প্রক্সি
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
একেকটা পাঞ্চ ক্লিপ বিক্রি হইতেছে পাঁচ টাকা দিয়া, এগুলা কিনা ফেলা যায়।এই দুপুরবেলা গাউছিয়ার মোড়ে দাঁড়ায়া থাইকা তো কোনো লাভ হইতেছেনা। গতকাল আরেকটু আগায়া এই জনসমুদ্রে স্ট্যাচুর মত দাঁড়ায়ে ছিলো পিয়া। এক বিশালদেহী মহিলার ধাক্কা ছাড়া সে আর কিছু খায় নাই। এক জায়গায় দাঁড়ায়া ছিলো দেখে মনে হয় ব্যাটারা সন্দেহ করছে। দুইটা ব্যাটাছেলে আবার তারে ঘুইরা ঘুইরা দেখতেছিলো, টাচ করার সাহস পায় নাই। মুরুব্বীরা ঠিকই বলে… সাইধা দিলে দাম আধা। জলসরার মাঝখানে চিনির বৈয়ম রাখলেও পিপড়া সেইখানে সাঁতরায়া চইলা যায়। অথচ পিরিচে ঢাইলা দিলে টাচই করে না। এক সপ্তাহ ধইরা পিয়া নীলক্ষেত আর গাউছিয়া মার্কেটের ভিড়ে আইসা দাঁড়ায়, পায়চারি করে। লোকজন যাতে সন্দেহ না করে এইজন্য সে একেকদিন একেক গেটআপ নেয়। গতকাল জিন্স আর টপস পরছিলো, সাথে বারগেন্ডি উইগ। লোকজন হা কইরা তাকায়ে পথ থেইকা সইরা গেল। কালো সানগ্লাস দেইখা মনে হয় সেলিব্রিটি ভাবছে। যেই সব ছেলেরা ভিড়ে আইসা মেয়েদের গায়ে হাত দেয়, আসলেই চালাক আর স্মার্ট। সম্ভবত তারা অনেকক্ষণ ধইরা টার্গেটরে ফলো করে। এইজন্য পিয়া আজকে মাথায় তেল দিয়া এক বেণি কইরা আসছে। আর চেহারায় বোকা বোকা ভাব আনার জন্য একটা চশমা পরছে আর বুকের সামনে ধইরা রাখছে একটা প্লাস্টিক ফাইল। বেশী লোকজন যেদিকে যাইতেছে তার বিপরীত দিকে হাঁটতে থাকলে কেমন হয়? সিঁথিরে জিজ্ঞেস করলেও হয়, সে তো সাইকোলোজির ছাত্রী।
ক্রাউড সাইকোলোজি বইলা একটা টার্ম অবশ্যই আছে।
এই সময় কি সিঁথিরে ফোন দেওয়া ঠিক হবে? বেচারীর বিয়া হইছে সাত দিনও হয় নাই। হাছান ভাই তো তারে বেক্কল ভাবতে পারে। না দরকার নাই তাইলে। এই ভিড়ের মইধ্যে দাঁড়ায়া সুযোগসন্ধানী পুরুষ খুঁজতে গেলে হিতে বিপরীতও হইতে পারে… এইটা সিঁথির বক্তব্য ছিলো। পিয়া যে এইখানে আছে সেইটা তারে জানাইলে হাউকাউ শুরু হয়া যাইতে পারে।হাউকাউ আর কান্দাকাটিতে সে বিশেষ ওস্তাদ। পিয়ার বিয়ার দিন মাহবুবের হাত ধোয়াইতে গিয়া বিশাল সিনক্রিয়েট করছে সে। মাহবুব নাকি তার হাতে চাপ দিয়া বলছিলো… তোমারে আগে দেখলে তো ঐ চোরকোডাটারে বিয়া করতাম না। তোমার বইন এতো লম্বা ক্যা? মেয়েলোক হইবো খাটা লাড্ডুমের মতো, সারাদিন স্বামীর সামনে ঘুরবো। ঘুরতে ঘুরতে শরীরের কাপড় খুইলা যাইবো (ব্রাকেটে চোখ টিপ)।
নতুন জামাইয়ের মুখে এই কথা শুইনা সিঁথির মাথায় রক্ত উইঠা গেল। সে দৌড়ায়া আইসা বলে…
কী বাল বিয়া করতাছো, পরে বুঝবা। এই বেটারে বিয়া করলে আমি তোমার মুখও দেখুম না। এতো খুঁইজা এই হোলাবান্দর আনছে আমার খালু?
