প্রক্সি
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
“ডেনভার” আমেরিকার কলরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি শহর। কলোরাডো পুরো প্রদেশটি রকি মাউন্টেইন দিয়ে ঘেরা তাই কলোরাডোর প্রতিক রকি মাউন্টেইন।
প্লেনে বসে জানালা দিয়ে নীচের দিকে রকি মাউনটেনের অপার সৌন্দর্যর দিকে তাকিয়ে সুকন্যার মনে পড়ছিল জন ডেনভারের সেই বিখ্যাত গান– “রকি মাউন্টেইন হাই”। শেকড়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য আকুতি নিয়ে গাওয়া সে গান।
হ্যা, শেকড়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য সব প্রাণেই থাকে তাড়া । সবাই কি আর পারে ফিরে যেতে ! ভিন্ন দেশ ভিন্ন ভাষায় একটা একটা করে দিন পার হয়ে যায় আপনজন আর নিজ জন্মভূমির জন্য ছটফটানি সঙ্গী করে ।
নিউইয়র্কের যান্ত্রিক জীবনে হাঁফ ধরে গিয়েছিল সুকন্যার।এই সময়ে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকার তাড়নায় পাহাড়, অরণ্যে, মাটি তিনটেই ভীষণ টানে তাকে। এই শহরটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা। দেখে মুগ্ধ হয় এয়ারপোর্টের টার্মিনাল বিল্ডিংও রকি মাউন্টেইনের আদলেই বানানো।
শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে নিরিবিলি “লেকসাইড” এলাকায় দুই কামরার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় সে। নিউ ইয়র্কের তুলনায় ভাড়া এখানে অনেক কম।
“লেকসাইড” ডেনভার শহরের শান্ত, নিরিবিলি এলাকা। লেকের পাড়ে রাস্তা, রাস্তার পাশে সাদা রং করা চারদিক কঠের বেড়া দিয়ে ঘেরা কাঠের দোতলা এই বাড়িটি বেশ ছিমছাম । বাড়িটির সামনে টিউলিপ ও কাঠ গোলাপের সুন্দর বাগান।
বাড়ীর মালিক মেলানি উইলিয়াম সব ঘুরিয়ে দেখায় সুকন্যাকে। মাসে পাঁচশত ডলারে এর থেকে ভালো বাড়ি পাওয়া যায়না এই এলাকাতে। স্বামী মারা যাওয়ার পর এ বাড়ীতে একাই থাকত মেলানি। তাই একটা অংশ ভাড়া দিয়েছে।
বাড়ীতে স্বামীর সাথে কাটানো দিন গুলোর কথা বলে যাচ্ছিল নিঃসঙ্গ মেলানি। সু মেলানির বকবকানি শুনছিল না। সে বাড়ীর সামনে হ্রদের স্বচ্ছ নীল জলের দিকে চেয়ে ভাবছে—
“জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সীমার নাম জীবন। এই সীমানার নির্দিষ্ট কোন পরিমাপ নাই, বোধকরি কোনো কালেই ছিলনা। ফিরে যেতে ইচ্ছে করছেনা আর কোথাও।
এখানেই কোথাও যদি আমার মৃত্যু হয়!
কি অপার শান্তির জায়গা!
আকাশের জলজলে সূর্যটা হঠাৎ তেজ কমিয়ে ফেলে। চারিদিকে একটা গুমোট পরিবেশ। হ্রদের জলে মেঘলা আকাশের ছায়া পড়ে এখন রঙ ঘোলাটে দেখাচ্ছে। সে নিজের শোবার ঘরে চলে যায়।
বাড়ীটা কাঠের হলেও বোঝার উপায় নেই। ডিজাইন আর রঙ দেখে বাড়ীর সব কিছুই তার পছন্দ হয়। শোবার ঘরের পাশেই খোলা বারান্দায় দাঁড়াতেই ভীষণ ভাল লাগায় হঠাৎই মনটা ভাল হয়ে যায়। সামনে বিশাল পাইন বন। উদাস দৃষ্টি লক্ষ্যহীন ঘুরে বেড়ায়। একটা কাঠবেড়ালী দৌড়ে যায় । দৃষ্টি পিছু নেয় তার। ছুটে যায় সেটি তার ঘরের কাছে–তার সংগীর কাছে। হঠাৎ সুকন্যার ভেতরের সমস্ত আবেগ অনু্ভূতি গুলো প্রচন্ড কোন শক্তিতে মন্থন করে হৃদয়ের গভীর থেকে একটি নাম বের হয়ে আসে- “অনিকেত”।
পৃথিবীর জ্বালা থেকে বেঁচে বুকের গভীরে নিরিবিলি একটা সংসার সু আর অনির । ঘোরের সংসার। ভাঙবে কি আর! অনিকে ভুলবে কি করে সে?
