প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
একটু নিশ্বাস ধার দিও,
উষ্ণতাও,
আলিঙ্গন চাইনি আমি।
তোমার কাগজের মূল্য আমার জীবন,
আমার জীবন আমার সংসার
আমার ছেলে বউ মা ভাই পরিজন
আমার বেঁচে থাকা সকাল, আমার ছেলের স্কুলে যাওয়া,
আমার ফুরিয়ে যাওয়া দিন, আমার ছেলের চায়ের দোকানের বেঞ্চ,
তুমি ত ভগবান,
তুমিই পারো আমার আমার লাউ গাছে ফল ধরাতে
তুমিই পারো বক ফুলের বড়া দিয়ে মুড়ি খাওয়াতে
আমার চলে যাওয়ার সাথে এসবও ফুরিয়ে যাবে,
তুমি এদের ফিরিয়ে দাও, তুমি ত ঈশ্বরের চেয়ে বড়।
সামনে প্রেসক্রিপশন প্যাড, গলায় স্টেথো, হাতে পেন হাত কাঁপে,
প্রেসক্রিপশন প্যাড পাল্টে হয়ে যায় বাবার ছবি,
হসপিটাল যেন অনন্ত সমুদ্র,
উত্তাল ঢেউয়ের উপর বেড গুলো ভাসতে থাকে যেন প্রচন্ড ঝড়ে বিধ্বস্ত নৌকা,
ছোট্ট একটা ছেলে বাবাকে প্রাণপণ ডাকার চেষ্টা করে যায়
বাবার ঘুম ভাঙেনা,
এক বিরাট ঢেউ কোন অতলে তলিয়ে নিয়ে যায় বাবাকে,
ছেলেটা একা, তীরে দাঁড়িয়ে কাঁদে….
“আমাকে বাঁচান “, শব্দে বাস্তবে ফিরি আমি
মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে বলি,
“তোমাকে ত বাঁচাতেই হবে, আমি যে ঈশ্বর, না কি যেন? ঈশ্বরের চেয়ে বড়…”
“সিরিয়াস? এটা আমি? তুমি ঠিক বলছ? একেই ভালবেসেছিলে?”,
বলেই আমি খুলে ফেললাম আমার পোশাক,
প্রথমেই ডিগ্রির আস্তরণ,
আর তখনই ঝরে পড়ল সমস্ত অহং
তারপর পদ,
আর তখনই ঝরে পড়ল সমস্ত ক্ষমতা,
তারপর অর্থ
আর তখনই হারিয়ে গেল সমস্ত বাজার দোকান রেস্টুরেন্ট শপিংমল,
শেষে আমার ধর্ম
আর তখনই চারিদিকে সবুজ বন, ঝর্ণা ফুল পাখি
আর আনন্দ আর শান্তি
“আজও কি তুমি আমায় ভালবাস?”, বলতেই
পাখিরা বলল, “হ্যাঁ হ্যাঁ”, বলে গান শুনিয়ে গেল!
ঝর্ণা বলল, “নিশ্চয়ই”, বলে নাচ দেখিয়ে গেল!
সবুজ বন তার সুগন্ধ ছড়িয়ে বলল, “আমিও!”
কিন্তু একটাও মানুষের দেখা পেলাম না,
ফিরে যাচ্ছিলাম মানুষের দলে মনখারাপ নিয়ে,
হাত ধরে আটকালো এক শিশু,
“ফিরে যেওনা আমি ত আছি,
দেখতে পাচ্ছনা ওরাও আসছে,
ধীরে ধীরে, ধীরে ধীরে.. ”
একটা ছোট্ট বাগান দিতে পারি
বাগানে বাহারী গাছ, গাছে ফুল প্রজাপতি,
দু- একটা দেবদারু আর ঝাউ,
একটা পাম গাছ আর তাতে পাখির বাসা, ছোট্ট ছোট্ট ছানা,
বাগানের ঢাল বেয়ে সবুজ ঘাসের লন,
সেখানে দুটো দুই রঙের কুকুর, একটা ময়ূর আর দুটো কাকাতুয়া,
বাড়ির সামনের বারান্দায় দোলনা, পাশে সেতার হারমোনিয়াম, তবলা
দেওয়ালে বড় একটা অয়েল পেন্টিং সেখানে দুটো রাজহাঁস নীল জলে,
ঘরে আলমারিতে থরে থরে বই, আর এক আলমারিতে থরে থরে সাজানো ওষুধ, কেমন?
দারুণ!!
নেবে?
নেব? গাছে জল দেব বিকেলে
লাগবে না
পাখিদের ছানা গুলো বড় হবে
হবে না
লনে কুকুরের সাথে খেলা করব
খেলবে না
কাকাতুয়াকে শেখাবো নতুন গান
শিখবে না
বর্ষায় ময়ূর পেখম মেলে নাচবে
নাচবে না
তাহলে বাড়ি নিয়ে কি করব?
দেখবে
ওই বাগান ওই গাছ ওই পাখি ওই ঘাস ওই পেন্টিং
সব সাজানো সবই নকল ,
কিন্তু কেন?
কারণ জীবন নেই
আর আমরা?
আমরা দাঁড়িয়ে আছি দীর্ঘ জলের লাইনে
তিনটে ডেবিট আর দুটো ক্রেডিট কার্ড নিয়ে
তোকে একটা স্টেশন কিনে দেব,
স্টেশন জানে আমার সমস্ত কান্নার রঙ,
হাসির গন্ধ, বন্ধুত্বের রোজনামচা,
ছেড়ে যাওয়ার দুঃখ, ফিরে আসার ইচ্ছে,
আপেক্ষা এবং উপেক্ষাও।
স্টেশনের ধারের যে মিষ্টির দোকান –
ওখানে কোনও খরিদ্দার নেই
ওটার নাম অভাব
শুরু হবে সংসার,
মালগাড়ীর সেড তিনপাত্তি খেলবে ছুটির দিনে,
একটু আধটু বাংলা খাবে, ঝিমাবে
নেশা ধরবে তোর চোখ দেখে
নেশা বাড়বে ছদ্ম বকুনিতে
স্টেশনের শেষে যে টিলা ওটার নাম হবে অভিমান
পাশের ঝর্ণার নাম দুঃখ
আউটার সিগনালের নাম বিচ্ছেদ
ওটা পেড়িয়ে যাব না কোনদিন
চরম গরমের পর বিকেলে প্রচন্ড মেঘ করবে
দূর থেকে আসা বৃষ্টিতে আবছা হয়ে যাবে সব
আস্তে আস্তে
সিগনাল টিলা মালগাড়ীর সেড মিষ্টির দোকান
লাস্ট ট্রেন চলে যাবে হুইসেল বাজিয়ে
পঞ্চমীর চাঁদের আলোয় বিষ
ডাকবে টিলা আউটার সিগনাল মালগাড়ীর সেড মিষ্টির দোকান
আমরা স্টেশন ছেড়ে যাবনা কোথাও
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..