তখন পাশেই দাড়ায়া ছিলো মাহবুবের বইন রেখা, পারলে ঐখানেই দুই বেয়াইনের মারামারি লাগে আরকি। পরে অবশ্য মাহবুবের সাথে তার বিয়া টিকে নাই, মাহবুবের বদলে অন্য কেউ থাকলেও টিকতোনা মনে হয়।
রবিউল তাকায়া আছে দোকান থিকা।এই আপারে সে খুব ভালো কইরা চিনে। একদেড় মাস আগে সে গায়ে হলুদের জন্য চল্লিশ পিছের মতো ব্লকের শাড়ির অর্ডার দিছিলো, আবার দুই সপ্তাহ আগে আইসা নিয়া গেছে।দুই তিন ধইরা সে তার দোকান বরাবর রাস্তায় খাম্বার মত দাঁড়ায়, কোনো দিকেই তাকায় না। অন্য মেয়ে হইলে এতোবার চোখ যাইতো না, কিন্তু এই আপা স্বাভাবিক মাইয়াদের চাইতে বেশীই লম্বা। গাউছিয়ায় হাজারটা দোকান, লক্ষ লক্ষ লোক আসে যায়।কিন্তু, রবিউলের চোখ খুব সরস। তিন বছর বয়সে যেই লোকটা তারে ইনজেকশন দিছিলো তার চেহারাও তার স্পষ্ট মনে আছে।
ৱএই দোকানে কাজ পাওনের আগে সে মেয়েগো ছবি পকেটে নিয়া দাঁড়াইতো মহাখালী ফ্লাইওভারের ধারে। সেই খানে এক পোলা আইতো বেশভূষা বদলায়া— একদিন দাড়ি, অন্যদিন চুল ইস্পাইক, আরেকদিন পাঞ্জাবী কেড্স পইরা। রবিউল তারে ঠিকই চিনতে পারতো। সে যে চিনতে পারতো সেইটা বুঝানোর জন্য বলতো…
দাদা, এগুলা সব আপনের কাছে পুরান, বিশটাকা বখশিশ দ্যান নতুন দুইটা দেখাই।
সেই হারামজাদা এমন কইরা রবিউলের দিকে তাকাইতো… মনে হইতো সে বিরাট পাগল।শ্যাষে গিয়া সে বিচার দিলো ম্যানেজার বাদশা ভাইয়ের কাছে। রবিউলের নামে বিচার দিয়া লাভ হইবো? রবিউল হইলো হোটেলে সবথেকা বেশী কাস্টমার তুলনেওয়ালা। দশ ফুট দূর থেকা দেখলে সে বুঝে কে কয় ঘন্টার লিগা রুম বুকিং চায়।
অর্ডারী মালের খাতাটা খুইলা এই আপার নাম– ঠিকানা – ফোন নম্বরটা দেইখা রাখা দরকার। যেই গরম পড়ছে, মাথা আউট হইছে কিনা কে জানে।ভিড়ের মইধ্যেখানে একটা জুয়ান মাইয়া চোখ বন্ধ কইরা খিইচ্চা দাড়ায়া আছে… এইটা কোনো কথা হইলো? এমনও হইতে পারে সে বেশ কিছু টাকাপয়সা বা দরকারী জিনিস হারাইছে এই জায়গাতে। রবিউলের খুব ইচ্ছা করতেছে, কাছে গিয়া কিছু জিগাইতে। কিন্তু দোকান থুয়া বাইরে গেলেও বিপদ, ঈদের মরসুম।