দোতলার বারান্দা থেকে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের রহস্যে মন হারায় তাঁর। লেক সাইডের চোখ ধাঁধানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতা সুকন্যার উড়ন্ত মন কে ভীষনভাবে শান্ত করে দেয়।
মনের গভীরে নানা রংঙের অনু্ভূতির নিত্য আসা যাওয়ায় কি জানি কি অদ্ভুত রহস্য খেলা করে ! কেমন করেই বা সে ব্যাখ্যা করবে ডেনভারের সাথে সুকন্যার নিস্তব্ধ-নিস্তরঙ্গ গল্প!
বেশ কিছুক্ষন সে চোখ বন্ধ করে রাখে। দীর্ঘশ্বাস নেয় বুক ভরে। চিক চিক করে উঠে চোখের কোণ। চোখের জলের কোন রং হয়না তবুও কত রং এর নকশা আঁকা থাকে এই জলে। মন ছুয়েঁ কিছু কবিতার নতুন লাইন মনে খেলা করে—-
“চাপা দিয়ে সব বোধ… কার আশায় চেয়ে পথ
কি মায়ায় সাজাই ঘর শেষ বেলার আসে ডাক!
গহীনে পুষে বিবশ বাতাস সুখ খুঁজি গোলাপ কাটায়
পুড়ে পুড়ে সুখের আশায় অনিমেষ শুভদৃষ্টি হোক আবার”।।
পুরো রাত আলতো আলতো চোখ বুজে আসলেও ঘুম আর সাড়া দেয়না। এভাবেই আধো ঘুম আধো জাগরণে ভোরের সূর্য উকি দেয়।
দিনের আলো জানালা কড়িকাঠের ফাঁক গলে ঘরে প্রবেশ করে ঘর আলোকিত হয়ে উঠছে । তাতে কিছুই আসে যায় না তার।
বেশ বেলা করেই ঘুম থেকে উঠে সু। নাস্তা খেতে বসে অনুভব করে নিত্যপ্রয়োজনীয় টুকটাক কিছু কেনাকাটা ছিল। শহরে যেতে হবে।এখানে থেকে শহর ২০ কিলোমিটার। বাড়ীর পাশেই বাস স্ট্যান্ড। প্রতি বিশ মিনিটা পর পর এই স্ট্যান্ডে বাস আসে শহরে যাওয়ার জন্য।
জানালা দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে ঝকঝকা রোদ দেখে মন ভাল হয়ে যায় তার। ঝটপট তৈরি হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে সে। এখন সেপ্টেম্বর মাসের শেষ।গ্রীষ্মকাল শেষ হয়ে শরতকালের শুরু। এই সময়ে সূর্যের উত্তাপ কমে আসতে থাকে ।
এখন পাতা ঝরার সময়। রাস্তায় ঝরা পাতাদের চঞ্চলতায় মন আদ্র হয়ে যায় তার। ঝরা পাতা মাড়িয়ে বাস স্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ায় সু।
খুব পরিচ্ছন্ন গোছানো শহর ডেনভার। নিউ ইয়র্কের তুলনায় অনেক নিরিবিলি। রাস্তার দুপাশে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানের সারি। বড় চেইন গ্রসারী স্টোরে যাওয়ার পথে ডাকঘরের সাইন দেখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে সেদিকে। মনে পড়ে “অনি”র কথা। নামটা ভুলতে পারে না। কি করেই বা ভুলে !
