ইমন কল্যাণ
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
আমাদের মাঠের ধারে একটা খাল ছিল। সারা বছর মাটির সঙ্গে বুক লাগিয়ে হাঠত। এই বর্ষা এলেই ফুঁস-ফঁসিয়ে উঠত। ভয়ে বুকটা তখন কাঁপত। মনে হতো এতোদিন দানবটা মুখোশ পড়ে ছিল। সুযোগ পেয়েই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
পাহাড়ি জলের স্রোত শন শন করে বয়ে যেত। বৃষ্টি যত প্রবল হতো উন্মাদনাটাও হতো দেখার মাতো। তখন স্কুলে যাওয়ার চোরা পথটা ঘুরে যেত। সিএন্ডবি’র চকচকে রাস্তা ধরে দপদপিয়ে হেঁটে যেতাম বর্ষার কয়েকটা দিন। তবে বৃষ্টিটা একটু ধরে এলে আরেক মজা। খালের খোপে খোপে জমে থাকা পানিতে কী এক ছোট্ট প্রাণী বিদ্যুতের গতিতে ছুটে বেড়ায়। আমরা ডাকতাম পোনা মাছ। এই মাছ এসেছে ওই দূর পাহাড়ের কোন রাজ্য থেকে। এই মাছ বোতলে ভরে রাখলে দুদিন পরে ইয়া ইয়া সাইজের রুই-কাৎলা হবে। সাইজ দেখাতে দুহাত মেলে উঠত পাখির মতো।
চিত্র: রিয়া দাস
আমরা পলিথিনে ভরে নিয়ে আসতাম পোনা মাছগুলো। মা তখন এ-রাম এ-রাম বলে ছুটে আসত। ‘ফেল্ ফেল্,’ আঙুল উড়িয়ে উড়িয়ে মা বলত,‘এগুলারে কে বলছে মাছ। এগুলা ব্যাঙের বাচ্চা, ব্যাঙাচি। দুদিন পর বড়ো হলেই প্যাঁক প্যাঁক করে উঠবে।’ এটা যে মা’র চালাকি আমরা বুঝতাম। পরে পোনা মাছ আনলে দেখাতাম না। লুকিয়ে রাখতাম বৈয়ামে। একসময় ভুলে-টুলে গেলে মা আস্তে করে বৈয়ামের পানি ফেলে দিত কোথাও।
একদিন মা বলল: বেশ, ধরেই নিলাম ওগুলা তোদের পোনা মাছ। পোনা মাছও তো জীব। তারাও তো প্রাণ আছে। আচ্ছা তোদেরকে যদি ওই পোনা মাছের রাজ্যে ছেড়ে দেয়া হয় তোরা কি বাঁচবি-
শান্ত তখন মাথা নাড়িয়ে বলে: না, আন্টি বাঁচব না। তাই তো আমি পোনা মাছ ধরি না। ওসব ধরা তো পাপ। আমিও পোনা মাছের মতো মারা পড়ব।
আসলেও আমাদের শান্ত পোনা মাছ ধরে না। তার মতো লক্ষ্মী ছেলে এ পাড়ায় আর একটাও নেই। ক্লাসে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। একমনে স্যারের কথা শুনে। বিকেলে ধবধবে সাদা শার্ট-প্যান্ট পরে সুবোধ বালকের মতো মাঠে আসে। একমনে খেলা দেখে। মাঝে মাঝে আমাদের সঙ্গে গোল্লাছুট খেলে। সন্ধ্যায় সুর করে বাংলা পড়ে। শান্তটা আসলেই শান্ত। একেবারে বিপরীত চরিত্রের দুটো মানুষ হওয়ার পরও আমাদের দুজনের কেন জানি বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
তবে এর পুরো কৃতিত্বই তার। ক্লাসে স্যার এসে প্রথমেই শান্তকে দাঁড় করিয়ে জিগগেস করেন, বলত কে কে দুষ্টামি করেছে। হাজার দুষ্টামি করলেও সে আমার নামটা বলত না। বাসায় এলোও একই কাণ্ড। বাবা যখনই আমার ব্যাপারে জানতে চাইত কক্ষণ সে কোন খারাপ কিছু বলত না। এই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই আমি তাকে কাছে টেনে নেই। সেও তাতে সায় দেয়।
