শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
মধ্যাহ্নের কিছুটা বিষণ্ণ রং এনে
দিতে চেয়েছি তোমার হাতে
যেন বুঝতে পারো খাঁ খাঁ রোদ্দুর
আমাকে কতটা পোড়ায়!
তুমি তখন মেঘের আড়ালে
অদৃশ্য এক মুঠো রোদ হয়ে
পাহাড় ডিঙ্গোতে ব্যস্ত।
আমি তোমার হাতের স্পর্শ না পেয়ে
মেঘের ডানা আঁকড়ে ধরবো বলে
শূন্যে দিয়েছি লাফ; ভাসছি নিরবধি।
এর পর তুমি পাহাড় ডিঙ্গিয়ে
চলে গেলে অন্য এক আকাশে
মধ্যাহ্নের বিষণ্ণ রং আর খাঁ খাঁ রোদ্দুর
নিরন্তর আমাকেই পোড়ায় ।।
জেনেছি সেদিন কথাচ্ছলে;
অঞ্জলি পেতে চাঁদের কিরণ যতটুকু
রেখেছিলে ঝিনুকে ভরে-
নিঝুম সাগরের বেলা জোয়ারের জল এসে
তাকে নিয়ে গেছে আপন গহ্বরে।
উদাস দুপুরের মত তোমার চঞ্চলা মন
অমরার সুধা চেয়েছিল যুগল স্নানে
বলোনি সে কথা, জেনেছি আমি-
চেয়েছ যৌথ স্বপ্ন বাড়ী; রয়ে গেছে অপুরণ।
হেমন্তের শূন্য মাঠ, কৃষ্ণরাতের ঝড়ো হাওয়া,
ডাকাতিয়া মেঘ, তোমার অনুপস্থিতির বাগান-
সবই তো পেয়েছি আমি;
জীবন স্রোতের তৃষ্ণা আমার
শুধু নেই আমাদের যৌথ স্বপ্ন বাড়ী।
কখনো নক্ষত্রের দূরত্ব
কখনো ভেসে আসা মেঘের মতো ছুঁই ছুঁই
কখনো বা চোখের সীমানা পেরিয়ে
কেন চলে যাও আলোক বর্ষ দূরে!
কোনো এক হৈমন্তিক বিকেলে
ভোরের জোছনা ছিনিয়ে আনবে বলে
যে যুবক উত্তাল সমুদ্রের মতো
হেসেছিল নিঃসংশয়ে-
জ্বলে উঠেছিল নক্ষত্রের দীপ্তিতে;
সে কি আর নাইবে না জলে
ফেলে আসা উদ্বেলিত প্রেমের বন্যায়!
যদি বলো, কি হবে জ্বালিয়ে রেখে
নিভু নিভু প্রদীপের শিখা
জীবন যেখানে গিয়েছে হারিয়ে
সময়ের গহ্বরে!
তবে কি সে বেছে নেবে
ঝিনুক-শঙ্খমালা ফেলে
সৈকতের চোরাবালি!
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..