অনেক দিন তাকে কোন চিঠি লেখা হয়না। গভীর ভালোবাসার অনু্ভূতি গুলো সব সময়ই বড় বেশি অসহায়। শব্দহীন ভাংচুর সামলে নিয়ে নি:শব্দ ধংস গুলো যত্ন করেই বয়ে বেড়াতে হয়।
নর – নারীর সম্পর্ক যখন শরীর ছাডিয়ে সম্পুর্ন মানসিক অনুভূতির উপর নির্ভর করে তখন দুটো শরীর গৌণ হয়ে মনের মিলনই মুখ্য হয়ে উঠে।
প্রচন্ড ভালোবেসে কাংখিত মানুষকে বুকের গভীরে লুকিয়ে অনবরত তাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই-তো একাকীত্ব। হ্যাঁ এই মুহুর্তে ভীষণ একাকীত্বে পেয়ে বসে সুকন্যাকে।
বাড়ি ফিরে আসতে তাঁর প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় । চাঁদ উঠেছে। হ্রদের পানিতে চাঁদের আলো পড়ে মোহনীয় আবহ।সেই সাথে বাতাসে কাঠ গোলাপের গন্ধ তার একাকিত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।
কাঠের সিঁড়ি ভেঙ্গে সুকন্য লেকের পাড়ে এসে দাঁড়ায়। ফুটফুটে জোছনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে চারিদিক। সাথে উথাল পাতাল বাতাস। লেকের পাড় ধরে হাঁটতে ভালো লাগে তাঁর।
জোছনার আলোয় পরিস্কার দেখা যায়- হ্রদের জলে চাঁদের প্রতিচ্ছবি। পানিতে ইঞ্জিনের শব্দ তোলে একটি নৌকা এগিয়ে চলে। পাশের বাড়ির কেউ সংগী সাথে করে বের হয়েছে।
আহ! এই সময়ে যদি অনি পাশে থাকতো! তার বুকের ভেতরে কিছু নস্টালজিক অনুভূতি হাতুড়ি পেটা করতে থাকে। ঘোর লাগা কেমন এক শূন্যতার দোলা টের পায় সে। প্রচন্ড কফির তেষ্টা পেয়ে বসে।
ঘরের টুকটাক জিনিসপত্র গোছাতে যেয়ে বেশ রাত হয়ে যায় সুকন্যার।ক্লান্ত হয়ে মাঝরাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়ে সে।
নির্জন হ্রদের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে অনি । মুখ জুড়ে সেই চেনা হাসি ।
অনেক দিন পর স্বপ্নে “অনি”র মায়াময় মুখটি দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায় তার। ঠিক তখনই অন্ধকারে পাইন বনে বাতাসের মিহি শব্দ শুনে মনে হয় খুব শিগগির অনির সঙ্গে তাঁর দেখা হবে। কিন্তু, তা কি করে সম্ভব? এই আবেগ আর অনুভব নিয়ে হৃদয়ের সব টুকু ভালোবাসা বির্দীণ হয়ে “অনিকেতে”র চেহারাটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে বুকের গভীরে কোথাও কষ্টের সুর বেজে উঠে। বুঝতে পারে অনিকে জড়িয়ে বেচেঁ থাকার অনু্ভূতিগুলো তার খুব গভীরে প্রোথিত।
বেশ কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রাখে সু। তারপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিছানায় ঊঠে বসে। হাত বাড়িয়ে বিছানার পাশে টেবিলের উপর রাখা খাতা কলম টেনে নেয়। এক মুহূর্ত ভাবে জীবন নিয়ে । তারপর লিখতে বসে অনিকেতকে না বলা অনেক কথা।
প্রিয় অনি,
গতকাল শহরে গেলাম। ডাকঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় খুব ইচ্ছে করলো তোমাকে চিঠি লিখতে। ডাকঘরে গিয়ে দেখি ডাকঘর বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে শুক্রবার দুপুর একটার পর সাধারণত সরকারি অফিসে লোক খুব একটা থাকে না।
আচ্ছা, চিঠিতে কী লিখবো তোমাকে!
— ভাবছি—
কেমন করেই বা শুরু করি!
কতদিন তোমার সাথে কথা হয়না! তবে মনে মনে আমি সারাক্ষণ তোমার সাথে বকবক করি। নিউ ইয়র্ক ছেড়ে এসেছি আজ একমাস। পাহাড় ও অরণ্যে ঘেরা এই জায়গাটিকে বলা যায় পৃথিবীর বুকে আরেক পৃথিবী! বাড়ীটির পাশে লেকের পাড় ঘেঁষে এঁকেবেঁকে চলে গেছে নির্জন রাস্তা। রাস্তার দুপাশে দীর্ঘপাতার পাইন গাছের সারি। সেই পাইন পাতাগুলো বাতাসে দুলে সূর্যের আলোয় ঝলমল করে উঠে।অবাক ভাল লাগায় মন শান্ত হয়ে যায় , শহরের জীবনে এই ভালো লাগা কোথায় বলো?
ভাবছি শহরে আর ফিরে যাবনা । এখানেই নিরিবিলি বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।
তুমি হয়তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে জাম গাছটার দিকে চেয়ে আছো। বারান্দার ওপারে রাস্তা তাঁর পাশেই ব্যস্ত শহর। শহরের ব্যস্ততা তোমাকে কখনো ছুঁতে পারে কই! এতো ব্যস্ততার ভীড়েও তুমি নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারো নিজের জগতে। এটা তোমার এক অদ্ভুত ক্ষমতা!
