টিপু সুলতানের কবিতা

টিপু সুলতান
কবিতা
টিপু সুলতানের কবিতা

আকাল কাব্য

লোকালয় ভাঙ্গা চিৎকার শোনা যায়
ছটপট আগুনেঃগাছফুল পোড়ে
নারীর শাড়ির আঁচল পোড়ে
কালো মেঘে আড়াল করে পৃতূল কান্না;

চৈত্র দুপুরে তৃষ্ণার্ত কাকের ডাক,
অশুথের তলে পুকুরের হাঁটুকাঁদা জল
ঢেঁকি ঢেউ খেলেঃহাঁসেরা অবাধ সাঁতরায়-
মাছেদের সংসার ভাঙ্গে।
ষড়ঋতু যেন তার উড়ন্ত ঈগল,
বুনো শালিকের কিচিরমিচির গ্রাম্যসন্ধ্যা
বৃক্ষের বট মূর্ছনা শোনায়-
এখন শহুরেও সুমতির আকাল,ব্যঙ্গনীতি!

 

জ্যোৎস্নার পায়াভারী শব্দ

অনেক খবর ছিল,অধ্যুষিত গোপনীয়তাঃ
রাত্রির তলপেটে লুকিয়ে যায় ধূলো-পথ
দূরের ছায়াটানা দ্বীপের মতন টিমটিম গ্রাম্যল্যাম্প;
সেদিন একা ছিলাম।হাঁটতে হাঁটতে
হেমন্তের কুয়াশায় জ্যোৎস্নার পায়াভারী শব্দ,
বাতাসের ছলাৎছলাৎ ঢেউ,
ঘোর রাত্রিতে ঘিরে ধরে
এ্যাভিনিউ ভাবনার একাকীত্ব ছায়ানট।

গান গাইতে থাকি।শিশিরধৌত ধান গাছ-
মহাশূন্যে তাকিয়ে বেজোড় সুর শোনে।
বাঁদুড় ডানা ঝাপটায়-ইলিশা আকাশে।
ঝিঝি রাত্রির অবারিত মাঠ,শেয়ালের চোখে জ্বলে
– দীপজ্যোতি;ওদিকে ধীরেধীরে রাত পোহায়।

 

চুন রাঙা দেয়াল

চুন রাঙা দেয়াল;দেয়ালের নির্ঘুমে তাকানো চোখ
রোদ-বৃষ্টি সরব ঋতুর সলিলে
বেদানা বিচির মতন আশ্রয় নেয়
একজোড়া তরুণ তরুণী;
গভীর রাত পোহানো শেষে
সুখ দুঃখ প্রেরণা জ্বলে ওঠে-প্রগাঢ় প্রণয়,
হরফে ঠাসা নীরব পোস্টার,
দিস্তা দিস্তা শাদা খাতায় আঁকানো ধ্রুব প্রেম-

কেবল সেখানে লেখা থাকে
শব্দের মঞ্জুরি ভরা প্রত্যেকটা প্রচার;
হৃদয়বরণ করা দালানের
ঝুল বারান্দা থেকে উঠান,সংসার।

 

জমাটবাঁধা স্নায়ুর হাড়

পৃথিবী একদিন ত্যাজ্যপুত্র বলে জানান দেবে
প্রিয়তমা ভুলে যাবে আঙ্গুলের ইতিকথা;
পিতৃগৃহ মাটিচাপায় ভুলে যাবে দ্রুত;
স্তব্ধ হবে বিচরণঃ

তারপর!বাঁকবদলের ইতিহাস;
কবিতার ভ্রুণঃবৃক্ষ এবং পাখিদের লোকালয়
বেবাক বাতাসের গর্জনে তাজা হবে
জমাটবাঁধা স্নায়ুর হাড়ে,
ভোরের বক্রমে যৌবনের খেলাঘর,
শৈল্পিক ঠিকানা;
সুউচ্চ রুপসী বাংলার সিঁড়িপাথে-
আবার এসে দাঁড়াবে
অমৃত প্রেম জাগানো অভিমানী সন্তান!

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ফ্রেম

ফ্রেম

দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..

সীমানার শর্ত

বিজ‌য়ের সব মুহূ‌র্তেই… তার অ‌ধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রা‌তিগ ব‌লের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় স‌ঙ্গানুসঙ্গের;…..