দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
কাঁচের জানালার ঘরে, এই শহরে
মধ্যরাতে, ঘুণপোকার ঘরে
অবাধ্য মনের কোটরে, পাতার থরথরে
কিছু তো নেই
মনে নেই সেই
আদি নিশাচর ভবঘুরে
ছিল বেঁচে য খাঁচার বাইরে
নেই, এই পৃথিবীতে নেই;
চলে গেছে সুঠাম দেহ গুটিয়ে
নিয়ে গেছে হাতের উষ্ণতা
আস্ত চোখের স্বপ্ন আর
বুকব্যকুলতা, অস্ফুট স্বরে ডাকাডাকি কান্না
কান পাতা বোধ আর মীমাংসিত অযুত বাহানা
প্রেমের গল্প ছিল, ছিল পাখির ঠোঁট-
রাক্ষুসে চুমুর তৃষ্ণা তবু মিটেনি।
চলে গেছে সে, সে আর নেই রাতো
রাতভর ঠোঁট কাঁপে ঠোঁটের আঘাতে।
মুখোমুখি বসে থাকি তবে
তমি বলার গোপন যন্ত্রণায়
আমরা যারা অপরিচিত ছিলাম
পকেট ভর্তি খুচরো নিয়ে ;
ঠোঁটের আস্ফালন তবে কী-
কত প্রহর কেটে একদল ঠোঁট
ঘেমেও সত্য বলে যায়;
তবু নামিনি কেউ
পাশাপাশি একঘেয়ে সিঁড়িগুলো বুণে রাখে
আমাদের ভর দুপুর।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..