রজকিনী রামি
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
এক
মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে, তার জুড়ি মেলা ভার ছিল।দুই করকমলে তার স্নেহের পরশ রোগীকে অচিরেই সুস্থ করে তুলত।মায়ের মত যত্ন করে সে সেবা করত রোগীদের।আর রোগীদের মনে পড়ত মায়ের লাল পলা, ছাপা আঁচল আর করবী বেণীর কথা।
দুই
কলকাতার এক ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছেলের সঙ্গে তার বিয়ের একটা কথা চলছিল।
শিউলি, তাকে বলেছিল যে, সে মেডিকেল কলেজের পড়াটা শেষ করে বিয়ে করবে।
শিউলির বাবা বলে দিয়েছেন পাশ করে চাকরিটা পেলেই তোর বিয়েটা দিয়ে দেব।
শিউলি চাকরি পেলো। দিনরাত এক করে বিভিন্ন ঘৃণার পাহাড় পেরিয়ে সে মানুষের সেবা করে যাচ্ছিল,আর শিরদাঁড়াটা শক্ত করছিল।অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা ভয় পেলো ।
তিন
রাত গভীর হল। হায়নাগুলোর মাঝেই সে সেবাব্রতে নিয়োজিত থাকত।এই শয়তানের দল কিন্তু একদম মানুষের মত দেখতে।সরল,সহজ মেয়েটা বুঝতে পারে নি একথা,সে ভাবত,মানুষ তো, আর যা হোক অমানবিক হবে না নিশ্চয়।
শিউলি টানা কয়েক ঘন্টা কাজ করার পর বিশ্রাম নিতে নিজের ঘরে বিছানায় শুয়ে পড়ল।কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ শিউলি তাকিয়ে দেখল,একজন মহিলা হাসতে হাসতে তার হাত,পা বেঁধে দিল আর মুখ চেপে ধরল আর একজন। কয়েকজন দাঁড়িয়ে, এক পা মাটিতে ঠেকিয়ে,এক পা তার খাটে তুলে তাকে আঘাত করছে। বন্যদৃষ্টির ফাঁদ পেতেছে লোলুপতা।শিউলি চিৎকার করলেও নির্জন ঘরে তার স্বর শোনা গেলো না।
চার
শিউলির বমি পেলো।তার বমির সঙ্গে বেরিয়ে এলো বিপ্লবের চাপ চাপ রক্ত,শিক্ষার আলো আর জাগ্রত বিবেকের অশ্রু।অত্যাচারীরা ভয় পেল অভয়ার শিরদাঁড়ার জোর দেখে।তারা আরও নিষ্ঠুর হল।
পরেরদিন সকাল হলে দেখা গেল গতরাতের ঝরা শিউলি পড়ে আছে মেঝেতে, লাশ হয়ে।
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..
ভার্সিটির বাস ধরতে হয় আমাকে খুব সকালে। বাড়ি থেকে একটু হেঁটেই রিকসা। তারপর বাস। হাঁটা…..