খাতায় নাম লেখা আছে ‘সিঁথি‘, দুইটা মোবাইল নাম্বার। রবিউল তাকায়া আছে, একবার সে ভিড় ঠেইলা সামনের দিকে, আরেকবার পিছনের দিকে যাইতেছে। মেয়েমানুষ আজব জাত, এরা কখন কী— কীয়ের লেগা করে বুঝা কঠিন।
রবিউল যখন বাদশা মিয়ার হোটেলের নীচে দাঁড়াইতো, তখন একদিন আজমেরী আপা বুরকা পইরা আসলো। ইশারায় ডাইকা নাম জানার পর কইলো…
‘শোন্, বাদশার লগে আমার কথা হইছে। তুই এই কালা রুমাল নিয়া এইখানে দাঁড়া। এক বেটা আইসা তোর সামনে মোবাইলে কথা কইতে কইতে ‘উন্নিশ‘ কইবো। তখন তুই তার হাতে এই রুমাল দিয়া আমার রুম নম্বর কবি। রুম নম্বর –৩০২।‘
শুইনা রবিউলের গলা শুকায়া গেলো। কয় কি! চিনা নাই জানা নাই প্রথম দিনই তুইতোকারী। আবার কিছু কওয়া ঠিক হইবো কিনা কে জানে… দামী গাড়ি লগে, চোখ বরাবর নাকের গোড়া বিন্ধাইন্যা। গ্রামদ্যাশে উমাইল্যা মুরগীর নাকে এমন কইরা পাখনা ঢুকাইন্যা দেখা যায়।
যাউগ্যা, সেই দিনের পর থিকা আজমেরী আপা সপ্তাহে দুই দিন আসতো। একদিন সাদা রুমাল, আরেকদিন কালা, একদিন লাল গোলাপ, আরেকদিন গেন্দার মালা। তাজ্জব বিষয় একেক দিন একেক নম্বর কইতে হইতো রবিউলরে, কিন্তু রুম সেই একটাই—৩০২। আইজও জানতে পারে নাই, ক্যান এতো জটিল হিসাব কইরা আজমেরী আপা এগুলা করতো। এতো বড়লোক একজন মানুষ ক্যান এমন একটা দুইটাইক্যা হোটেলে যাইতো। মেয়েলোকের ভাব বুঝা মুশকিল। দুনিয়ার কী লীলা! রবিউল এহন যে দোকানডায় কাজ করে, সেইটা আজমেরী আপার দোকান… ‘সালাম ব্লক/বাটিক হাউজ‘।
হাছান চায়ে চুমুক দিতে দিতে সিঁথিরে দেখতেছে। তারে অবশ্য পুরাপুরি দেখা যাইতেছে না। চুল, কপাল, টিপের এক কোনা আর একটা পা কাঁথার বাইরে আর বাকিটা কভার করা। সিঁথি মোবাইলটা কাঁথার ভিতরে নিয়ে কথা বলতেছে, অস্পষ্ট কথা। আর এক পা দ্রুত নাড়ায়ে যাচ্ছে। হাছানের বিড়াল কিটি সেই পায়ের দিকে ট্যরা হয়ে তাকায়ে আরো দ্রুত লেজ নাড়তেছে, যে কোনো সময় আঙুল গুলির উপর ঝাপায়ে পড়বে। অবশ্য কিটির নখে নেইল ক্যাপ লাগানো আছে, কিন্তু কামড়ের ভরসা নাই…
এই শোনো! খুব জরুরী বিষয়। এইখানে, কাছে আসো না!
বলো, আর প্লীইজ পা নাড়ানো বন্ধ কর। কিটি ঝাপ দিয়ে পড়লে আমার দোষ নাই।
ওল্লে কিটিটা। উম্মমমম। নাহ্ কিটি ভালো, কিচ্ছু করবে না।
কী যেন বলবা?