ওর সবচেয়ে ভালো দিক, ও কখনো আমাকে কোন ব্যাপারে বাধা দেয় না। হয়ত ওর সম্মতি নেই, নিজে করে না- চুপ থাকে, কিন্তু বাধ সাধে না। এজন্য শান্ত আমার এতো প্রিয়।
যাই হোক, আসল গল্পে আসি। এভাবেই বর্ষা আসত পোনা মাছের উৎসব নিয়ে। রেল কলোনির স্যাঁতস্যাঁতে জীবনে একটা আনন্দের হলকা নিয়ে। বর্ষার দিনে ক্লাস শেষ হয়ে যেত একটু আগে আগে। তারপর বড়ো ভাইয়ারা মিলে ‘ডিয়ার বল’ নিয়ে নেমে পড়ত মাঠে। জল-কাদায় একাকার হয়ে যেত সারা স্কুল। কখনো কখনো এর ওর গায়ে গিয়ে পড়ত বল। এই তো সেদিন শান্তর গায়ে গিয়ে পড়ল বলটা। সাদা শার্ট ভরে গেলো কাদায়। ঘরে এসে মা’র বকুনি। মা বলেছে স্কুল ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বাসায় ফিরতে। আমরা কিন্তু ফিরি না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখি।
সেদিন হঠাৎ করে ফিফথ পিরিয়ড থেকে বৃষ্টি। বড়ো ভাইয়ার হেডস্যারকে বলে ছুটি নিয়ে নিল। তারপর কী খেলা। নাইন এ জিতল তিন দুই গোলে। সন্ধ্যার আগে আগে বৃষ্টি ধরে আসে। আমরা হৈ হৈ করে বাড়ি ফিরি। দেখি সিএন্ডবি’র পুলের গোড়ায় মানুষের ভিড়। আমরা উৎসুক হয়ে দাঁড়াই। ভূবনডাঙ্গা স্কুলের একটা ছেলে নাকি ভেসে আসছিল এদিকে। কোন এক রিক্সাওলা তাকে এই মাত্র উদ্ধার করে নিয়ে গেছে হাসপাতালে।
রাত ন’টায় মড়ার গাড়ি এলো। জানাজা হলো পরের দিন। চার ফুট আন্দাজ সরু একটা ছেলে। গায়ের রং কাঁচা হলুদের মতো টকটকে। সাদা কাফনে প্রতি বিকেলে খেলা দেখতে আসা ফুল বাবুটাকেই যেন দেখছিলাম।
তারপর থেকে আমাদের বিকেলগুলো আসে এক বুক কান্না নিয়ে। রাক্ষুসী খালের পাশে দাঁড়িয়ে পোনা মাছগুলোকে দেখি। আর ভাবি হয়ত আমাদের পাপের বোঝা নিয়েই পোনা মাছদের সাথে মিশে গেলো আমার বন্ধুটি। শান্ত পুরোপুরিই শান্ত হয়ে গেলি!
বাবাকে কখনো প্যান্ট পরতে দেখিনি। বাবা একবারই প্যান্ট পরেছিলেন, সেবার আমি ট্যালেন্টপুলে জুনিয়র স্কলারশিপ পাই। স্কুল থেকে বলা হলো অনুষ্ঠান হবে। গার্জিয়ান আসতে। আমার বন্ধু সাকিবের বাবা থানা যুব কর্মকর্তা। কী সুন্দর স্যুট-সাফারি পরে টানটান করে হাঁটেন। উনাকে দেখলে আমার খুব ভালো লাগে। উনিও আসবেন অনুষ্ঠানে। সেখানে আমার বাবা আধময়লা কোঁচকানো একটা লুঙ্গি পরে কাঁচুমাচু হয়ে বসে থাকবেন- আমি কল্পনাও করতে পারছিলাম না। তাই দুই বেলা হাঙ্গার স্ট্রাইক। বাবা বশ মানলেন। নারায়ণ কাকার প্যান্টের মাজায় সুতলি ঢুকিয়ে দিব্যি চলে এলেন। সেদিন আমার যে কি আনন্দ হয়েছিল!