আচ্ছা, দেখতো বিদ্যুতের তারে জোড়া শালিক বসা কিনা ! শুনেছি — জোড়া শালিক দেখলে দিন ভালো যায়। আমার এখানে তো শালিক পাখি নেই!
তোমাকে কখনো বলা হয়নি আমার একটি অদ্ভুত নেশা আছে মাছ ধরার নেশা। হ্রদের পাড়ে বাস করে বাকি জীবন মাছ ধরে কাটিয়ে দিলে মন্দ হয়না কি বলো? এখানে আসার পর ঠিক মাছ ধরি না। লেকের পানিতে এমনি এমনি ছিপ ফেলে বসে থাকি। কখনও মাছ উঠলেও ছেড়ে দেই । আমি দেখি কলরাডোর নীল আকাশ, ঢেউ খেলানো সবুজ পাহাড়ের সারি, হ্রদের স্বচ্ছ জল।
তাছাড়া আমার হাত থেকে মুক্ত হয়ে মাছ যখন হ্রদের পানিতে “ঝপাৎ” শব্দ তুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমি তখন তাদের মুক্তির আনন্দ উপভোগ করি। কখনো ছলকে উঠা পানি আমাকে ভিজিয়ে দেয়। আমি আকাশের দিকে মুখ করে হো হো হো করে হেসে উঠি।
আর …আর হ্রদের উপর কাঠের সেতুর মাঝখানে তোমার একটি ছবি ফ্রেমে বাঁধাই করে রেখেছি । সেটা দেখি আর কথা বলি। তারপর খিলখিল করে হাসি। আশেপাশের বেশ কিছু কাঠবেড়ালি আমার দিকে অবাক তাকিয়ে থাকে তারপর তাঁরাও লেজ উঁচিয়ে লাফ দেয় । তাঁদের লাফ ঝাপ দেখে মনে হয় তারাও আমার সাথে যোগ দিচ্ছে। হাসতে হাসতে পেটে খিল নিয়ে হ্রদের পাড়ে বসে যাই, চিৎকার করে কাঁদি। খুব কাঁদি।
হ্রদের মাঝখানে দ্বীপের মতন ছোট্ট একটি আইল্যান্ড আছে। সেখানে আছে অনেক গাছ, পাখি, ঝরনা, সাদা-কালো মানুষ, তাদের সহজ সরল অযান্ত্রিক আর প্রাণচঞ্চল জীবনযাপন।
অনেকেই সেখানে সারাদিনের জন্য বেড়াতে যায় আমি কখনো যাইনি। তোমায় ছেড়ে কি করে যাই বলো? আমি তো জানি তোমার এমন জায়গা খুব পছন্দ। তাই ঠিক করেছি যদি কখনো তুমি আমাকে দেখতে এখানে আসো তখন তোমাকে সাথে নিয়ে ঐ আইল্যান্ডে বেড়াতে যাবো…
দূর থেকে ভোরের শীতল বাতাস খোলা জানালা দিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। চিঠিটি এই পর্যন্ত লিখে জানালা বন্ধ করতে উঠে আসে সুকন্যা। সকালের সূর্য উঁকি দিচ্ছে পাইন বনের ফাঁকে। চিঠি হাতে করেই ঘর থেকে বের হয়ে আসে সে।
পাশের বাড়ীর সোনালী চুলের মেয়েটি পোষা কুকুরটি নিয়ে জগিংয়ে বের হয়েছে। তার দিকে চেয়ে মিষ্টি হেসে বললো “সুপ্রভাত “।
মেয়েটিকে প্রতি উত্তর করে হাটতে হাটতে হ্রদের পাড়ে এসে দাঁড়ায় সু। হাতের চিঠিটি টুকরো টুকরো করে হ্রদের পানিতে ছুঁড়ে দেয়।
ভোরের বাতাসে হ্রদের পানিতে মৃদু ঢেউ চিঠির টুকরোগুলোর সাথে খেলার ছলে ডুবিয়ে নিয়ে যায় অতলে। পাড়ে দাঁড়িয়ে ছল ছল চোখে তাকিয়েই থাকে সুকন্যা। ভাবে কলরাডোর নির্জন হ্রদ আর পাহাড়ে তাঁর জন্য কি অপেক্ষা করে আছে, এটা কেউ জানে না।
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
নভেম্বর চলছে। অনির সাথে আজ দেখা হবে তা জানাই ছিল। এই তো ক’দিন আগেই দেখা…..
বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..
এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..