ধরো একটা মেয়ে বিয়ের পরপর বুঝতে পারলো তার জেনিটালে কোনো অনুভূতি নাই। অন্যান্য সাপর্টিভ অঙ্গেও কোনো ফিলিংস নাই….
হোয়াট! তুমি কি নিজের কথা বলতেছো সিঁথি!
আরেহ না! আছে একজন। বলোনা… কী করা উচিত তার।
কতগুলি টেস্ট করা, পেলভিক টেস্ট ও প্যাপটেস্ট। ধরো যোনিদ্বারে ও প্রাচীরে ব্লাড সার্কুলেশন নরমাল কিনা তা ডায়াগনোসিস করা। কেন? কার সমস্যা?
আসলে এইটা পিয়ার সমস্যা। ওর বিয়েটা টিকে নাই এইজন্যেই। ওর শরীরে সমস্যা নাই কোনো। এটার জন্য খালু ওরে চেন্নাই এ নিয়ে গেছিলো। সব ঠিক আছে ওর।
মানসিক বিষয়, হুম। কাউন্সিলিং করছে কেউ?
ডক্টর দানিউল।অামি তখন যাইতাম ওর সাথে। উনি আমাদের কিছু পর্নোগ্রাফি সাজেস্ট করছিলো, প্রেসক্রাইবড পর্নোগ্রাফি।
‘আমাদের‘ মানে কি? প্যাশেন্ট কি দুইজন নাকি?
আরে ধুর! পিয়া হইলো ভিতুর ডিম। আমারে ছাড়া কিছুই বুঝেনা।
এই জন্যই সিঁথি! তুমি এততো পাকনা হুমম্।
আরে! ছাড়ো বলতেছি। কী অসভ্য গো তুমি! এতো জরুরী কথার মধ্যেও। ছিহ্।
ও! পরে কি হইলো? কোনো ইমপ্রুভ হইছে পরে?
আরেহ না। ডাক্তার খালি প্রশ্ন করে।ছোটবেলায় কোনো সেক্সুয়াল এ্যবিউজের ঘটনা হইছে কিনা। কিন্তু এমন কিছুই মনে করতে পারে নাই পিয়া। তুমি এতো ভালো ডাক্তার, সাজেস্ট করোনা হাছান!
আসলেই যদি পিয়ার যদি এমন কিছু হয়ে থাকে ছোটোবেলায়, মানে চাইল্ডহুড ট্রমা… তাইলে বিষয়টা জটিলই।
সহজ – জটিল বইলা কিছু নাই ডিয়ার হাবি। তোমারে আমি একটা সত্য গল্প শোনাই। আমি তখন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়া শেষ করছি। হঠাৎ আম্মার ভিতর একটা চেঞ্জ খেয়াল করলাম, সেইটা হইলো… সে সারাটা রাত না ঘুমায়ে পায়চারি করে। গোসলখানায় গিয়া শাওয়ারের নীচে গিয়া কান্তে কান্তে হেচকি উঠায়া ফেলে। পরে জানতে পারলাম… উনি ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজে যখন বি.এড করতেছিলেন, সেইখানেই একটা পুকুরে গোসল করতে গিয়া আট আনা ওজনের কানের রিং হারাইছেন। দৃশ্যটা এমন যে… আম্মা দেখতেছেন রিংটা ঢেউয়ে দুলতে দুলতে তলায়া যাইতেছে। উনি রিংটার নীচে হাত দেন, আ ঐটা ফসকায়ে একটু দূরে সইরা যায়।
এই ঘটনা বহু আগের, তিনি ভুইলা গেছিলেন। কিন্তু আমারে নিয়া পরীক্ষার হলে দিয়া আসনের সময় এক মহিলার কানে সেইরকম একটা রিং দেখতে পান।তারপর থিকা তার রাতের ঘুম হারাম। শেষে প্রেশার টেশার বাড়ায়ে বিতিকিচ্ছি অবস্হা। অনেক ডাক্তার দেখানোর পর মানসিক ডাক্তার দেখানো হইলো। ডাক্তার আন্টির পরামর্শে ডুপ্লিকেট একজোড়া রিংও তিনি বানাইলেন। কিন্তু কোনো লাভই হইলো না। আম্মা দিনদিন সিক হয়ে যাইতেছিলেন।
শেষে, আম্মারে তাল দিলাম…
‘চলো, এগ্রিকালচার ইউনিতে পরীক্ষা দিয়া আসি, আর ঐ পুকুরটা দেইখা আসি। আমার ধারণা, পুকুরে নামলেই আমি তোমার রিংটা পাবো।‘
হাহা, এই পরিবারের সবাই কি মানসিক রোগী? আমি কাদের পাল্লায় পড়লাম!
