের কারখানা
কেবল রক্ত আর মাংস পোড়া দিনমান কবিতা হরতাল দিনে
এই আমাদের মৃত্যুপুরী,নুনঝাল-সংসার-প্রিয়তমা।
প্রথমে মানুষ পাঠ করি। তারপর অসমাপ্ত বুননে
মুদ্রিত সকল অনুবাদে ঢুকে পড়ি সজ্জন আবাদে
লেকের পাড়ে এই রাম শহর,নিরোদ দালানবাড়ির নিচে
আলোর গন্ধ,কালোর ভেতরে এলাহীকাণ্ড!
জ্যোৎস্নার সন্ধ্যাক্যাফে অমাবস্যা রাত,
বাতাসে রাতজাগা পাখির জারিগান
মৃতরা শোনে,মৃতরা হারায়-
সেপটিপিনে গেঁথে ওঠো আরও অনাবিল ধ্যান-
আঙুলের কণ্ঠস্বরে নেমে যাক
মাতাল বিষের দাউদাউ চাহনি,প্রণয় শিল্প;
উপহার খোঁজো অক্ষয় গহীনে
ধ্বনিত শব্দ ফাঁক করে ঢুকে পড় সমুদ্র ফেনায়-
হিরণবনের সবুজ টিশার্ট,ছড়িয়ে দাও ফুলের সরোবর।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..