বাবা সবসময় রিপোর্ট কার্ডে ভাঙাচোরা অক্ষরে কোনো রকমে ‘হাশেম’ শব্দটা লিখতেন। হা উৎ হলে, শে চিৎ, ম কাঁৎ। আমার বাবা একজন প্রান্তিক কৃষক। তারপরও তিনি স্বাক্ষর করেন। এটাই আমার পরম গর্বের বিষয় ছিল।
এভাবে টুকটাক অনেকগুলো অনুভূতি আছে আমার বাবাকে ঘিরে। তবে এসব শেয়ার করার জন্য আজ লিখছি না। আজ লিখছি আমার সন্তানকে নিয়ে। সে আধ-খ্যাঁড়া একটা ইংরেজি স্কুলে পড়ে। মাসে দু’হাজার টাকা বেতন। কারেন্ট চলে গেলে জেনারেটরে এ.সি. চলে। প্রতিমাসে এ-ও পার্টি লেগে থাকে। অফিসে যাওয়ার সময় ওর মা একটা লিস্ট ধরিয়ে দেয়। ফোম স্প্রে, স্ট্রবেরি আইসক্রিম, ফ্রাইড চিকেন। মানুষকে ভোগাই। ঘুষ খাই। আইসক্রিম-চিকেন কিনি। তারপরও ছেলের মুখে হাসি নাই। তারও সাকিব নামে একটা বন্ধু আছে। বাবা শিল্পপতি। এইট পাস। ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। ভদ্রলোকের নাকি মাসে মাসে গাড়ি কেনার বাতিক। প্রতিমাসে আমার ছেলে তাই একবেলা হাঙ্গার স্ট্রাইক করে।
আজ হঠাৎ করে বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। শীত এলে মামা বাড়ি থেকে হাঁড়ি ভর্তি পিঠা পাঠানো হতো। সেসময় বাবা থাকতেন ভাঁটি এলাকায়। ওখানে আমাদের কিছু এজমালি সম্পত্তি আছে। আমরা দুই ভাই ছিলাম মহা পেটুক। এক বসায় কয়েক হাঁড়ি পিঠা খেয়ে ফেলা আমাদের জন্য কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু খুব কষ্টে জিহ্বার লালা আটকে রাখতাম। গালের দু’পাশ ব্যাথা করত। বাবা যখন ফিরতেন হাঁড়ি ভর্তি পিঠা দেখে তার যে একটা আনন্দ হত! সে আনন্দটা আমার সেই পিঠা খাওয়ার আনন্দকে ছাপিয়ে যেত। আমার ছেলেটাও হয়েছে পেটুকের ব্যাটা পেটুক। একটা ফ্যামিলি সাইজ পিৎজা এক বসায় খেয়ে ফেলে। আশেপাশের কাউকে গ্রাহ্য করে না।
– একলা খেয়ে ফেললি; আমাকে দিলি না।
ছেলের ভাবলেশহীন উত্তর, ব্রিং এনাদার ওয়ান।
‘এনাদার’ না আরো অনেক ‘আদার’ আনতে পারি। আমার সেই সামর্থ্য আছে। কিন্তু যে জিনিসটা চাইলাম আমার সন্তানের কাছে, তা পেলাম না।
রোজী বলল, কী?
– ভালোবাসা।
(গ্রামীণফোনের চাকরিচ্যুত কর্মীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে)
অনেকদিন পর পত্রিকায় তার ছবি দেখে বুকের ভেতরটা হিম হয়ে গেলো। যে অফিসে সে এতো দিন কাজ করেছে, আজ সেই অফিসের বারান্দায় বসে আছে ভিখারির মতো। চাকরি ফিরে পাবার আশায়। মায়ায় বুকটা ভেসে গেলো। মনে পড়ল আমাদের সেই ওড়াওড়ির দিনগুলো। হাওয়ায় উড়ছি, কল্পনায় উড়ছি, ভালো লাগায় উড়ছি।
বায়ুচারী একঝাঁক পাখির ভিড়ে ও ছিল একটু অন্যরকম। মৃদূভাষী, সদালাপী। সারাক্ষণ একটা না একটা কাজে ব্যস্ত থাকত। আমাদের ক্যালকুলেটার মোবাইল কিংবা ডেক্সটপ তার হাতের স্পর্শে পুনর্পুনর্বার জীবন লাভ করত। তার পক্ষে অসাধ্য বলে যেন কিছুই ছিল নেই। ফেলে দেয়া ক্যালকুলেটরের কি প্যাড দিয়ে দিব্যি ঠিক করে ফেলত টিভির রিমোট। পুড়ে যাওয়া মাদার বোর্ড একবসাতেই ঠিক হয়ে যেত কয়েকটা ঝালাইয়ে। তার এসব কুদরতী দেখে আমরা তার নাম দেই আইনস্টাইন।
আইনস্টাইন ছিল মাইক্রোবায়োলজির ছাত্র। ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়া ছিল তার রুটিন ওয়ার্ক। বিদেশী সায়েন্স পত্রিকা পড়ে সে অদ্ভূত অদ্ভূত সব পরিকল্পনা কষত। আমার মতো খাঁটি মাণবিকের ছাত্র পরমবিস্ময়ে সেসব কথা শুনত। পরে নিজের অজ্ঞানতা ঢাকতে একটা তাচ্ছিল্যের ভাব করে এড়িয়ে যেতাম। একদিন সে এক তাড়া কাগজ দেখিয়ে ঘোষণা দিল বাংলাদেশের প্রথম রকেটটা ওই বানাবে। আমরা তার ঘোষণাকে ভবিতব্য হিসেবেই ধরে নেই।
