দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
ভালোবাসার অবহেলা তোমাকে ছোঁবে না, তুমি সুন্দর
তুমি সকলের আকাঙ্ক্ষা, তোমাকে পাবে না দুঃখ
তোমার পায়ে পায়ে হাঁটবে অনেকের পা, এক পায়ের নির্জনতা তোমাকে পাবে না
ক্যালেন্ডারের প্রতিটা দিন তোমাকে মেসেজ পাঠাবে
যেন সারাটা জীবন ত্রিশে জানুয়ারি
প্রেমহীনতার বিকেল তোমাকে স্পর্শ করবে না
প্রতিটা সকাল তোমাকে নিমন্ত্রণ জানাবে তুমি যেন রোদের বাড়ি বেড়াতে আসো;
কক্সবাজার তোমার জন্য একলা একা দাঁড়িয়ে থাকবে তুমি কবে তার শরীরে পা ডোবাবে তার জন্য
কলেজ পথের লোকাল বাসগুলো তোমাকে বসার জায়গা করে দেবে
দাঁড়িয়ে যাবার গল্প তোমার থাকবে না
সকল প্রেমিকের সাম্রাজ্যে তোমার আধিপত্য, অমর্যাদার কণ্ঠ তুমি শুনবে না
পৃথিবীর সকল ভাষা তোমার নাম আদর করে ডাকবে অনাদর তুমি চিনবে না
কবিতার কাছে যেতে হলে
মানুষের কাছাকাছি যেতে হয় আমাকে
মানুষের কাছে যেতে হলে
ফুল পাখি মাটির কাছাকাছি যেতে হয় আগে
তার আগে যেতে হয় নারীর কাছে
যে আমাকে প্রত্যাখ্যানের অসুখ দেবে
ডিসেম্বরের গোলাপ, তোমাদের কথা মনে পড়ে
তোমরা তখন ফুলের দোকানে ফুলদানিতে অনেকগুলো
আমি কেবল চারটে নিলেম হাতের মুঠোয়
ক’টাকা দাম আমার এখন মনে নেই
গোপন মানুষ অনেক দূরে ভিড়ের মাঝে একলা থাকে
তার জন্যে
তার শহরে পাহাড় ঘুমোয় এক বালিশে তাহার পাশে
ঘরের পাশে ধানের বন; পথ জুড়ে সে অনেক নদী
তবুও সে শীতের পাশে কেমন করে বাঁচে
কার আঙুলে রাস্তা পেরোয়
কার চোখেতে ভাসে?
ওগো শরত, অশুদ্ধতার মিছিল দেখে তার ঘুম ভেঙে যায় চমকে
কোন জনমে কাহার ছিলাম প্রশ্ন করে মাকে?
তবুও সে আলোর পাখি একটি সুরে ভালোবাসা গায়
তোমারা এখন রং হারানো টাটকা স্মৃতি
নিজের ভেতর আমার কণ্ঠ পায়?
শেষ বিরহ
প্রিয় তুমি হেসো
হৃদ জলে ভেসো
অভিমান ভুলে গিয়ে ফের ভালোবেসো
ঘর নয় আকাশ নয় তুমি আমার
গোপন দুঃখ হয়ে এসো
ভালোবেসো ভালোবেসো ভালোবেসো
আর দূরে নয়
এই নাও হৃদয়
মিছে লাজ দূরে রেখে বুকের কাছে এসো
রোদ নয় ঘাস নয় তুমি আমার
নিকট নবান্ন হয়ে এসো
ভালোবেসো ভালোবেসো ভালোবেসো
এই ধরো হাত
ছুঁড়ে ভুলভাল আঘাত
শীতের পাশে তুমি আমার রোদ্দুর হয়ে বসো
মাটি নয় গাছ নয় তুমি আমার
শেষ বিরহ হয়ে এসো
ভালোবেসো ভালোবেসো ভালোবেসো
চলে যাচ্ছি
রেখে যাচ্ছি তোমাকে
তোমাদের আম গাছ
আর আমাকে
চলে যাচ্ছো
রেখে যাচ্ছো আমাকে
আমাদের ফুল পাখি
আর তোমাকে
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..