কুত্তা! আগে শোন্! তারপর আমরা ময়মনসিং গেলাম। ক্যাম্পাসে বড়মামার বাসায় উঠলাম।পরীক্ষা এটেন্ড করে আম্মা সহ গেলাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। বিশ্বাস কর, কীযে সুন্দর পুকুর। আমি আর পিয়া আগে নামলাম। পরে আম্মাও নামলো। চারপাঁচ সিড়ি নামার পর তিনি বল্লেন, ‘এইখানে হারাইছে‘
তারপর! তারপর আবার কি? আম্মা ঢাকায় আসার পর পুরাই সুস্থ।
কিন্তু সিঁথি, এই গল্পের শান– ই– নজুল কি?
অনেকদিন আগের কথা, মনেহয় ক্লাশ এইটে সেইবছর। আমি আর পিয়া গেছি নানীবাড়ি। সেইখানে মনসা মেলায় পিয়া জ্ঞান হারায়ে ফেলে। তারপর অনেকদিন সে অস্বাভাবিক আচরণ করতো। কাউরে চিনতো না। আমার ধারণা সেইখান থেকে সমস্যা শুরু।
শোনো সিঁথি, এগুলা খুব পুরানা চিকিৎসা পদ্ধতি। এইসব ট্রায়ালে পেশেন্ট আরো খারাপের দিকে যাইতে পারে।
কিন্তু, আমি তো পিয়ারে ভিড়ে গিয়া দাঁড়ানোর….
কী বলো! তুমি পিয়ারে ফোন দ্যাও। এক্ষণি!
বিকাল সাড়ে তিনটা। পিয়া একই জায়গায়। পেছন থেকা একটা হাত তার কোমর দিয়া নীচের দিকে নামতেছে। কিন্তু পিয়ার মনে হইতেছে এইটা গাউছিয়া না, মুন্সীগঞ্জের মনসা মেলা। সে সবুজ কুচিওয়ালা একটা ফ্রক গায়ে। তার পিছনে একজন হাত চাপ দিয়া ধরছে, আর সামনে দুইজন সারা গায়ে হাত দিতেছে।সে চিৎকার দিতেছে, কিন্তু এই আর্তনাদ শোনার মতো কেউ নাই। চারিদিকে খালি চোখ আর চোখ।
দুইটা হারামজাদারে ঘুষি মাইরা রবিউল হাত ফুলায়া ফেলছে। সেই আপারে (নাম সিঁথি কিনা জানা নাই) কোলে কইরা দোকানে নিয়া আসছে সে। ভিড় বাড়তেছে… কেউ কেউ কইতাছে মিরগীর ব্যারাম। কিন্তু রবিউল জানে আসল ঘটনা কী। সে অর্ডারী মালের হিসাব খাতা থেইকা নম্বরটা নিয়া মোবাইলে ডায়াল করতাছে। রিং বাইজাই যাইতাছে, বাইজাই যাইতাছে।
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
নভেম্বর চলছে। অনির সাথে আজ দেখা হবে তা জানাই ছিল। এই তো ক’দিন আগেই দেখা…..
বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..
এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..