ওদের ডিপার্টমেন্টে জট ছিল না। ফলে আমরা যখন সেকেন্ড ইয়ারে তখন তারা ফাইনাল দেবে। এরমধ্যে দেখলাম আইনস্টাইনের হাবভাবে কেমন একটা পরিবর্তন এসেছে। ওর রকেটের গতিপথ পাল্টে গেছে। ভার্সিটির মাস্টারি করে ক’টাকা আর বেতন। সারাজীবন খালি নাই নাই এক ধ্বনি। তার চেয়ে বরং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ঢুকি। লম্বা বেতন, সোশাল স্ট্যাটাস, আরো কতো কি।
তখন ফোন কোম্পানির যুগ। আইনস্টাইনের মতো স্মার্ট মেধাবী ছেলেরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ফোন কোম্পানির অফিসগুলোতে। পাস করার পরপরই একটা ফোন কোম্পানিতে খুচরা বিক্রি ব্যবস্থাপকের (!) চাকরি হয়ে যায় তার। আমি হিসাবটা মেলাতে পারি না। এতো মেধাবী একটা ছেলে এ কি করছে এখন! তারপরও তার পরিতৃপ্ত মুখখানি দেখে ভালো লাগে। বরং গোপনে গোপনে ঢোক গিলি আর বলি, বেহেস্তের টিকেট তো পেয়ে গেলি বন্ধু।
আমরা সেই তিমিরেই পড়ে রই। অবিরাম সাঁতার কাটি আর হাবি খাই। নুন-পানতার যোগান দিতে গিয়ে তামাম জগত থেকে যেন ছিটকে পড়ি। কিংবা নিজে থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নেই। স্বচ্ছল বন্ধুদের সঙ্গে তাল মেলবার সামর্থ্য আমার কই? দামী রেস্টুরেন্ট, ফোর হুইলার গাড়ি, সাদা চামড়ার বউ… কোনটাই আমার ক্ষমতার ভেতরে নেই। অতএব দূর থেকে ঈর্ষাতুর চোখে ওদের সাফল্য দেখি। পথে দেখা হলে হাই হ্যালো হয় এই যা।
গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে গেলে ভালো হতো। কিন্তু কালকের পত্রিকা সব এলোমেলো করে দিল। চাকরি বাঁচাতে একদল মোবাইল ফোন কর্মী তাদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করছে। এদের ভেতরে দেখলাম উঁকি মারছে আমাদের আইনস্টাইনের মুখ।
কিছুক্ষণ চুপ হয়ে ভাবলাম। বিদেশী কোম্পানিগুলো এদেশের মানুষের সঙ্গে কত্ত বড়ো প্রতারণা করছে! এই প্রতারণার কাছে যুবক ডেস্টিনি নস্যি। দেশের সবচেয়ে স্মার্ট মেধাবী ছেলেগুলোকে লম্বা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের মূল উৎপাদনশীল খাতগুলো থেকে এরা দূরে সরিয়ে রাখছে। আবার যখন এই ছেলেগুলোর নতুন কোন পেশায় প্রবেশের কোন সুযোগ থাকছে না, তখনই তাদের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের নাম করে ছাটাই করে ফেলা হচ্ছে। চাকরিজীবনে এরা এমন কোন কাজ শিখে বের হচ্ছে না যে পরবর্তী জীবনে কিছু করে খেতে পারবে। এতে করে পুরো একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আবার কি অদ্ভূত ব্যাপার দেখুন, এই প্রতারণার বিহিত করার মতো কোন আইনও নেই আমাদের কাছে। শ্রম আইন অনুযায়ী দু মাসের বেতন আর গ্রাচ্যুইটি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে দিলে যে কোন কাউকে যে কোন সময় ছাটাই করা যায়। কিন্তু এতে কয়টা টাকা পাবে একেকজন। এদিয়ে তার সামনে পড়ে থাকা দীর্ঘ জীবন সে কি করে কাটাবে?
আফসোসে মনটা ভরে যায়। আমাদের যে আইনস্টাইনের রকেট বানানোর কথা সে এখন নিজেই ভোকাট্টা!
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
পরিচ্ছেদ ৫ আকাশে এখন আর মেঘ নেই। হাওয়া হচ্ছে।কদিন পরেই বর্ষা নামবে।একদিন হাসপাতাল থেকে ফিরতে…..
পরিচ্ছেদ ৪ ভোর হয়ে আসছে।রাতে ভালো ঘুম হয়নি।ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে।এরকম…..
বাংলার চিত্তাকর্ষক ইতিহাস সম্পর্কে জানার সময়, গৌরের মতো আর কিছু গন্তব্য হতে পারে না।…..